সুনিতা দেশপাণ্ডে | |
---|---|
জন্ম | সুনিতা ঠাকুর ৩ জুলাই ১৯২৬ |
মৃত্যু | ৭ নভেম্বর ২০০৯ পুনে, মহারাষ্ট্র, ভারত | (বয়স ৮৩)
পেশা | লেখক |
দাম্পত্যসঙ্গী | পুরুষোত্তম লক্ষ্মণ দেশপাণ্ডে (বি. ১৯৪৬) |
সুনিতা দেশপাণ্ডে (জন্ম নাম ঠাকুর; ৩রা জুলাই ১৯২৬ - ৭ই নভেম্বর ২০০৯) একজন ভারতীয় লেখক ছিলেন। তাঁকে ভালোবেসে "সুনিতাবাই" বলা হতো।[১]
সুনিতা দেশপাণ্ডে ১৯২৬ সালের ৩রা জুলাই মহারাষ্ট্রের রত্নাগিরিতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা, সদানন্দ ঠাকুর, উত্তরপ্রদেশের ধামপুরের একজন সুপ্রতিষ্ঠিত ফৌজদারি আইনজীবী ছিলেন। সুনিতার এক কাকা রাজা পাটেকর ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। তিনি তাঁকে আন্নাসাহেব সহস্রবুদ্ধের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। আন্নাসাহেব তাঁকে ১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের জন্য একটি ভূগর্ভস্থ রেডিও চালু করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তবে, প্রকল্পটি কখনই শুরু হয়নি। পরে তিনি রাষ্ট্র সেবক দলে যোগ দেন।[২]
সুনিতা দেশপাণ্ডে তাঁর জীবনের শেষ দিকে লেখা শুরু করেছিলেন। তিনি ১৯৯০ সালে তাঁর স্মৃতিকথা আহে মনোহর তরী (মারাঠি: आहे मनोहर तरी)[৩] প্রকাশ করেন। বইটি বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে, তার মধ্যে আছে গুজরাটি ভাষায় ("মনোহর ছে পান " শিরোনামে, অনুবাদ করেছেন সুরেশ দালাল, এসএনডিটি, মুম্বাই ১৯৯২), হিন্দি ভাষায় ("হ্যায় সবসে মধুর ফির ভি " শিরোনামে, অনুবাদক রেখা দেশপাণ্ডে, ওরিয়েন্ট লংম্যান ১৯৯৬), কন্নড় ভাষায় ("বালু সোগাসদারু ", শিরোনামে, অনুবাদক উমা কুলকার্নি, মহিলা সাহিত্য, হুবলি) এবং ইংরেজি ভাষায় (" ..অ্যাণ্ড পাইন ফর হোয়াট ইজ নট ", শিরোনামে, অনুবাদক গৌরী দেশপাণ্ডে, ওরিয়েন্ট লংম্যান, ১৯৯৫)।
সুনিতা দেশপাণ্ডে একজন প্রখ্যাত সংবাদদাতাও ছিলেন। তাঁর বই "প্রিয় জি.এ." (মারাঠি: प्रिय जी.ए.) হলো মারাঠি লেখক জি এ কুলকার্নির সাথে চিঠিপত্রের একটি সংগ্রহ। এটি ২০০৮ সালে উল্লেখযোগ্য সাহিত্যিক অবদান এবং প্রভাবের জন্য তাঁকে প্রথম "জি এ কুলকার্নি পুরস্কার" এনে দিয়েছিল।[১]
তিনি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের উপর ভিত্তি করে মারাঠি চলচ্চিত্র "বন্দে মাতরম" -এ অভিনয় করেছিলেন, যেখানে তিনি নিজের চরিত্রে অংশগ্রহণ করেছিলেন।[৪] তিনি "সুন্দর মি হোনার ", "রাজেমাস্টার" এবং "রাজামাতা জিজাবাই" (একটি একক পরিবেশনা) -এর মতো নাটকে অভিনয় করেছিলেন।[১]
১৯৪৫ সালে, পুরুষোত্তম লক্ষ্মণ দেশপাণ্ডের সাথে সুনিতার দেখা হয়েছিল এবং পরের বছর ১৯৪৬ সালের ১২ই জুন তাঁদের বিয়ে হয়। সুনিতা দেশপাণ্ডে রত্নাগিরি জেলার বাসিন্দা ছিলেন।
বয়সের কারণে ২০০৯ সালের ৭ই নভেম্বর তিনি পুনেতে মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর ৮৩ বছর বয়স হয়েছিল।[৫] স্বামীর ৯০তম জন্মবার্ষিকীর একদিন আগে তাঁর মৃত্যু ঘটে।