সুন্দরী | |
---|---|
![]() | |
পরিচালক | আমজাদ হোসেন |
প্রযোজক | সুরাইয়া আক্তার চৌধুরী |
চিত্রনাট্যকার | আমজাদ হোসেন |
কাহিনিকার | আমজাদ হোসেন |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | আলাউদ্দিন আলী |
চিত্রগ্রাহক | রফিকুল বারী চৌধুরী |
সম্পাদক | সৈয়দ আওয়াল |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৩২ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা ভাষা |
সুন্দরী ১৯৭৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র। ছায়াছবিটির কাহিনী লিখেছেন এবং পরিচালনা করেছেন প্রখ্যাত বাংলাদেশী চলচ্চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেন।[২] এতে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেছেন ববিতা, ইলিয়াস কাঞ্চন, আনোয়ার হোসেন, আনোয়ারা, সাইফুদ্দিন, জসিম প্রমুখ।[৩] চলচ্চিত্রটি ৭টি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে।[৪]
ঈমান আলী তালুকদারের ভাড়াটে লাঠিয়াল। তাকে পাঠানো হয় তালুকদারের প্রতিদ্বন্দ্বী মাস্টারকে মারার জন্য। কিন্তু তার অন্তসত্বা স্ত্রীর আবদার মানতে সে তাকে খুন করতে পারে না। তালুকদার নুরুকে পাঠায় ঈমান আলীর বেঈমানীর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। ঈমান আলী তাকে তালুকদারের দাসত্ব থেকে মুক্তির আহ্বান করে। এতে নুরুও সারা দেয়। ঈমান আলীর স্ত্রী তার একমাত্র কন্যা সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে মারা যায়। ঈমান আলী তাকে যত্ন করে মানুষ করে। অন্যদিকে কাঞ্চন সৎ ভাইদের পরিবারে দুঃখ-দুর্দশায় বড় হয়। এক পর্যায়ে সৎ ভাইরা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। ইতোমধ্যে সে তালুকদারের সাথেও বিবাদে জড়িয়ে পরে। সে ঈমান আলীর কাছে লাঠি খেলা শিখতে গেলে তালুকদার ঈমান আলীকে খুন করায়। এতে করে সুন্দরী ও কাঞ্চন উভয়ই অসহায় হয়ে পরে। তারা তালুকদারের বিদ্বেষ হতে বাঁচার পথ খুজতে থাকে।
সুন্দরী | ||||
---|---|---|---|---|
কর্তৃক সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবাম | ||||
মুক্তির তারিখ | ১৯৮০ | |||
শব্দধারণের সময় | ইপ্সা রেকর্ডিং স্টুডিও | |||
স্থান | ঢাকা, বাংলাদেশ | |||
স্টুডিও | ইপ্সা রেকর্ডিং স্টুডিও | |||
ঘরানা | চলচ্চিত্রের সঙ্গীত | |||
প্রযোজক | আলাউদ্দিন আলী | |||
সৈয়দ আব্দুল হাদী, সাবিনা ইয়াসমিন, আব্দুল আলীম, রুনা লায়লা কালক্রম | ||||
|
সুন্দরী চলচ্চিত্রের সঙ্গীত পরচালনা করেছেন আলাউদ্দিন আলী। গানের কথা লিখেছেন আমজাদ হোসেন।[৫] এছাড়াও ফকির লালন সাঁইয়ের "সবলোকে কয় লালন কি জাত সংসারে" লালন গীতিটিও এ চলচ্চিত্রে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সৈয়দ আব্দুল হাদী, সাবিনা ইয়াসমিন, আব্দুল আলীম, রুনা লায়লা। এ ছায়াছবির "আমি আছি থাকব" ও "কেউ কোন দিন আমারে তো কথা দিল না" গান দুটি বেশ জনপ্রিয় হয়। "আমি আছি থাকব" গানটিতে কণ্ঠ দেন সাবিনা ইয়াসমিন।[৬] গানটি করতে আমজাদ হোসেনের সঙ্গে সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলীর চার-পাঁচ দিন বসতে হয়েছে। গানের স্থায়ীটুকু লিখতেই লেগেছিল দুই দিন। গানটির রেকর্ডিং হয়েছিল ইপসা রেকর্ডিং স্টুডিওতে।
নং. | শিরোনাম | রচয়িতা | কণ্ঠশিল্পী | দৈর্ঘ্য |
---|---|---|---|---|
১. | "সবলোকে কয় লালন কি জাত সংসারে" | লালন শাহ | সৈয়দ আব্দুল হাদী ও আব্দুল আলীম | |
২. | "মেরে বাকি উমারিয়া" | আমজাদ হোসেন | রুনা লায়লা ও সাইফুদ্দিন | |
৩. | "আমি আছি থাকব" | আমজাদ হোসেন | সাবিনা ইয়াসমিন | |
৪. | "কেউ কোন দিন আমারে তো" | আমজাদ হোসেন | সৈয়দ আব্দুল হাদী | |
৫. | "কেউ কোন দিন আমারে তো (নারী)" | আমজাদ হোসেন | সাবিনা ইয়াসমিন | |
৬. | "তেরে সিভা ম্যায় কেয়া কারুঁ" | আমজাদ হোসেন | সাবিনা ইয়াসমিন |
সুন্দরী ১৯৮০ সালে প্রদত্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ৭টি বিভাগে পুরস্কার পায়।