সুশান্তকুমার ভট্টাচার্য

দ্য লর্ড ভট্টাচার্য
সিবিই,এফআরএস,এফআরইএনজি,এফআইমেকই, পদ্মভূষণ
সুশান্তকুমার ভট্টচার্য
২০১৮ খ্রিস্টাব্দে অফিসের প্রতিকৃতি
হাউস অফ লর্ডস, লর্ড টেমপোরাল
কাজের মেয়াদ
৩ জুন ২০০৪ – ১ মার্চ ২০১৯
লাইফ পিরেজ
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মসুশান্তকুমার ভট্টাচার্য
(১৯৪০-০৬-০৬)৬ জুন ১৯৪০[]
বেঙ্গালুরু, মহীশূর রাজ্য, মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু১ মার্চ ২০১৯(2019-03-01) (বয়স ৭৮)
বার্মিংহাম, যুক্তরাজ্য
রাজনৈতিক দললেবার
প্রাক্তন শিক্ষার্থীআইআইটি,খড়গপুর (বি.টেক)
বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় (এম.এস, পিএইচডি)
যে জন্য পরিচিতডব্লিউ এমজি, ইউনিভার্সিটি অফ ওয়ারউইক-এর প্রতিষ্ঠাতা
ওয়েবসাইটWMG's Founder Page

সুশান্তকুমার ভট্টাচার্য (৬ জুন ১৯৪০[] - ১ মার্চ ২০১৯) (যিনি 'কুমার ভট্টাচার্য', 'ব্যারন ভট্টাচার্য', বা 'লর্ড ভট্টাচার্য্য' নামেও পরিচিত), সিবিই, এফআরএস, এফআরইএনজি, এফআইমেকই[][] ছিলেন একজন ব্রিটিশ-ভারতীয় প্রকৌশলী, শিক্ষাবিদ এবং সরকারী উপদেষ্টা।[] ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে, তিনি 'ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানুফ্যাকচারিং সিস্টেম'-এর অধ্যাপক হন এবং 'ওয়ারউইকম্যানুফ্যাকচারিং গ্রুপ' প্রতিষ্ঠা করেন।[] ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে তাকে লাইফ পিয়ার করা হয় এবং হাউস অফ লর্ডসের সদস্য হন।[][]

প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা

[সম্পাদনা]

সুশান্তকুমার ভট্টাচার্যের জন্ম ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের ৬ জুন পিতার প্রথম কর্মস্থল ব্রিটিশ ভারতের মহীশূর রাজ্যের অধুনা কর্নাটক রাজ্যের বেঙ্গালুরু শহরে, এক বাঙালি ব্রাহ্মণ পরিবারে।[] তার পিতা ভারতীয় জাতীয় বিজ্ঞান একাডেমীর ফেলো অধ্যাপক সুধীর কুমার ভট্টাচার্য (১৯০৯ -১৯৮৭) সেসময় ছিলেন ব্যাঙ্গালোরের ভারতীয় বিজ্ঞান সংস্থার রসায়নের অধ্যাপক। মাতা হেমনালিনী ছিলেন প্রিয়নাথ চক্রবর্তীর কন্যা। তাদের দুই পুত্রের জ্যেষ্ঠ ছিলেন সুশান্তকুমার। কনিষ্ঠ পুত্র ছিলেন অশোককুমার ভট্টাচার্য। তাদের আদি নিবাস ছিল বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অধুনা বাংলাদেশের ঢাকা জেলার মূলপাড়ায়। পিতামহ বসন্তকুমার ভট্টাচার্য ছিলেন সেখানকার সম্ভ্রান্ত জমিদার।[] বেঙ্গালুরুতে বারো বৎসর অধ্যাপনার পর ১৯৫২ খ্রিস্টাব্দে তার পিতা রসায়ন বিভাগের প্রধান হিসাবে খড়গপুরের আইআইটিতে স্থানান্তরিত হলে[১০] পরিবারের সঙ্গে তিনি খড়গপুরে চলে আসেন।

সুশান্তকুমার ভর্তি হন স্থানীয় হিজলি হাই স্কুলে। বিদ্যালয়ের পাঠ শেষে আইআইটি, খড়গপুরে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ভর্তি হন এবং ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে কৃতিত্বের সঙ্গে ব্যাচেলর অফ টেকনোলজি (বিটেক) পাশ করেন।[১১] ১৯৬১ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইংল্যান্ড চলে যান এবং লুকাস ইন্ডাস্ট্রিজে স্নাতক শিক্ষানবিশ হিসাবে ছয় বছর কাজ করেন।[১২] কাজের পাশাপাশি তিনি বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকৌশল উৎপাদন এবং ব্যবস্থাপনা নিয়ে পড়াশোনা করে এম.এসসি ডিগ্রি লাভ করেন এবং ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে প্রকৌশল উৎপাদনের উপর গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।[১৩] বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করার সময়েই, তিনি সেখানে প্রভাষক হিসাবে নিযুক্ত হন এবং সেখানে শিল্প উৎপাদনে শিক্ষা কার্যক্রম তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেন।[১২]

কর্মজীবন এবং গবেষণা

[সম্পাদনা]

১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে, তিনি ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন এবং সেখানকার তৎকালীন উপাচার্য জ্যাক বাটারওয়ার্থের সহযোগিতায় সুশান্তকুমার 'ডব্লিউএমজি' (ওয়ারউইক ম্যানুফ্যাকচারিং গ্রুপ) প্রতিষ্ঠা করেন, যা কিনা বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক বিভাগের অন্যতম এবং এটি শিল্পের সহযোগী গবেষণা এবং শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য পরিচিত।[১৪] প্রসঙ্গত, ২০০৮ খ্রিস্টাব্দেই তার মধ্যস্থতায় যুক্তরাজ্যের বহুজাতিক মোটরগাড়ি শিল্প প্রতিষ্ঠান জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার এবং ভারতীয় বহুজাতিক সংস্থা টাটা মোটরস-এর মধ্যে অংশীদারিত্ব গড়ে ওঠে।[১৫][১৬] এবং ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল অটোমোটিভ ইনোভেশন সেন্টারে বিনিয়োগ সহজ হয়।[১৭]

শিক্ষাক্ষেত্রে অধ্যাপক ভট্টাচার্যের নতুন নতুন বিষয় প্রবর্তন ও শিল্প ক্ষেত্রের নতুন উদ্ভাবনে আকৃষ্ট হয়ে যুক্তরাজ্যের একাধিক প্রধানমন্ত্রী ডব্লিউএমজি-এর প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেন। ১৯৯০ খ্রিস্টাব্দে প্রধানমন্ত্রীর মার্গারেট থ্যাচার ডব্লিউএমজি- এর 'অ্যাডভান্সড টেকনোলজি সেন্টারের' উদ্বোধনী বক্তৃতায় সুশান্তকুমার ভট্টাচার্যকে "এক সত্যিকারের পথিকৃৎ" হিসাবে উল্লেখ করেন।[১৮] এক দশক পর, যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার বর্ণনা করেন- "শিল্প প্রাসঙ্গিকতার সাথে শিক্ষার শ্রেষ্ঠত্বের সমন্বয়ের এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো ডব্লিউএমজি "[১৯] ২০০৭ খ্রিস্টাব্দের এক সভায়, টনি ব্লেয়ারের উত্তরসূরি, গর্ডন ব্রাউন, সুশান্তকুমারের প্রশংসা করে বলেন, "আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্জিত জ্ঞান কীভাবে বাস্তব জগতে কী অবদান রাখতে পারে তার প্রধান উদাহরণ হলো ডব্লিউএমজি "।[২০]

২০১৬ খ্রিস্টাব্দে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে চ্যান্সেলর ফিলিপ হ্যামন্ডের সঙ্গে ব্রিটিশ সরকারের শিল্পোন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসাবে ডব্লিউএমজি পরিদর্শন করেন।[২১] ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দের নববর্ষে সুশান্তকুমার ভট্টাচার্য কমান্ডার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (সিবিই) নিযুক্ত হন[২২] এবং ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে নাইট উপাধি লাভ করেন।[২৩] ২০০৪ খ্রিস্টাব্দের ৩ জুন 'ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস কাউন্টির মোসেলি' কর্তৃক 'লাইফ পিয়ার' উপাধিতে 'ব্যারন ভট্টাচার্য' নামে আখ্যায়িত হন[][২৪] তিনি হাউস অফ লর্ডসের লেবার সদস্য হন।[] ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি রয়্যাল সোসাইটির (এফআরএস) ফেলো নির্বাচিত হন।[২৫][২৬] তিনি রয়্যাল একাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এর ফেলোও[] সহ ইনস্টিটিউশন অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, ইনস্টিটিউশন অফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্স, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল একাডেমি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এবং চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অফ লজিস্টিকস এবং ট্রান্সপোর্ট ইত্যাদির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

এ ছাড়াও তিনি 'ইউকে কাউন্সিল ফর সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি'র সাবেক সদস্য এবং 'অ্যাডভান্টেজ ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস', 'ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস রিজিওনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি' (আরডিএ) এরও একসময়ের বোর্ড সদস্য ছিলেন।[২৭] তিনি দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন। তিনি লন্ডনের 'ইনস্টিটিউট ফর পাবলিক পলিসি রিসার্চ'-এর নীতি উপদেষ্টা পরিষদে ছিলেন[২৮] এবং ১৯৯০ থেকে ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত জাতীয় উপভোক্তা কাউন্সিলের দায়িত্ব পালন করেন। অধ্যাপক লর্ড সুশান্তকুমার ভট্টাচার্য 'ওয়ারউইক ম্যানুফ্যাকচারিং গ্রুপ' (ডব্লিউএমজি) এর প্রতিষ্ঠাতা এবং আমৃত্যু প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি ছিলেন। একজন শিক্ষা ও শিল্প ক্ষেত্রের একজন দূরদর্শী ব্যক্তি হিসাবে সহযোগিতামূলক গবেষণায় ও উদ্ভাবনী শক্তিতে দুইয়েরই অগ্রগতি নিশ্চিত করতে নিররন্তর প্রয়াসী ছিলেন এবং বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেন। তার প্রবর্তিত ইন্টিগ্রেটেড গ্র্যাজুয়েট ডেভেলপমেন্ট স্কিম (যা তার স্কিমের অনুরূপ এবং বহু বিশ্ববিদ্যালয়ে CPD হিসাবে পরিচিত) বর্তমান কালে এটি সর্বোত্তম অনুশীলন হিসাবে বিবেচিত।

হাউস অফ লর্ডস-

সুশান্তকুমার ভট্টাচার্য হাউস অফ লর্ডস'-এ লেবার পার্টির সদস্য ছিলেন। তিনি ব্যবসা ও শিল্প, অর্থনীতি ও অর্থ, শিক্ষা, আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মতো নীতির বিষয়গুলি দেখতেন। সমস্ত কর্মজীবনে তিনি প্রকৌশল উদ্ভাবন এবং ব্রিটিশ শিল্পের পুনরুজ্জীবনের জন্য সচেষ্ট ছিলেন।[২৯] লর্ড বেকার যুক্তরাজ্যের কারিগরি শিক্ষায় তার অসামান্য অবদানের কথা উল্লেখ করে তার প্রতি বিশেষ শ্রদ্ধা ব্যক্ত করেন।[৩০]

গ্রন্থ-

২০০২ খ্রিস্টাব্দে, অ্যান্ড্রু লরেঞ্জ লর্ড ভট্টাচার্যের কর্মজীবন এবং ডব্লিউএমজি-এর অগ্রগতি নিয়ে - কুমার ভট্টাচার্য: দ্য আনসাং গুরু শীর্ষক একটি গ্রন্থ রচনা করেন।[৩১]

পুরস্কার ও সম্মাননা

[সম্পাদনা]

লর্ড সুশান্তকুমার ভট্টাচার্য যুক্তরাজ্যের ফেলো অফ দ্য রয়েল সোসাইটি সহ বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন ও বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিক ডক্টরেটসহ নানা সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।[২৫]

১৯৯২ : সারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টর অফ ইউনিভার্সিটি (DUniv) সম্মানে ভূষিত হন; ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে: শিল্প ও প্রযুক্তি পরিষেবার জন্য সিবিই পুরস্কৃত ; মালেশিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি, অনারারি প্রফেসরশিপ ছাড়াও সাম্মানিক ডক্টরেট অফ সায়েন্স (ডিএসসি) প্রদান করে; ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে: ইনস্টিটিউশন ফর ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্স ম্যানুফ্যাকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যানেজমেন্টে অসামান্য আন্তর্জাতিক অবদানের জন্য 'মেন্সফোর্থ ইন্টারন্যাশনাল গোল্ড মেডেল' প্রদান করে।[৩২][৩২] ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে: স্যার রবার্ট লরেন্স অ্যাওয়ার্ড ফর সার্ভিসেস টু লজিস্টিকস - ইনস্টিটিউট ফর লজিস্টিকস অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট।[৩৩] ২০০২ খ্রিস্টাব্দে: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মভূষণ প্রদান।[৩৪] ২০০৩ খ্রিস্টাব্দে: উচ্চ শিক্ষা ও শিল্পের সেবার জন্য নাইট উপাধি; হংকং পলিটেকনিক ইউনিভার্সিটি সাম্মানিক প্রফেসরশিপ ছাড়াও, সাম্মানিক ডক্টর অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন(ডিবিএ) ডিগ্রি প্রদান করে; ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে: ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস কাউন্টির মোসেলি কর্তৃক লাইফ পিয়ার উপাধিতে ব্যারন ভট্টাচার্য নামে আখ্যায়িত করা হয়; বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় সাম্মানিক ডক্টরেট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং প্রদান করে।[৩৫] ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে: যুক্তরাজ্যে গবেষণা ও উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য দ্য রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি প্রদান করে - ডানকান ডেভিস পদক[৩৬] ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে: আইআইটি খড়গপুর থেকে সাম্মানিক ডক্টরেট অফ সায়েন্স (ডিএসসি) ডিগ্রি। ২০১১ খ্রিস্টাব্দে: সাম্মানিক সদস্যপদ – সোসাইটি অফ ম্যানুফ্যাকচারিং ইঞ্জিনিয়ার্স (এসএমই) যোগ্যতা এবং মর্যাদার জন্য প্রদত্ত, পাশাপাশি সমাজের লক্ষ্যগুলি অর্জনের জন্য যথেষ্ট দক্ষতা এবং প্রতিভার অবদান। [৩৪] ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে: ওড়িশার ভুবনেশ্বরের 'ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি' তাকে সাম্মানিক ডিএসসি প্রদান করে। ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে: ইউকে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যানুফ্যাকচারিং এর মর্যাদা বৃদ্ধিতে অসামান্য ব্যক্তিগত কৃতিত্বের জন্য এবং ওয়ারউইক ইউনিভার্সিটি এবং কভেন্ট্রি সিটির প্রচারে তার পরিষেবার জন্য কভেন্ট্রি পুরস্কার। ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে: প্রকৌশল গবেষণা এবং শিক্ষায় অবদানের জন্য রয়্যাল সোসাইটির ফেলো হিসাবে নির্বাচিত। [৩৫] ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে: রতন টাটার সঙ্গে সুশান্তকুমার ভট্টাচার্যকেও কভেন্ট্রি শহরের অনারারি ফ্রিম্যান মর্যাদা প্রদান করা হয়।[৩৭] ২০১৬ খ্রিস্টাব্দে: ডব্লিউএমজি একটি রেজিয়াস প্রফেসরশিপ প্রদান করে, লর্ড ভট্টাচার্য্য ম্যানুফ্যাকচারিং (ইঞ্জিনিয়ারিং) এর রেজিয়াস প্রফেসর হন। [৩৭] [৩৮] ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে: গ্রেট ওয়াল ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন, [৩৯] বেইজিং মিউনিসিপ্যালিটির পিপলস গভর্নমেন্টের পক্ষে বেইজিংয়ের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মিঃ চেন জিনিংয়ের কাছ থেকে "বিদেশী বিশেষজ্ঞদের জন্য বেইজিংয়ের সর্বোচ্চ পুরস্কার" [৪০] হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ২০১৭ খ্রিস্টাব্দে: চীন ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন, যাকে ভাইস-প্রিমিয়ার মা কাইয়ের কাছ থেকে "চীনের সর্বোচ্চ সম্মান একজন বিদেশীকে দেওয়া" হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। [৩৯] ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে: যুক্তরাজ্যের ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় ডি.ফিল প্রদান করে[৩৮] ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে: বেইজিং এর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, থেকে সম্মানিক ডক্টরেট।[৩৯] ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে: ওড়িশার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি থেকে সম্মানিক ডক্টরেট।[৪০] ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে: এলাহাবাদের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজি থেকে সাম্মানিক ডক্টরেট।[৪১] ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে: সোয়ানসি ইউনিভার্সিটি দ্বারা জিনকিউইচ মেডেল [46] পুরস্কৃত করা হয়েছে এবং সোয়ানসি ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং বার্ষিক জিনকিউইচ বক্তৃতা প্রদান করেছে। [৪৭]

লর্ড ভট্টাচার্য নামাঙ্কিত

[সম্পাদনা]

২০১৮ খ্রিস্টাব্দের নভেম্বর মাসে কভেন্ট্রি সিটি কাউন্সিলের সুপারিশ অনুসারে 'ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়'এর রাস্তার একটি অংশের নামকরণ হয় - 'লর্ড ভট্টাচার্য্য ওয়ে'। এছাড়াও 'লর্ড ভট্টাচার্য্য ওয়ে' সংলগ্ন স্থানে প্রস্তাবিত যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল অটোমোটিভ ইনোভেশন সেন্টার বিল্ডিং-এর নামও দ্য লর্ড ভট্টাচার্য্য বিল্ডিং নির্ধারিত হয়।[৪২]

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

অধ্যাপক ভট্টাচার্য ও তার আইরিশ স্ত্রী ব্রিজেটের তিন কন্যারা হলেন- অনিতা, টিনা এবং মালিনী।[] তিনি বাংলা ও ইংরেজির পাশাপাশি হিন্দি, তামিল ও তেলুগু ভাষাও জানতেন এবং[৪৩] বার্মিংহাম পোস্টে নিয়মিত লিখতেন।[৪৪][৪৫]

জীবনাবসান

[সম্পাদনা]

অধ্যাপক লর্ড সুশান্তকুমার ভট্টাচার্য ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের ১ মার্চ স্বল্প রোগভোগের পর প্রয়াত হন।[৪৬]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Bhattacharyya, Baron, (Sushantha Kumar Bhattacharyya)"হু'স হুukwhoswho.com (online Oxford University Press সংস্করণ)। এ অ্যান্ড সি ব্ল্যাক, ব্লুম্‌সবারি পাবলিশিং পিএলসি মুদ্রিত। ২০০৭। ডিওআই:10.1093/ww/9780199540884.013.U7480  (সাবস্ক্রিপশন বা ইউকে পাবলিক লাইব্রেরি সদস্যতা প্রয়োজন) (সদস্যতা প্রয়োজনীয়)
  2. "List of Fellows"Royal Academy of Engineering। ৮ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৮ 
  3. "Kumar Bhattacharyya"Royal Society। ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৮  One or more of the preceding sentences incorporates text from the royalsociety.org website where:

    “All text published under the heading 'Biography' on Fellow profile pages is available under Creative Commons Attribution 4.0 International License.” -- ওয়েব্যাক মেশিনে Royal Society Terms, conditions and policies (২০১৬-১১-১১ তারিখে আর্কাইভকৃত)

  4. "Lord Bhattacharyya"UK Parliament। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৮ 
  5. "Professor Lord Kumar Bhattacharyya: Chairman of WMG"University of Warwick। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৮ 
  6. "Professor Lord Kumar Bhattacharyya :: Chairman of WMG"Warwick.ac.uk। ১১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০১৮ 
  7. "Engine for change: Industrialist and educator Lord Bhattacharyya"Financial Times। ২ আগস্ট ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০১৮ 
  8. Amit, Roy (১ মে ২০০৪)। "Kharagpur to House of Lords"The Telegraph - Calcutta। ২৯ মে ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৮ 
  9. Aditya, S. (১৯৮৭)। "Sudhir Kumar Bhattacharyya 1909–1987" (পিডিএফ)Biographical Memoirs of Fellows of the Indian National Science Academy1: 194–204। 
  10. Morgan, Oliver (১৯ জুন ২০০৫)। "A Brahmin of business"The Observer। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৮ 
  11. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; whoswho3 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  12. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; theguardian.com3 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  13. Bhattacharyya, Kumar (১৯৭০)। Characteristics of wheel wear in precision surface grindingBham.ac.uk (গবেষণাপত্র)। University of Birmingham। টেমপ্লেট:Copac 
  14. "Kumar Bhattacharyya"Times Higher Education। ২৪ মার্চ ২০০০। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৮ 
  15. "Jaguar Land Rover "at start of great revival""BBC One, The Politics Show West Midlands। ১১ ডিসেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৮ 
  16. "JLR at start of a 'great revival'"BBC News। ১১ ডিসেম্বর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৮ 
  17. Brown, Graeme (১৪ জুন ২০১৩)। "Jaguar Land Rover backs hi-tech campus with £45m"Birmingham Post। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৮ 
  18. "Speech opening Warwick University Advanced Technology Centre | Margaret Thatcher Foundation"Margaretthatcher.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-৩১ 
  19. "Tony Blair visits University of Warwick"Warwick.ac.uk (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-৩১ 
  20. "WMG :: Gordon Brown unveils foundation stone of Warwick Digital Lab"Warwick.ac.uk (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-৩১ 
  21. Gilbert, Simon (২০১৭-০৪-২৮)। "Government wants Coventry & JLR at heart of global car industry"Coventrytelegraph.net। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-৩১ 
  22. "নং. 54625"দ্যা লন্ডন গেজেট (সম্পূরক) (ইংরেজি ভাষায়)। ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৬। 
  23. "নং. 57391"দ্যা লন্ডন গেজেট (ইংরেজি ভাষায়)। ২৪ আগস্ট ২০০৪। 
  24. "নং. 57312"দ্যা লন্ডন গেজেট (ইংরেজি ভাষায়)। ৯ জুন ২০০৪। 
  25. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; royal নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  26. "Professor Lord Bhattacharyya elected as a Fellow of The Royal Society"University of Warwick। ১ মে ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৮ 
  27. "Hansard Written Answers: Advantage West Midlands"TheyWorkForYou। ৭ নভেম্বর ২০০২। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৮ 
  28. "Kumar Bhattacharyya"Institute for Public Policy Research। ৩ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৮ 
  29. "Hansard – Lords – Houses of Parliament – Archives (26 April 2013): Lord Bhattacharyya: Spoken material by date"UK Parliament। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৮ 
  30. "Lords Hansard text for 23 October 2014 (pt 0002)"UK Parliament। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৮ 
  31. Lorenz, Andrew. (২০০২)। Kumar Bhattacharyya : the unsung guru। London: Random House Business। আইএসবিএন 0-7126-7244-3ওসিএলসি 50526920 
  32. "IET Viscount Nuffield/Mensforth Lecture"The Institution of Engineering and Technology। ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ 
  33. "The Sir Robert Lawrence Award"Chartered Institute of Logistics and Transport (UK)। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৮ 
  34. "Padma Bhushan Awardees"Government of India 
  35. "Honorary Graduates of the University of Birmingham since 2000" (পিডিএফ)University of Birmingham। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৮ 
  36. "The Duncan Davies Medal"The Research & Development Society। ১৬ নভেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০১৩ 
  37. Gibbons, Duncan (২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫)। "'Saviours of Jaguar Land Rover' honoured as Freemen of the City"Coventry Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৮ 
  38. "January 2018 University of York to award Honorary Degrees – Electronic Engineering, The University of York"York.ac.uk (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-২২ 
  39. "USTB 2018 student graduation ceremony and degree awarding ceremony"News.ustb.edu.cn। ১৮ জুলাই ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০১৮ 
  40. "Professor Lord Bhattacharyya receives an honorary degree from Kalinga Institute of Industrial Technology"Shaping the future (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৯-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০৯ 
  41. "Professor Lord Bhattacharyya receives an honorary degree from the Indian Institute of Technology"Shaping the future (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৯-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-০৯ 
  42. "Vice-Chancellor announcement" 
  43. "The Kumars at Number 10"The Telegraph - Calcutta। ৯ মে ২০০৪। ২ জুলাই ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৮ 
  44. "Kumar Bhattacharyya"Birmingham Post। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০১৮ 
  45. "Birmingham Post: Business news, local news, expert opinion"Birminghampost.net। ২২ অক্টোবর ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০১৮ 
  46. Mullen, Enda (১ মার্চ ২০১৯)। "Professor Lord Bhattacharyya dies aged 78"Coventry Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ২ মার্চ ২০১৯