সুস্মিতা সেন | |
---|---|
জন্ম | [১] | ১৯ নভেম্বর ১৯৭৫
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৯৩-বর্তমান |
উপাধি | ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ১৯৯৪ (বিজয়ী) মিস ইউনিভার্স ১৯৯৪ (বিজয়ী) |
সন্তান | ২ (দত্তক) |
পুরস্কার | পূর্ণ তালিকা |
সুস্মিতা সেন (হিন্দি: सुष्मिता सेन, জন্ম: ১৯ নভেম্বর ১৯৭৫)[৪][৫] হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও মডেল। সেন ১৯৯৪ সালে ১৮ বছর বয়সে ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া-এর মুকুট জয় করেন এবং পরে মিস ইউনিভার্স (১৯৯৪)-এর মুকুট জয় করেন। তিনি প্রথম বাঙালি তথা প্রথম ভারতীয় হিসেবে মিস ইউনিভার্সের মুকুট লাভ করেন। মূলত হিন্দি চলচ্চিত্রে কাজের জন্য পরিচিতি লাভ করলেও তিনি তামিল ও বাংলা ভাষার চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্রে তার কাজের জন্য তিনি দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন।
সুস্মিতা সেন হায়দ্রাবাদে[৬] বাঙালী বৈদ্যব্রাহ্মণ[৭] পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন[৮]। তার বাবা সুবীর সেন ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রাক্তন উইং কমান্ডার এবং মা সুভ্রা সেন অলঙ্কার ডিজাইনার এবং দুবাইভিত্তিক একটি দোকানের মালিক।
তিনি নতুন দিল্লীতে বিমান বাহিনীর গোল্ডেন জুবিলী ইন্সিটিউট-এ ভর্তি হন।[৯] এবং পরে সেকেন্দ্রাবাদে সেন্ট অ্যান্ট'স হাইস্কুলে ভর্তি হন কিন্তু উচ্চ শিক্ষা নিয়ে এগোননি।[১০][১১]
১৯৯৪ সালে কিশোরী বয়সে সেন ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। তিনি 'ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স'-এর মুকুট লাভ করেন এবং ১৯৯৪ সালের মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেন।[১২]
মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় সেন প্রাথমিক পর্বে তৃতীয় স্থান লাভ করেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ছিলেন যথাক্রমে মিস কলম্বিয়া ক্যারোলিনা গোমেজ ও মিস গ্রিস রিয়া টোটোঞ্জি। পরবর্তী পর্বগুলোতে তিনি দ্বিতীয়, পঞ্চম ও তৃতীয় স্থান লাভ করেন এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে মিস ইউনিভার্স ১৯৯৪-এর শিরোপা ও মুকুট জয় করেন। তিনি প্রথম ভারতীয় হিসেবে এই উপাধি লাভ করেন।[১৩]
মিস ইউনিভার্স খেতাব জেতার পর সুস্মিতা চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। তার প্রথম চলচ্চিত্র দস্তক ১৯৯৬ সালে মুক্তি পায়। এতে তিনি শরদ কাপুরের চরিত্রের শিকার চরিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৯৭ সালে তিনি তামিল মারপিঠধর্মী চলচ্চিত্র রাতচাগান-এ শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেন। দুই বছর পর তিনি ডেভিড ধবনের হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র বিবি নাম্বার ওয়ান-এ রূপালী চরিত্রে অভিনয় করেন এবং ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী পুরস্কার অর্জন করেন। ছবিটি ১৯৯৯ সালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী চলচ্চিত্র ছিল।[১৪] একই বছর তিনি সির্ফ তুম ছবিতে অভিনয় করে একই বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ২০০০ সালে তাকে ফিজা চলচ্চিত্রের "মেহবুব মেরে" গানে দেখা যায়।[১৫]
সুস্মিতা প্রায়শই ভারতের সবচেয়ে আড়ম্বরপূর্ণ এবং চাকচিক্যময় মহিলা হিসাবে পরিচিত,[১৬][১৭] সুস্মিতা সেন "রেনী" নামের এক মেয়ে বাচ্চাকে ২০০০ সালে দত্তক নিয়ে ইতিহাস তৈরি করেন।[২][১৮] তিনি মাত্র ২৫ বছর বয়সে এককী নারী হিসেবে, শিশু দত্তক নেওয়ায় অভিভাবকত্ব নিয়ে সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্যতার প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু মুম্বাই আদালত তাদের আবেদন রদ করে এবং সুস্মিতা জয়লাভ করেন। ১৩ জানুয়ারী, ২০১০ সালে তিনি "আলিশা" নামে তিন মাস বয়সী মেয়ে বাচ্চাকে দত্তক নেন।[২]
এ ছাড়াও তিনি ৩৫ টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। তিনি বলিউড এর প্রথম নায়িকা যিনি মিস ইউনিভারস এর খেতাব জেতেন।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী ডায়ানারা তোরেস |
মিস ইউনিভার্স ১৯৯৪ |
উত্তরসূরী চেলসি স্মিথ |
পূর্বসূরী নম্রতা শিরোদকর |
ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ১৯৯৪ |
উত্তরসূরী মনপ্রীত ব্রার |