ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | স্টিভেন এলওয়ার্দি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বুলাওয়াও, রোডেশিয়া | ২৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৫|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, প্রশাসক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | এমজে এলওয়ার্দি (পুত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৭১) | ২৩ জুলাই ১৯৯৮ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৫ নভেম্বর ২০০২ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৪৮) | ৩ এপ্রিল ১৯৯৮ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৯ অক্টোবর ২০০২ বনাম বাংলাদেশ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৮ - ১৯৯৭ | নর্দার্ন ট্রান্সভাল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৬ | ল্যাঙ্কাশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৭ - ২০০৩ | নর্দার্নস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৩ | নটিংহ্যামশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৯ অক্টোবর ২০২০ |
স্টিভেন এলওয়ার্দি, এমবিই (ইংরেজি: Steve Elworthy; জন্ম: ২৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৫) বুলাওয়াও এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও প্রশাসক। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের শেষদিক থেকে ২০০০-এর দশকের সূচনালগ্ন সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নর্দার্ন ট্রান্সভাল, নর্দার্নস ও ট্রান্সভাল এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ার ও নটিংহ্যামশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে মাঝারিসারিতে ব্যাটিং করতেন স্টিভ এলওয়ার্দি।
১৯৮৭-৮৮ মৌসুম থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত স্টিভ এলওয়ার্দি’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকায় চৌদ্দ মৌসুমেরও অধিক সময় নর্দার্নসের পক্ষে খেলেছেন। ২০০১-০২ মৌসুমে ১৮.১১ গড়ে ৫২ উইকেট পান ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে শীর্ষ উইকেট সংগ্রাহকে পরিণত হন। ২০০২ সালে সাউথ আফ্রিকান ক্রিকেট অ্যানুয়েল কর্তৃক বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননা লাভ করেন। ২০০৩ সালে নর্দার্নসের পক্ষে চুক্তিতে সাক্ষর করেননি তিনি।[১] এরফলে, কার্যত তিনি পেশাদারী খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেন।
ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৯৬ সালে ঐ দলের পক্ষে এক মৌসুম খেলেন। তবে, ঐ বছরটি তার বেশ প্রতিকূলতার মধ্যে কাটে। ৪১ গড়ে ২৬ উইকেট পান। লর্ডসে প্রথম চূড়ান্ত খেলায় তাকে বাদ দেয়া হয়। ঐ দিন সকালে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চলে আসেন। বিএন্ডএইচ কাপের চূড়ান্ত খেলার সকালে তাকে ক্যাপ প্রদান করার কথা ছিল।[২]
২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের খেলায় নটিংহ্যামশায়ারের নিয়মিত বিদেশী খেলোয়াড় স্টুয়ার্ট ম্যাকগিল ও ক্রিস কেয়ার্নসের পরিবর্তে তিনি ছয় সপ্তাহ খেলেন।[৩]
ইংরেজ ক্লাব দল হিঙ্কলি টাউনের পক্ষে খেলেন। এছাড়াও, পেশাদারী পর্যায়ে অনেকগুলো বছর রিশটন ও ফ্লোয়ারি ফিল্ডের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চরটিমাত্র টেস্ট ও ঊনচল্লিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন স্টিভ এলওয়ার্দি। ২৩ জুলাই, ১৯৯৮ তারিখে নটিংহামে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৫ নভেম্বর, ২০০২ তারিখে সেঞ্চুরিয়নে সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
দীর্ঘ ১০ বছর প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণের পর ৩২ বছর বয়সে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে খেলার জন্যে আমন্ত্রণ বার্তা পান তিনি। ৩ এপ্রিল, ১৯৯৮ তারিখে পাকিস্তানের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় স্টিভ এলওয়ার্দি’র। পরবর্তীতে ঐ বছরের শেষদিকে টেস্ট খেলার সুযোগ পান। ১৯৯৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। ২৩ জুলাই, ১৯৯৮ তারিখে নটিংহামের ট্রেন্ট ব্রিজে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে তার। ঐ মৌসুমের শীতকালে নিউজিল্যান্ড গমন করেন। ওয়েলিংটনে ১৫৯ রান খরচায় ৮ উইকেট পান। তবে, শেষ দুই খেলায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলার পূর্বে তাকে তিন বছর অপেক্ষা করতে হয়।
১৯৯৮ থেকে ২০০২ সালের মধ্যে চারটিমাত্র টেস্ট ও ঊনচল্লিশটি ওডিআইয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেন তিনি।[২]
জুন, ২০১৮ সালে এমবিই উপাধিতে ভূষিত হন। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর থেকে প্রশাসনের দিকে ঝুঁকে পড়েন তিনি। ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের প্রশাসনের সাথে যুক্ত রয়েছেন।
ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার বাণিজ্যিক এবং যোগাযোগ ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেন ও বেশ সফলতা পান। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত টুয়েন্টি২০ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশীপের উদ্বোধনী আসরে প্রতিযোগিতার পরিচালক হিসেবে মনোনীত হন। ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সালে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের বাজারজাতকরণ ও যোগাযোগ পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হন।[৪]
ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। এমজে এলওয়ার্দি নামীয় সন্তান প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নিচ্ছে।