স্বামী বিজ্ঞানানন্দ | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | হরিপ্রসন্ন চট্টোপাধ্যায় ৩০ অক্টোবর ১৮৬৮ |
মৃত্যু | ২৫ এপ্রিল ১৯৩৮ | (বয়স ৬৯)
ধর্ম | হিন্দুধর্ম |
ক্রম | রামকৃষ্ণ মিশন |
দর্শন | অদ্বৈত বেদান্ত |
ধর্মীয় জীবন | |
গুরু | রামকৃষ্ণ |
শিষ্য
|
স্বামী বিজ্ঞানানন্দ (ইংরেজি: Swami Bijnananada) (৩০ অক্টোবর ১৮৬৮ - ২৫ এপ্রিল ১৯৩৮) রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের চতুর্থ অধ্যক্ষ।[১]
পিতৃদত্ত নাম হরিপ্রসন্ন চট্টোপাধ্যায়। পিতার কর্মস্থল উত্তর প্রদেশের এটোয়া শহরে জন্ম। স্নাতক হয়ে পুণে থেকে পূর্তবিদ্যা শিক্ষা লাভ করেন। একসময় তিনি গাজিপুরে ডিস্ট্রিক্ট ইঞ্জিনিয়ারপদে কর্মরত ছিলেন। বাল্যকালেই তিনি দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের কাছে দীক্ষালাভ করেন। ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে চাকরি ত্যাগ করে প্রথমে তিনি আলমবাজার মঠের আসেন। ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে বেলুড়মঠ স্থাপনাকালে তিনি স্বামী বিবেকানন্দের নির্দেশে মঠের নকশা প্রস্তুত করে তার নিজের তত্ত্বাবধানে মঠের গৃহাদি নির্মাণ করেন। স্বামীজির ইচ্ছানুসারে তার জীবিতাবস্থায় তিনি শ্রীরামকৃষ্ণ মন্দিরেরও একটি নকশা করেছিলেন। তিনি বেলুড় মঠে সন্ন্যাস-দীক্ষাগ্রহণ করেন। নাম হয় বিজ্ঞানানন্দ। ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে তিনি রামকৃষ্ণ মিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে স্বামী অখণ্ডানন্দের মৃত্যুর পর অধ্যক্ষপদে অধিষ্ঠিত হন। তারই অধ্যক্ষতায় ও পরিকল্পনা অনুযায়ী শ্রীরামকৃষ্ণ মন্দিরটি ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত ও প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি 'সূর্য সিদ্ধান্ত' নামে জ্যোতিষ বিষয়ক একটি সংস্কৃত গ্রন্থ বঙ্গানুবাদ-সহ সম্পাদন ও বরাহমিহির রচিত 'বৃহজ্জাতকম' গ্রন্থটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। জলকল স্থাপন বিষয়ে বাংলা ভাষায় দুই খণ্ডে রচিত তার গ্রন্থ 'জল সরবরাহের কারখানা' ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।
১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দে ২৫ এপ্রিল মঠের অধ্যক্ষপদে থাকাকালীন এলাহাবাদে বর্তমানে প্রয়াগরাজে স্বামী বিজ্ঞানানন্দের জীবনাবসান হয়।