![]() ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৫ পর্যন্ত বাংলাদেশে (হুজি-বি) বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। | |
প্রতিষ্ঠা | ৩০ এপ্রিল ১৯৯২ |
---|---|
নামকরন | হুজি-বি |
প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল | জাতীয় প্রেস ক্লাব (বাংলাদেশ), ঢাকা। |
সক্রিয় | ১৯৯২-২০০৭ |
বিচরন | বাংলাদেশ। |
সন্ত্রাসী কর্মকান্ড | বাংলাদেশের ১৪টি স্থানে বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলায় ১০০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যায় দায়ী করা হয়। |
হরকাতুল জিহাদ আল-ইসলামি বাংলাদেশ হলো হরকাতুল জিহাদ আল-ইসলামি (হুজি) নামক আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী সংগঠনের বাংলাদেশি শাখা। সংগঠনটি দেওবন্দ মতাদর্শ ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন। এটি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ এবং যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাস আইন ২০০০ এর অধীনে একটি নিষিদ্ধ সংস্থা। বাংলাদেশে সংগঠনটির নামের সংক্ষিপ্ত রূপ হুজি-বি নামেও এর পরিচিতি রয়েছে।[১]
গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মাওলানা আবদুস সালাম। [২] মুফতি আবদুল হান্নান হুজি বাংলাদেশের বাংলাদেশী শাখার সর্বশেষ নেতা ছিলেন। হান্নানকে বাংলাদেশের উচ্চ আদালতে নির্দেশে ১২ই এপ্রিল ২০১৭ সালে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে তার মামলাটি ছিলো ব্রিটিশ হাইকমিশনার হত্যাচেষ্টা মামলা। [৩] সন্ত্রাসবাদ জড়িত থাকার তথ্যে ২৫ ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। [৪]
হরকত-উল-জিহাদ-আল-ইসলাম (হুজি) কেন্দ্রীয় সংগঠন ১৯৮৪ সালে সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধের সময় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। [৫] সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধের বাংলাদেশী মুজাহিদীনদের দ্বারা ১৯৮৯ সালে হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ (হুজি-বি) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যশোরের মনিরামপুরের মাওলানা আবদুর রহমান ফারুকী। কিন্তু ওই বছরই আফগানিস্তানের খোস্তে মাইন অপসারণের সময় মাওলানা ফারুকী নিহত হন। পরে ঢাকায় বাংলাদেশ জাতীয় প্রেস ক্লাবে ৩০ এপ্রিল ১৯৯২ সালে হুজি বাংলাদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠা পায়। [৬] গোষ্ঠীর বাংলাদেশি শাখার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন মাওলানা আবদুস সালাম। [২] দলটি প্রতিষ্ঠার পর বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলায় ১০০ জনেরও বেশি লোকের মৃত্যুতে এ দলকে দায়ী করা হয়। [৭] পশ্চিমা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বিদ্রোহকে সমর্থন করার জন্য এই গ্রুপটি পরিচিত। [৮] এটি রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) এবং আরাকান রোহিঙ্গা জাতীয় সংস্থা (এআরএনও) এর সাথে সম্পর্কযুক্ত। [৫]