ហរិហរាល័យ | |
বিকল্প নাম | Roluos |
---|---|
অবস্থান | Siem Reap, কম্বোডিয়া |
অঞ্চল | দক্ষিণপূর্ব এশিয়া |
স্থানাঙ্ক | ১৩°২০′ উত্তর ১০৩°৫৮′ পূর্ব / ১৩.৩৩৩° উত্তর ১০৩.৯৬৭° পূর্ব |
ধরন | প্রত্নস্থল |
ইতিহাস | |
নির্মাতা | জয়বর্মন ২য় |
উপাদান | বেলেপাথর, laterite, ইট |
প্রতিষ্ঠিত | খ্রিস্টাব্দ ৯ম শতক |
সময়কাল | Middle periods |
স্থান নোটসমূহ | |
অবস্থা | ধ্বংসপ্রাপ্ত |
জনসাধারণের প্রবেশাধিকার | উন্মুক্ত |
স্থাপত্য | |
স্থাপত্য শৈলী | Preah Ko |
হরিহরালয় (খ্মের: ហរិហរាល័យ, Hariharalay) কম্বোডিয়ার একটি প্রাচীন শহর যা খেমার সাম্রাজ্য এর রাজধানী ছিল। এটি কম্বোডিয়ার রোলুওস নামক স্থানে সিয়েম রীপ এর নিকটে অবস্থিত। বর্তমানে এই শহরের যেসব নিদর্শন দেখতে পাওয়া যায় তার মধ্যে প্রীহ কো, ব্যাকং, ললেই প্রভৃতি রাজকীয় মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ উল্লেখযোগ্য।[১]:৬০[২]:৩৫৩–৩৫৭
হরিহর + আলয় =হরিহরালয়। হরিহরালয় নামটি এঙ্কর-পূর্ব যুগের কম্বোডিয়ার প্রভাবশালী হিন্দু দেবতা হরিহর এর নাম থেকে এসেছে। ‘হরিহর’ নামটি ‘হরি’ এবং ‘হর’ এই দুটি নামের যৌগিক রূপ যেখানে হরি বিষ্ণুর নাম (বিষ্ণু সহস্রনাম এ বিষ্ণুর এক নাম) এবং হর শিব এর নাম। কম্বোডিয়ার হরিহর একজন পুরুষ দেবতা যার অর্ধেকাংশ বিষ্ণুর অনুরূপ এবং অন্য অর্ধাংশ শিবের অনুরূপ। উদাহরণস্বরূপ হরিহর মূর্তির মস্তকের একপাশে মুকুট থাকে যা বিষ্ণুর বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে এবং অন্যপাশে জটাজুটবদ্ধ কেশ থাকে যা শিবের মস্তকে শোভা পায়।
খ্রিষ্টাব্দ ৮ম শতকের শেষদিকে কম্বোডিয়ার রাজা জয়বর্মন ২য় টোনলে স্যাপ হ্রদের নিকটে বিপুল এলাকা জয় করেন। এসময় তিনি হরিহরালয়ে রাজধানী প্রতিষ্ঠা করেন।[৩][৪]:৯৮ ৮০২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি নিজেকে দেশের সার্বভৌম সম্রাট ঘোষণা করেন মহেন্দ্রপর্বত থেকে, হরিহরালয় থেকে নয়। পরবর্তীকালে তিনি পুনরায় রাজধানী হরিহরালয়ে ফিরে যান এবং সেখানে ৮৩৫ খ্রিষ্টাব্দে তার মৃত্যু হয়।[৫]
জয়বর্মন ৩য় ও ইন্দ্রবর্মন ১ম, জয়বর্মন ২য় এর উত্তরসূরী ছিলেন। তারা ব্যাকং নামে পরিচিত রাজকীয় মন্দির পর্বত এবং ইন্দ্রতাতাকা বারায় এর নির্মাণ সম্পূর্ণ করেন।[৪] ৮৮১ খ্রিষ্টাব্দে ইন্দ্রবর্মন ১ম মন্দিরের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় প্রতীক ইন্দ্রেশ্বর শিবলিঙ্গ (এটি শিবের নাম যেখানে রাজার নামের একাংশ বিদ্যমান ) প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়াও ৮৮০ খ্রিষ্টাব্দে ইন্দ্রবর্মন ১ম, একটি অপেক্ষাকৃত ছোট মন্দির প্রীহ কো (পবিত্র বৃষ) নির্মাণ করেছিলেন। ৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দে ইন্দ্রবর্মন ১ম এর পুত্র ও তার উত্তরসূরী যশোবর্মন ১ম ইন্দ্রতাতাকার একটি কৃত্রিম দ্বীপে ললেই(নামটি সম্ভবত হরিহরালয়ের বিকৃত রূপ) মন্দির নির্মাণ করেন। [৬] এছাড়াও যশোবর্মন অ্যাঙ্কর থোম অঞ্চলের উত্তরে আধুনিক সিয়েম রীপ এর নিকটে যশোধরপুর নামে একটি নতুন শহর পত্তন করেছিলেন। তিনি এই নতুন শহরে তার রাজধানী স্থাপন করেন এবং একটি নতুন রাজকীয় মন্দির পর্বত নির্মাণ করেন যা ফোনোম বাখেং নামে পরিচিত। যশোধরপুর ১১৭০ খ্রিষ্টাব্দ অবধি চম্পা নগর কর্তৃক আক্রান্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত অস্তিত্বশীল ছিল।[৭]