হানি ইরানি | |
---|---|
জন্ম | |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | অভিনেত্রী, চিত্রনাট্যকার |
দাম্পত্য সঙ্গী | জাভেদ আখতার (বি. ১৯৭২; বিচ্ছেদ. ১৯৮৫) |
সন্তান | জোয়া আখতার ফারহান আখতার |
আত্মীয় | ডেইজি ইরানি (বোন) সাজিদ খান (বোনপো) ফারাহ খান (বোনঝি) |
হানি ইরানি (জন্ম ২৫ আগস্ট ১৯৫৫) হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী ও চিত্রনাট্যকার। তিনি মূলত হিন্দি চলচ্চিত্রে কাজ করে থাকেন। তিনি চিরাগ কাহাঁ রোশনি কাহাঁ ও বম্বে কা চোর চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে কাজের মধ্য দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি লমহে (১৯৯১) ও ক্যায়া কহনা (২০০০) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ কাহিনি বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং কাহো না... প্যায়ার হ্যায় (২০০০) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।
হানি ইরানি ১৯৫৫ সালের ২৫শে আগস্ট বম্বে রাজ্যের বম্বে শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার যখন আড়াই বছর বয়স তখন থেকে তিনি শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। ১৯৫০-এর দশকের শেষভাগে তিনি সন্তান, তালাক ও চিরাগ কাহাঁ রোশনি কাহাঁ চলচ্চিত্রে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন। তিনি অভিনেত্রী মীনা কুমারীর খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন, যাকে প্রায়ই পর্দায় তার মায়ের চরিত্রে দেখা যেত। মীনা কুমারী সম্পর্কে হানি বলেন, "মীনাজী প্রায়ই আমাকে বাড়ি নিয়ে যেতেন, নিজ হাতে খাওয়াতেন, গোসল করাতেন এবং ঘুম পাড়িয়ে দিতেন। তিনি আমার কাছে আমার নিজের মায়ের চেয়েও বেশি ছিলেন।"[১]
তিনি তার তিন বোনের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ। তার বড় দুই বোন হলেন মেনকা খান ও ডেইজি ইরানি। তার বড় বোন মেনকা চলচ্চিত্র নির্মাতা কামরান খানকে বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান চলচ্চিত্র নির্মাতা সাজিদ খান ও ফারাহ খান।[২] তার অপর বোন ডেইজি ইরানিও তার মত শিশুশিল্পী ছিলেন।[৩] তিনি চিত্রনাট্যকার কে.কে. শুকলাকে বিয়ে করেন।
ইরানি সীতা অউর গীতা চলচ্চিত্রের সেটে কবি ও চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতারের সাথে পরিচিত হন। তারা ১৯৭২ সালের ২১শে মার্চ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন, তখন তার বয়স ছিল ১৭ বছর।[১] তাদের থাকার জায়গা ছিল না, ফলে তারা ইরানির বড়বোন মেনকা ও তার স্বামী কামরান খানের সাথে তাদের জুহুর বাড়িতে একটি কক্ষে বসবাস করতেন। ১৯৭২ সালে তার কন্যা জোয়া আখতার এবং ১৯৭৪ সালে তাদের পুত্র ফারহান আখতার জন্মগ্রহণ করেন। ইরানি গৃহকাজে নিয়োজিত হন, কিন্তু ১৯৭০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকে তার স্বামী অভিনেত্রী শাবানা আজমির সাথে সম্পর্কে জড়িত হন। ১৯৭৮ সালে তারা আলাদা হয়ে যান এবং ১৯৮৫ সালে তাদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে।[১]
ইরানি যশ চোপড়ার অনুরোধে একটি গল্প রচনা করেছিলেন, সেই গল্পটি পরে লমহে (১৯৯১) চলচ্চিত্রে রূপদান করা হয়, যার মাধ্যমে চিত্রনাট্যকার হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন শ্রীদেবী। চলচ্চিত্রটি মধ্যমমানের আয় করলেও ইরানি শ্রেষ্ঠ কাহিনি বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন। এরপর তিনি চোপড়ার স্ত্রী পাম চোপড়ার কাছে আয়না (১৯৯৩) চলচ্চিত্রের গল্পটি বর্ণনা করেন একটি টেলিভিশন ধারাবাহিকের জন্য, কিন্তু যশ চোপড়া তা চলচ্চিত্রে রূপ দেন। ক্যায়া কহনা (২০০০) চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ কাহিনি বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং কাহো না... প্যায়ার হ্যায় (২০০০) চলচ্চিত্রের জন্য রবি কাপুরের সাথে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন।
বছর | চলচ্চিত্র | পুরস্কার | বিভাগ | ফলাফল | সূত্র |
---|---|---|---|---|---|
১৯৯২ | লমহে | ফিল্মফেয়ার পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ কাহিনি | বিজয়ী | [৪] |
২০০১ | ক্যায়া কহনা | ফিল্মফেয়ার পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ কাহিনি | বিজয়ী | |
আইফা পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য | বিজয়ী | [৫] | ||
কাহো না... প্যায়ার হ্যায় | ফিল্মফেয়ার পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য | বিজয়ী | ||
স্ক্রিন পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য | বিজয়ী | [৬] |