হিংলো নদী | |
---|---|
অবস্থান | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ |
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য | |
উৎস | |
• অবস্থান | জামতাড়ার নিকট পর্বত, সাঁওতাল পরগনা |
• স্থানাঙ্ক | ২৩°৫৪′ উত্তর ৮৭°৬′ পূর্ব / ২৩.৯০০° উত্তর ৮৭.১০০° পূর্ব |
অববাহিকার আকার | ২,০০৯ বর্গকিলোমিটার (৭৭৬ বর্গমাইল) |
নিষ্কাশন | |
• অবস্থান | অজয় নদী |
হিংলো হল অজয় নদের একটি উপনদী যা ঝাড়খণ্ড থেকে উৎপন্ন হয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলায় অজয়ের সাথে মিলিত হয়েছে।
ঝাড়খণ্ড রাজ্যের সাঁওতাল পরগনার জামতাড়ার নিকটবর্তী পর্বতশ্রেণী হতে উৎপন্ন হয়ে হিংলো নদী প্রায় অজয় নদের সমান্তরালে বয়ে এসে বীরভূম জেলার ভানগড়ের কিছু পরেই পলাশডাঙা গ্রামের নিকট অজয় নদে পতিত হয়। এই নদী অববাহিকার মোট আয়তন ২০০৯ হেকটর (৪৯৬০ একর)[১][২] সাধারণত বর্ষাকাল ছাড়া এতে জলের স্রোত থাকে না। এই নদীর তীরে হজরতপুর, ময়নাডল, জোফলাই ইত্যাদি প্রাচীন ও প্রসিদ্ধ গ্রামগুলি অবস্থিত।[২]
অজয় নদ ও কোপাই নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে হিংলোর ওপর বাঁধ নির্মিত হয়েছে। সেচকাজের জন্যে এই বাঁধ তৈরী হলেও পরিবেশবিদেরা দাবী করেন এই বাঁধ এতদাঞ্চলে বন্যা সৃষ্টির অন্যতম কারণ। হিংলো বাঁধের সহনক্ষমতা ১৭১০২০০০ কিউবিক মিটার। অপরিকল্পিত জল নিয়ন্ত্রণ, ত্রুটিপূর্ণ সেচ পরিকল্পনার কারণে তীব্র বৃষ্টিতে বাঁধের জল নিষ্কাশন করতে হয়। ফলত নদী অববাহিকার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল বন্যার সম্মুখীন হয়।[৩] ১৯৭৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের বৃহৎ বন্যাতে বীরভূম জেলার অনেকাংশ প্লাবিত হয়েছিল হিংলো নদী বাঁধ ভেঙে যাওয়ার দরুন।[৪]