হিজাম ইরাবত | |
---|---|
![]() হিজাম ইরাবত, ভারতের ১৯৯৮ সালে প্রকাশিত স্ট্যাম্পে | |
জন্ম | ৩০ সেপ্টেম্বর ১৮৯৬ |
মৃত্যু | ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৫১ |
জাতীয়তা | ব্রিটিশ ভারতীয়, ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ![]() ![]() |
মাতৃশিক্ষায়তন | পোগজ বিদ্যালয়, ঢাকা |
পেশা | স্বাধীনতা সংগ্রামী, বিপ্লবী, রাজনীতিবিদ |
পরিচিতির কারণ | ভারতের বিপ্লবী স্বাধীনতা আন্দোলন |
রাজনৈতিক দল | মনিপুর কমিউনিস্ট পার্টি |
হিজাম ইরাবত (৩০ সেপ্টেম্বর ১৮৯৬ - ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৫১), যিনি জননেতা হিজাম ইরাবত[১] নামে পরিচিত, তিনি মণিপুরের একজন রাজনীতিবিদ এবং বিপ্লবী সামাজিক কর্মী ছিলেন।
জন্মগ্রহণ করেন ১৮৯৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর। মনিপুরের ইম্ফলে জন্মগ্রহণ করেন কমরেড ইরাবত। হিজাম ইরাবত মনিপুরের স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। তিনি মনিপুর কিষাণ সভা গঠন করেছিলেন। মনিপুর কমিউনিস্ট পার্টি গঠনের ক্ষেত্রেও প্রধান ভূমিকা রেখেছিলেন। তার প্রতিষ্ঠিত স্বদেশ গানের দল পরবর্তীতে ভারতীয় গণনাট্য সংঘে পরিনত হয়। হিজাম ইরাবত দীর্ঘদিন জেল খেটেছেন বিদ্রোহের জন্য। বর্তমান বাংলাদেশের সিলেট জেলে তিনি ২ বছর কাটিয়েছেন। সিলেট জেলে থাকা অবস্থাতেই তিনি কমিউনিস্ট রাজনীতি তে সম্পৃক্ত হয়েছেন। এছাড়া ছাত্র জীবনে ঢাকার পোগজ বিদ্যালয়ে দু বছর পড়েছেন।তিনি মনিপুরের প্রথম সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু সংসদের প্রথম অধিবেশন বসার আগেই তাকে ১৯৪৮ সালে আত্মগোপনে চলে যেতে হয়। কারণ মনিপুর কিষাণ সভাকে সরকার নিষিদ্ধ করে দেয়।এরপরে কমরেড হিজাম ইরাবত গোপন কমিউনিস্ট পার্টি "মনিপুর কমিউনিস্ট পার্টি" গঠন করেন ও সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করেন। মৃত্যু পর্যন্ত তিনি মনিপুরের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৫১ সালে কমরেড হিজাম ইরাবত জঙ্গলেই মারা যান।