গঠিত | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ |
---|---|
প্রতিষ্ঠাতা | ইউএন ওমেন |
মূল ব্যক্তিত্ব | এমা ওয়াটসন কিফার সাদারল্যান্ড ভলফ ব্লিটজার[১] |
প্রধান অঙ্গ | জাতিসংঘ |
প্রধান প্রতিষ্ঠান | ইউএন ওমেন |
ওয়েবসাইট | www |
হিফরশি (ইংরেজিতে: HeForShe) জাতিসংঘের ইউএন ওমেন কর্তৃক গৃহীত একটি উদ্যোগ। এই উদ্যোগের লক্ষ্য বিশ্বজুড়ে লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠা করা। নারীর প্রতি সব ধরনের সহিংসতা ও বৈষম্য প্রতিরোধে পুরুষদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির মাধ্যমে লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠাই হিফরশি উদ্যোগের উদ্দেশ্য।[২][৩] জাতিসংঘ বিশ্বাস করে যে, ‘লিঙ্গ অসমতার প্রভাব সব ধরনের মানুষের উপরে সামাজিক, আর্থিক এবং রাজনৈতিকভাবে পড়ে। এটি কাটিয়ে উঠতে পুরুষদের প্রচেষ্টা প্রয়োজন।’
নিউ ইয়র্কের জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ২০১৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হিফরশি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করা হয়।[৪] এই অনুষ্ঠানে ইউএন ওমেন শুভেচ্ছা দূত এবং ব্রিটিশ অভিনেত্রী এমা ওয়াটসন বক্তৃতা রাখেন। বক্তৃতায় ওয়াটসন পুরুষ সমাজকে লিঙ্গ সমতা প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।[৫][৬] অনুষ্ঠানে ইউএন ওমেন তাদের এই প্রচারণায় ১০০০০০ পুরুষকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে। এর তিনদিনের মধ্যেই ইউএ ওমেন লক্ষ্যটি অর্জন করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, অভিনেতা ম্যাট ডেমন, জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনসহ আরো কয়েকজন বিখ্যাত ব্যক্তি তাদের এই প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন।
হিফরশি ওয়েবসাইটে একটি ম্যাপ ব্যবহার করা হয় যাতে বিশ্বব্যাপী যত পুরুষ হিফরশি প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করবে, তাদের সংখ্যা এবং যে অবস্থান থেকে প্রতিজ্ঞাটি করা হয় তা প্রদর্শন করা হয়। ২০১৫ সালের জুলাই নাগাদ ইউএন ওমেন এই প্রচারণায় প্রায় ১ বিলিয়ন পুরুষকে প্রতিজ্ঞা গ্রহণে সম্পৃক্ত করার জন্য কাজ করছে।[৭] এছাড়া জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ হতে লিঙ্গ সমতা ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে হিফরশি সুশীল সমাজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অনলাইনসহ বিভিন্ন উপায়ে কাজ করবে।[৮]