হিমাংশী শেলাত | |
---|---|
![]() শেলাত, ২০০৬ সালের এপ্রিল | |
স্থানীয় নাম | গুজরাতি: હિમાંશી ઇન્દુલાલ શેલત |
জন্ম | হিমাংশী ইন্দুলাল শেলাত ৮ জানুয়ারি ১৯৪৭ সুরাট, গুজরাট |
পেশা | ছোটগল্প লেখক |
ভাষা | গুজরাটি |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
শিক্ষা | এমএ.এ., পিএইচডি |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার (১৯৯৬) |
দাম্পত্যসঙ্গী | বিনোদ মেঘানি (১৯৯৫ - ২০০৯) |
আত্মীয় | জাভেরচাঁদ মেঘানি (শ্বশুর) |
স্বাক্ষর | ![]() |
হিমাংশী ইন্দুলাল শেলাত (গুজরাটি : હિમાંશી ઇન્દુલાલ શેલત; জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৪৭) ভারতের গুজরাট রাজ্যের একজন গুজরাটি লেখক। তিনি তাঁর ছোটগল্প সংকলন আন্ধারি গলিমা সফেদ তাপাকান (১৯৯২) -এর জন্য ১৯৯৬ সালে গুজরাটির জন্য সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার পান।
হিমাংশী শেলাত ১৯৪৭ সালের ৮ জানুয়ারি গুজরাটের সুরাটে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৬ সালে ব্যাচেলর অফ আর্টস এবং ১৯৬৮ সালে মাস্টার অফ আর্টস সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৮১ -১৯৮২ সালে, "ভি এস নাইপলের উপন্যাস" নিয়ে কাজ করে তাঁর পি এইচ ডি পান। তিনি ১৯৬৮ সাল থেকে ১৯৯৪ সালের অক্টোবরে তাঁর স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ পর্যন্ত সুরাটের এমটিবি আর্টস কলেজে ইংরেজি সাহিত্য পড়ান।[১][২] তিনি ২০১৩ - ২০১৭ সালের জন্য সাহিত্য অকাদেমিতে উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।[৩]
তিনি ১৯৯৫ সালের ৪ অক্টোবর বিখ্যাত গুজরাটি লেখক জাভেরচাঁদ মেঘানির ছেলে বিনোদ মেঘানিকে বিয়ে করেন। বিনোদ মেঘানি ২০০৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি মারা যান।[২]
হিমাংশী শেলাত ১৯৭৮ সালে তাঁর প্রথম গল্প সাত পাগাথিয়া অন্ধরা কুভামা লেখেন এবং একটি গুজরাটি পত্রিকা নবনীত-এ সেটি প্রকাশিত হয়। পরে ভাবনগর থেকে প্রকাশিত মিলাপ পত্রিকায় গল্পটি সেরা ছোটগল্প হিসেবে প্রকাশিত হয়। তিনি ভারতীয় লেখক যেমন মহাশ্বেতা দেবী, আশাপূর্ণা দেবী, ফণীশ্বর নাথ 'রেণু' এবং জয়বন্ত দলবির পাশাপাশি জেন অস্টেন এবং জর্জ এলিয়টের মতো ইংরেজ লেখকদের দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন।[১][২]
তাঁর প্রথম ছোটগল্পের সংকলন, অন্তরাল, ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। তার পরে তিনি লেখেন আন্ধারী গালিমা সফেদ তাপাকান (১৯৯২), আয়ে লোকো (১৯৯৭), সঞ্জনো সময় (২০০২), পঞ্চবায়কা (২০০২), খান্দানিয়ামা মাথু (২০০৪) এবং গড়ভাগাথা (২০০৯)। আঠমো রঙ (২০০১), কেয়ারিমা আকাশ পুষ্পা আনে কালা পতঙ্গিয়া (২০০৬) এবং সপ্তধারা (২০১২) তাঁর তিনটি উপন্যাস। একদানী চাকলিও (২০০৪) এবং দবে হাতে (২০১২) তাঁর প্রবন্ধের সংগ্রহ। তাঁর স্মৃতিচারণমূলক লেখাগুলি হলো প্ল্যাটফর্ম নম্বর ৪ (১৯৯৮) এবং ভিক্টর (১৯৯৮)। তাঁর প্রকাশিত সাহিত্য সমালোচনাগুলি হলোপরাবাস্তববাদ (১৯৮৭) এবং গুজরাটি কথাসাহিত্যমা নারিচেতনা (গুজরাটি গদ্যে নারী চেতনা; ২০০০)।[১][৪]
স্বামী আনে সাই (১৯৯৩), অন্তর-ছবি (১৯৯৮) এবং পহলো অক্ষর (২০০৫) তাঁর দ্বারা সম্পাদিত। মহেন্দ্র দেশাইয়ের লেখা থেকে নোখা মিজাজনো আনোখো চিত্রকর (২০০৪) তাঁর অনুবাদের কাজ।[১]
হিমাংশী শেলাত তাঁর ছোটগল্প সংকলন আন্ধারি গলিমা সফেদ তাপাকান (১৯৯২) এর জন্য ১৯৯৬ সালে গুজরাটি ভাষায় সাহিত্য আকাদমি পুরস্কার পেয়েছিলেন।[৫] একই বই গুজরাটি সাহিত্য পরিষদ থেকেও পুরস্কার পেয়েছে।[১]
পুরস্কার | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী বর্ষা আদলজা |
গুজরাটির জন্য সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার বিজয়ী ১৯৯৬ |
উত্তরসূরী অশোকপুরী গোস্বামী |