![]() | এই নিবন্ধে একাধিক সমস্যা রয়েছে। অনুগ্রহ করে নিবন্ধটির মান উন্নয়ন করুন অথবা আলাপ পাতায় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন।
|
হিরোশি ইয়াসুদা (জন্ম ১৯৪৪) হলেন টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং নিপ্পন টেলিগ্রাফ ও টেলিফোনের পরামর্শক হিসাবে কাজ করেন।[১]
আন্তর্জাতিক প্রমিতকরণের ক্ষেত্রে, লিওনার্দো চিয়ারিগ্লিওনের সাথে তিনি মুভিং পিকচার এক্সপার্টস গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন যা এমপিইজি-১ অডিও লেয়ার ৩ কে প্রমিত করে, যা এমপি-৩ নামে বেশি পরিচিত।[২]
প্রফেসর হিরোশি ইয়াসুদা তার বিই, এমই এবং ড. অফ এডুকেশন ডিগ্রি জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যথাক্রমে ১৯৬৭, ১৯৬৯, এবং ১৯৭২ সালে অর্জন করেন। তারপরে, তিনি ১৯৭২ সালে এনটিটির বৈদ্যুতিক যোগাযোগ ল্যাবরেটরিতে যোগদান করেন। যেখানে তিনি ভিডিও কোডিং, ফ্যাকসিমাইল নেটওয়ার্ক, ইমেজ প্রসেসিং, টেলিপ্রেসেন্স, বি-আইএসডিএন নেটওয়ার্ক এবং ইন্টানেট পরিষেবা এবং কম্পিউটার কমিউনিকেশন অ্যাপ্লিকেশনের কাজগুলিতে জড়িত ছিলেন। তিনি ভিজ্যুয়াল মিডিয়া ল্যাবের এক্সিকিউটিভ ম্যানেজার হিসেবে চার বছর (১৯৮৮-১৯৯২) কাজ করেন। এনটিটি হিউম্যান ইন্টারফেস ল্যাবসের হিসাবে তিন বছর (১৯৯২-১৯৯৫), এনটিটি বিজনেস কমিউনিকেশন সিস্টেমস সদর দফতরের সিস্টেম সার্ভিসেস বিভাগের নির্বাহী ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৫ সালের জুলাই থেকে ইয়োকোসুকাতে এনটিটি তথ্য ও যোগাযোগ সিস্টেম ল্যাবরেটরির ভাইস প্রেসিডেন্ট হন। তিনি এনটিটির ডিরেক্টর ছিলেন (১৯৯৭২-১৯৯৭)। পঁচিশ বছর চাকরি করার পর তিনি টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করার জন্য এনটিটি ত্যাগ করেন। ২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তিনি দ্য সেন্টার ফর কোলাবোরেটিভ রিসার্চ (সিসিআর) এর ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ছিলেন। তিনি এখন টোকিও ডেনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তিনি আইটি স্ট্র্যাটেজিক হেডকোয়ার্টার (জাপান) এর সদস্য।
প্রফেসর ইয়াসুদা ১৯৯১ - ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত আইএসও/আইইসি জেটিসি ১/এসসি ২৯ (জেপিইজিিএমপিইজি স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন) এর ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশনের চেয়ারপার্সন হিসেবেও কাজ করেন।
তিনিিএসএসি-তে আইইইসি জার্নালের অতিথি সম্পাদক হিসেবে বেশ কয়েকবার কাজ করেন। যেমন ভোল-১১, নং-১। তিনি কম্পিউটার সোসাইটি দ্বারা স্পনসর করা ১৯৯৬ সালে মাল্টিমিডিয়া সিস্টেম কনফারেন্সের প্রদর্শনী চেয়ার হিসাবে কাজ করেন। তিনি ১৯৯৬-১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ডিএভিআইসি (ডিজিটাল অডিও ভিডিও কাউন্সিল) এর সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯৮৭ সালে তাকায়ানাগি পুরস্কার, ১৯৯৫ সালে ইআইসিইজেড-এর অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড, ১৯৯৫ সালে দ্যা ন্যাশনাল একাডেমি অফ টেলিভিশন আরটস এন্ড সায়েন্স থেকে ইএমএমওয়াই, ১৯৯৮ সালে আইইইই ফেলোশিপ গ্রেড ভিডিওতে আন্তর্জাতিক মানককরণ কার্যক্রমে অবদানের জন্য অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। কোডিং প্রযুক্তি এবং ভিজ্যুয়াল যোগাযোগ এবং মাল্টিমিডিয়া যোগাযোগ ব্যবস্থার গবেষণা ও উন্নয়নসহ আরও পুরস্কার পেয়েছেন।[৩] ২০০০ সালে আইইইই থেকে চার্লস প্রোটিয়াস স্টেইনমেটজ অ্যাওয়ার্ড, ২০০৫ সালে তাকায়ানাগি অ্যাওয়ার্ড এবং ২০০৯ সালে জাপানের সম্রাট থেকে পার্পল রিবনের পদক। তিনি আইইই এর একজন লাইফ ফেলো, ইআইসিইজেড এবং আইপিএসজেড এর ফেলো এবং টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের একজন সদস্য। তিনি ১৯৯১ সালে মাল্টিমিডিয়া কোডিংয়ের ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন, ১৯৯৪ সালে মাল্টিমিডিয়া কোডিংয়ের এমপিইজি/ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন, ১৯৯৫ সালে দ্য বেস ফর দ্য ডিজিটাল ইমেজ কোডিং, ১৯৯৬ সালে দ্য টেক্সট ফর ইন্টারনেট, ২০০২ সালে দ্য টেক্সট ফর এমপিইজি এবং ২০০৩ সালে দ্য টেক্সট ফর কনটেন্ট ডিস্ট্রিবিউশন লিখেছেন।[১][৪]