সুপার ঘূর্ণিঝড় (আইএমডি স্কেল) | |
---|---|
শ্রেণী ৫ (স্যাফির-সিম্পসন মাপনী) | |
গঠন | ২৫ অক্টোবর ১৯৯৯ |
বিলুপ্তি | ৪ নভেম্বর ১৯৯৯ |
(৩১ অক্টোবর ১৯৯৯অবশিষ্টাংশ কম) | পরে|
সর্বোচ্চ গতি | ৩-মিনিট স্থিতি: ২৬০ কিমি/ঘণ্টা (১৬০ mph) ১-মিনিট স্থিতি: ২৬০ কিমি/ঘণ্টা (১৬০ mph) |
সর্বনিম্ন চাপ | ৯১২ hPa (mbar); ২৬.৯৩ inHg (উত্তর ভারত মহাসাগরে নথিভুক্ত সবচেয়ে কম) |
হতাহত | ৯,৮৮৭ (আইএমডি এই পরিসংখ্যানটি ব্যবহার করে। কিছু অনুমান ৩০,০০০ জন পর্যন্ত) |
ক্ষয়ক্ষতি | $4.44 বিলিয়ন (1999 $) |
প্রভাবিত অঞ্চল | থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, ভারত (বিশেষত ওড়িশা) |
১৯৯৯ উত্তর ভারত মহাসাগর ঘূর্ণিঝড় মরশুম |
১৯৯৯ ওড়িশা ঘূর্ণিঝড় (আইএমডি উপাধি বিওবি০৬, জেটিডব্লিউসি উপাধি ০৫বি[১]) উত্তর ভারত মহাসাগরের ও এই অঞ্চলের সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক ঘূর্ণিঝড়সমূহের মধ্যে নথিভুক্ত সবচেয়ে তীব্র গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়।[note ১] ১৯৯৯ ওড়িশা ঘূর্ণিঝড়টি ২৫ অক্টোবর আন্দামান সাগরে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় নিম্নচাপের মাধ্যমে সংগঠিত হয়, যদিও এর সূত্রপাতটি চার দিন আগে সুলু সাগরের পরিচলন অঞ্চলে ঘটে। পরের দিন ঝড়টি ঘূর্ণিঝড়ের শক্তিতে পৌঁছে পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিমের পথ অব্যাহত থাকায় ধীরে ধীরে এই ঝড় আরও জোরদার হয়। অত্যন্ত অনুকূল অবস্থার সাহায্যে ২৮ অক্টোবরে ঝড়টি দ্রুত তীব্রতর ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা অর্জন করে এবং পরের দিন ২৬০ কিমি/ঘণ্টা (১৬০ মাইল) গতিবেগে বয়ে যাওয়া ও নথিভুক্ত-নিম্নচাপের মান ৯১২ মিলি বারে পৌঁছায়। ঝড়টি এই তীব্রতা ওড়িশার ভূমিভাগে ২৯ শে অক্টোবর আঘাত হানার সাথে বজায় রেখেছে। স্থির স্থল মিথস্ক্রিয়া ও শুষ্ক বাতাসের কারণে ঘূর্ণিঝড়টি অবিচ্ছিন্নভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে, দু'দিন ধরে আস্তে আস্তে অনেক দূর্বল ব্যবস্থা হিসাবে সমুদ্র তীরে পৌঁছানোর আগে আধা-স্থির ছিল; ঝড়টি ৪ নভেম্বর বঙ্গোপসাগরে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
যদিও এর প্রাথমিক প্রভাবসমূহ ভারতের একটি স্থানীয় অঞ্চলে অনুভূত হয়, তবে সুপার সাইক্লোন বা অতি ঘূর্ণিঝড়ের বাইরের প্রান্তসমূহ মিয়ানমার ও বাংলাদেশকে প্রভাবিত করে।