তত্ত্বাবধায়ক | বিসিবি |
---|---|
ক্রিকেটের ধরন | টুয়েন্টি২০ |
প্রতিযোগিতার ধরন | ডাবল রাউন্ড-রবিন ও নকআউট |
আয়োজক | বাংলাদেশ |
বিজয়ী | ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস (১ম শিরোপা) |
অংশগ্রহণকারী দলসংখ্যা | ৬ |
খেলার সংখ্যা | ৩৩ |
প্রতিযোগিতার সেরা খেলোয়াড় | সাকিব আল হাসান (খুলনা রয়েল বেঙ্গলস) |
সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী | আহমেদ শেহজাদ (বরিশাল বার্নার্স) ৪৮৬ (১২ ম্যাচ) |
সর্বাধিক উইকেটধারী | ইলিয়াস সানি (ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস) ১৭ (১২ ম্যাচ) মোহাম্মদ সামি ১৭ (১১ ম্যাচ) |
আনুষ্ঠানিক ওয়েবসাইট | BPL |
২০১২ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বা ২০১২ বিপিএল বাংলাদেশে আয়োজিত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের প্রথম আসর। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে প্রথমবারের মত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এটি আয়োজন করে। ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত প্রথম বিপিএল উদ্বোধন হয়। শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম, ঢাকায় উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ পর্যন্ত এই প্রতিযোগিতায় ৩৩টি টি২০ ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়, যার ২৫টি ঢাকায়, আর বাকি ৮টি হয় চট্টগ্রামে। ২৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় ফাইনাল ম্যাচের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় বিপিএল এর প্রথম আসর। প্রতিযোগিতায় জয়ী হয় ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস এবং রানার্স আপ হয় বরিশাল বার্নার্স।
এই আয়োজনে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে খেলোয়াড় ভাড়া করে আনা হয়। এর মধ্যে রয়েছেন পাকিস্তান, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড, আয়ারল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশের খেলোয়াড়বৃন্দ।
২০১২ বিপিএলে ঢাকা ও চট্টগ্রামের মাঠে খেলা হয়।
ঢাকা | চট্টগ্রাম |
---|---|
শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম ধারণ ক্ষমতা : ২৬,০০০ |
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম ধারণ ক্ষমতা : ২০,০০০ |
দল | খেলেছে | জয় | হার | ড্র | ফ | প | এনআরআর |
---|---|---|---|---|---|---|---|
দুরন্ত রাজশাহী | ১০ | ৭ | ৩ | ০ | ০ | ১৪ | +০.১১৪ |
খুলনা রয়েল বেঙ্গলস | ১০ | ৬ | ৪ | ০ | ০ | ১২ | +০.৬০৬ |
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস | ১০ | ৫ | ৫ | ০ | ০ | ১০ | +০.২১০ |
বরিশাল বার্নার্স | ১০ | ৫ | ৫ | ০ | ০ | ১০ | +০.১৭৮ |
চিটাগং কিংস | ১০ | ৫ | ৫ | ০ | ০ | ১০ | +০.০৭৮ |
সিলেট রয়্যালস | ১০ | ২ | ৮ | ০ | ০ | ৪ | −১.২৩৪ |
বরিশাল | চিটাগং | ঢাকা | রাজশাহী | খুলনা | সিলেট | |
---|---|---|---|---|---|---|
বরিশাল বার্নার্স | চিটাগং ৮ উইকেট |
ঢাকা ২১ রান |
বরিশাল ২২ রান |
খুলনা ৭ উইকেট |
বরিশাল ১০ উইকেট | |
চিটাগং কিংস | বরিশাল ৫ উইকেট |
প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতা → | ঢাকা ৬ উইকেট |
চিটাগং ৫৩ রান |
চিটাগং ৬ উইকেট |
চিটাগং ৭ উইকেট |
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস | ঢাকা ৫ উইকেট |
চিটাগং ১৩ রান |
রাজশাহী ১৪ রান |
খুলনা ১৯ রান |
ঢাকা ৭ উইকেট | |
দুরন্ত রাজশাহী | রাজশাহী ৯ উইকেট |
রাজশাহী ৯ রান |
রাজশাহী ৩ উইকেট |
রাজশাহী ৬ উইকেট |
রাজশাহী ১৬ রান | |
খুলনা রয়েল বেঙ্গলস | বরিশাল ৪ উইকেট |
খুলনা ৪৪ রান |
খুলনা ৭ উইকেট |
রাজশাহী ৮ উইকেট |
← দ্বিতীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা | খুলনা ২ রান |
সিলেট রয়্যালস | বরিশাল ৯ উইকেট |
সিলেট ৩৫ রান |
ঢাকা ৮ উইকেট |
সিলেট ৯ উইকেট |
খুলনা ৬৯ রান |
সিলেট রয়্যালস
১৬৫/৪ (২০ ওভার) |
ব
|
বরিশাল বার্নার্স
১৬৭/০ (১৩.১ ওভার) |
ক্রিস গেইল ১০১* (৪৪)
|
চিটাগং কিংস
২০৬/৪ (২০ ওভার) |
ব
|
দুরন্ত রাজশাহী
১৫৩ (১৯.৫ ওভার) |
খুলনা রয়েল বেঙ্গলস
১৭৫/৫ (২০ ওভার) |
ব
|
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস
১৫৬/৭ (২০ ওভার) |
বরিশাল বার্নার্স
১৮০/২ (২০ ওভার) |
ব
|
দুরন্ত রাজশাহী
১৫৮/৯ (২০ ওভার) |
খুলনা রয়েল বেঙ্গলস
১৭১/৩ (২০ ওভার) |
ব
|
চিটাগং কিংস
১৭৪/৪ (১৯.১ ওভার) |
সিলেট রয়্যালস
১২৪ (১৯.৫ ওভার) |
ব
|
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস
১২৬/৩ (১৮.২ ওভার) |
বরিশাল বার্নার্স
১২৫ (২০ ওভার) |
ব
|
খুলনা রয়েল বেঙ্গলস
১৩১/৩ (১৭.২ ওভার) |
চিটাগং কিংস
১৫৩/৬ (২০ ওভার) |
ব
|
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস
১৫৬/৪ (১৯ ওভার) |
দুরন্ত রাজশাহী
১৭১/৮ (২০ ওভার) |
ব
|
সিলেট রয়্যালস
১৫৫/৪ (২০ ওভার) |
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস
২০৮/৫ (২০ ওভার) |
ব
|
বরিশাল বার্নার্স
১৮৭/৫ (২০ ওভার) |
সিলেট রয়্যালস
১৫২/৪ (২০ ওভার) |
ব
|
চিটাগং কিংস
১৫৪/৩ (১৭.৩ ওভার) |
খুলনা রয়েল বেঙ্গলস
১৪৫/৭ (২০ ওভার) |
ব
|
দুরন্ত রাজশাহী
১৪৬/৪ (১৯.১ ওভার) |
বরিশাল বার্নার্স
১২৫/৬ (২০ ওভার) |
ব
|
চিটাগং কিংস
১২৬/২ (১২.৪ ওভার) |
দুরন্ত রাজশাহী
১৪৪/৯ (২০ ওভার) |
ব
|
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস
১৩০/৭ (২০ ওভার) |
খুলনা রয়েল বেঙ্গলস
১৭১/৬ (২০ ওভার) |
ব
|
সিলেট রয়্যালস
১৬৯/৮ (২০ ওভার) |
দুরন্ত রাজশাহী
১২৬/৬ (২০ ওভার) |
ব
|
চিটাগং কিংস
১১৭/৯ (২০ ওভার) |
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস
১৪০/৮ (২০ ওভার) |
ব
|
খুলনা রয়েল বেঙ্গলস
১৪১/৩ (১৬.৪ ওভার) |
সিলেট রয়্যালস
১২০/৭ (২০ ওভার) |
ব
|
বরিশাল বার্নার্স
১২১/১ (১৩.২ ওভার) |
বরিশাল বার্নার্স
১৯২/৩ (২০ ওভার) |
ব
|
দুরন্ত রাজশাহী
১৯৩/১ (১৭.১ ওভার) |
খুলনা রয়েল বেঙ্গলস
১৩৭/৬ (২০ ওভার) |
ব
|
চিটাগং কিংস
৯৩ (১৮.১ ওভার) |
সিলেট রয়্যালস
১২৮/৭ (২০ ওভার) |
ব
|
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস
১৩২/২ (১২.৫ ওভার) |
খুলনা রয়েল বেঙ্গলস
১৬১/৭ (২০ ওভার) |
ব
|
বরিশাল বার্নার্স
১৬২/৬ (১৯.৩ ওভার) |
চিটাগং কিংস
১২০/৬ (২০ ওভার) |
ব
|
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস
১০৭/৯ (২০ ওভার) |
দুরন্ত রাজশাহী
১২৪/৯ (২০ ওভার) |
ব
|
সিলেট রয়্যালস
১২৫/১ (১৬.৩ ওভার) |
বরিশাল বার্নার্স
১৫৬/৬ (২০ ওভার) |
ব
|
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস
১৬০/৫ (১৮.২ ওভার) |
সিলেট রয়্যালস
১৬৫/৩ (২০ ওভার) |
ব
|
চিটাগং কিংস
১৩০/৮ (২০ ওভার) |
খুলনা রয়েল বেঙ্গলস
১০৬ (১৯.৫ ওভার) |
ব
|
দুরন্ত রাজশাহী
১১০/২ (১৪.১ ওভার) |
চিটাগং কিংস
১৫০/৯ (২০ ওভার) |
ব
|
বরিশাল বার্নার্স
১৫১/৫ (১৫ ওভার) |
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস
১১৬ (১৮.২ ওভার) |
ব
|
দুরন্ত রাজশাহী
১২০/৭ (১৯.৩ ওভার) |
খুলনা রয়েল বেঙ্গলস
১৮৬/২ (২০ ওভার) |
ব
|
সিলেট রয়্যালস
১১৭ (১৬ ওভার) |
গ্রুপ পর্ব শেষে বরিশাল বার্নার্স ও চিটাগং কিংসের মধ্যে কোন দল সেমি-ফাইনালে যাবে তা নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। গ্রুপের খেলা শেষে দুই দলের পয়েন্ট সমান হওয়ায় টিভি সম্প্রচারকারী দুই দলের রানের গড়ে উপর ভিত্তি করে প্রচার করে যে বরিশাল বার্নার্স সেমি-ফাইনালে যাবে। কিন্তু পরে দিন ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের অফিসিয়াল কর্মকর্তাগণ নিশ্চিত করে যে হেড-টু-হেড রেকর্ডের উপর ভিত্তি করে চিটাগং কিংস সেমি-ফাইনালে যাবে। এরপর দিন অফিসিয়ালগণ তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে এবং রানের গড়ের উপর ভিত্তি করে ৪র্থ দল হিসাবে চিটাগং কিংসের পরিবর্তে বরিশাল বার্নার্সের নাম ঘোষণা করে।
সেমিফাইনাল | ফাইনাল | |||||||
১ | দুরন্ত রাজশাহী | ১৮৪/৬ | ||||||
৪ | বরিশাল বার্নার্স | ১৮৯/২ | ||||||
৪ | বরিশাল বার্নার্স | ১৪০/৭ | ||||||
৩ | ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস | ১৪৪/২ | ||||||
৩ | ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস | ১৯১/৪ | ||||||
২ | খুলনা রয়েল বেঙ্গলস | ১৮২/৭ |
দুরন্ত রাজশাহী
১৮৪/৬ (২০ ওভার) |
ব
|
বরিশাল বার্নার্স
১৮৯/২ (১৬ ওভার) |
খুলনা রয়েল বেঙ্গলস
১৮২/৭ (২০ ওভার) |
ব
|
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস
১৯১/৪ (২০ ওভার) |
বরিশাল বার্নার্স
১৪০/৭ (২০ ওভার) |
ব
|
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস
১৪৪/২ (১৫.৪ ওভার) |
নিম্নলিখিত টেবিলটি এই আসরের দলীয় সর্বোচ্চ রানের তালিকা (পাঁচটি)।
দল | মোট রান | বিপক্ষ | মাঠ |
---|---|---|---|
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস | ২০৮/৫ (২০ ওভার) | বরিশাল বার্নার্স | শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম |
চিটাগং কিংস | ২০৬/৪ (২০ ওভার) | দুরন্ত রাজশাহী | শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম |
বরিশাল বার্নার্স | ১৯২/৩ (২০ ওভার) | দুরন্ত রাজশাহী | জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম |
ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস | ১৯১/৪ (২০ ওভার) | খুলনা রয়েল বেঙ্গলস | শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম |
বরিশাল বার্নার্স | ১৮৯/২ (২০ ওভার) | দুরন্ত রাজশাহী | শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম |
সর্বশেষ হালনাগাদ ২১ জানুয়ারি ২০১৩।
নিম্নলিখিত টেবিলটি এই আসরের সর্বাধিক রান সংগ্রাহকের তালিকা।
খেলোয়াড় | দল | ম্যাচ | ইনিংস | নট আউট | রান | বল | সর্বোচ্চ | গড় | স্ট্রাইক রেট | ১০০ | ৫০ | শূন্য | ৪ | ৬ |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
আহমেদ শেহজাদ | বরিশাল বার্নার্স | ১২ | ১২ | ০২ | ৪৮৬ | ৩১২ | ১১৩* | ৪৮.৬০ | ১৫৫.৭৬ | ১ | ৪ | ১ | ৪৬ | ২৫ |
ইমরান নাজির | ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস | ১১ | ১১ | ০২ | ৩৯০ | ২৫০ | ৭৫ | ৪৩.৩৩ | ১৫৬.০০ | ০ | ৪ | ০ | ৩৮ | ১৮ |
কামরান আকমল | সিলেট রয়্যালস | ১০ | ১০ | ০১ | ৩৫৬ | ২৪৭ | ৮২ | ৩৯.৫৫ | ১৪৪.১২ | ০ | ৫ | ১ | ৪৩ | ১৬ |
ব্র্যাড হজ | বরিশাল বার্নার্স | ১২ | ১১ | ০৩ | ৩৪৬ | ২৬৩ | ৭০ | ৪৩.২৫ | ১৩১.৫৫ | ০ | ৩ | ২ | ৩০ | ১৮ |
ডোয়াইন স্মিথ | খুলনা রয়েল বেঙ্গলস | ১১ | ১১ | ০৩ | ৩৪৬ | ২৫২ | ১০৩* | ৪৩.২৫ | ১৩৭.৩০ | ১ | ২ | ১ | ২২ | ২০ |
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারকুটে ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল বরিশাল বার্নার্সের পক্ষে ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১২ সালে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে এ প্রতিযোগিতায় এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১১৬ রান করেন।[১]