১৩তম দক্ষিণ এশীয় গেমস | |||
---|---|---|---|
স্বাগতিক শহর | কাঠমান্ডু, পোখরা | ||
দেশ | নেপাল | ||
অংশগ্রহণকারী জাতিসমূহ | ৭ | ||
অংশগ্রহণকারী ক্রীড়াবিদ | ২৭১৫ | ||
বিষয়সমূহ | ২৬ ক্রীড়ায় ৩১৭ বিভাগ | ||
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান | ১ ডিসেম্বর | ||
সমাপ্তি অনুষ্ঠান | ১০ ডিসেম্বর | ||
আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন | বিদ্যা দেবী বান্দারি (নেপালের রাষ্ট্রপতি) | ||
ক্রীড়াবিদের শপথ | পারস খডকা (ক্রিকেট)[১] | ||
বিচারকদের শপথ | দিপক থাপা (ব্যাটমিন্টন)[১] | ||
টর্চ লাইটার | দিপক বিস্তা[২] | ||
প্রধান মিলনস্থন | দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়াম | ||
| |||
ওয়েবসাইট | www |
২০১৯ দক্ষিণ এশীয় গেমস দক্ষিণ এশিয়ার বহু-ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সর্ববৃহৎ ক্রীড়া আসর দক্ষিণ এশীয় গেমসের ১৩তম আসর, যা আনুষ্ঠানিকভাবে ১৩তম দক্ষিণ এশীয় গেমস নামে পরিচিত। ক্রীড়া আসরটি মূলত ২০১৯ সালের ৯-১৮ মার্চ নেপালের কাঠমান্ডু, পোখরা ও জানপুরে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১ মার্চ ২০১৯ সালে ব্যাংককে দক্ষিণ এশিয়ান অলিম্পিক কাউন্সিলের নির্বাহী বোর্ডের সভায় নতুন সময় হিসেবে ফিলিপাইনে অনুষ্ঠিত দক্ষিণ পূর্ব এশীয় গেমসের সময়কে বেছে নেওয়া হয়। অবশেষে ১-১০ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু ও পোখরাতে দক্ষিণ এশীয় গেমস অনুষ্ঠিত হয়।[৩] ১ ডিসেম্বর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে পুরুষের ফুটবল খেলা দিয়ে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে গেমসের শুরু হয় এবং উদ্বোধন করেন নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী বান্দারি। ১০ ডিসেম্বর একই স্টেডিয়ামে সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এবারের আসরে ভারত ১৭৪টি স্বর্ণপদক সহ ৩১২টি পদক নিয়ে পদক তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে। স্বাগতিক নেপাল ৫১টি স্বর্ণপদক সহ ২০৬টি পদক নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে।
২০১৯ সালের ১৩ মে নেপালের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ১৩তম দক্ষিণ এশীয় গেমসের লোগো ও মাস্কোট উন্মোচন করে। নেপাল অলিম্পিক কমিটির সাথে মন্ত্রণালয় ২০১৯ সালের দক্ষিণ এশীয় গেমসের জন্য অফিসিয়াল মাস্কোট হিসাবে এক জোড়া কৃষ্ণশার প্রকাশ করেছে। কৃষ্ণসার এন্টিলোপ প্রজাতির একমাত্র বিদ্যমান সদস্য এবং এদের অধিকাংশই নেপালের দক্ষিণাঞ্চলে দেখা যায় এবং এটি নেপালের একটি বিপন্ন প্রজাতি।
এই আসরের বিভিন্ন খেলাধুলা নেপালের কাঠমন্ডু, পোখরা ও জনকপুরে অনুষ্ঠিত হয়।[৪]
ভেন্যু | ক্রীড়া(সমূহ) |
---|---|
দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়াম | অ্যাথলেটিকস ফুটবল (পুরুষ) |
আন্তর্জাতিক ক্রীড়া কমপ্লেক্স, সাতদোবাতো | বক্সিং কারাতে শ্যুটিং স্কোয়াশ সাঁতার তায়কোয়ান্দো টেনিস |
কভার্ড হল, ত্রিপুরেশ্বর | বাস্কেটবল ভলিবল |
ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয়
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠ |
ক্রিকেট(পুরুষ) |
শহীদ পার্ক, গোকর্ণ | সাইক্লিং (মাউন্টেইন বাইকিং) |
রিং রোড | সাইক্লিং (রোড) |
কভার্ড হল, নয়া বাজার, কীর্তিপুর | অসি চালনা খো-খো |
গোকর্ণ ফরেস্ট রিসোর্ট | গলফ |
আর্মি ফিজিকাল ফিটনেস সেন্টার, লগনখেল | জুডো উশু |
এপিএফ হল, হলচক | কাবাডি |
টেবিল টেনিস হল, লাইনচউর | টেবিল টেনিস |
ভেন্যু | ক্রীড়া |
---|---|
ব্যাডমিন্টন কভার্ড হল, পোখরা | ব্যাডমিন্টন |
পোখরা ক্রিকেট মাঠ | ক্রিকেট(মহিলা) |
পোখরা স্টেডিয়াম | তীরন্দাজী ফুটবল(মহিলা) |
পোখরা কভার্ড হল | হ্যান্ডবল |
বসুন্ধরা পার্ক | ট্রায়াথলন |
ফেওয়া লেক[৫] | বীচ ভলিবল |
মাতেপানি | ভারোত্তোলন |
ভেন্যু | ক্রীড়া |
---|---|
জনকপুর কভার্ড হল | কুস্তি |
প্রতিযোগিতায় সাতটি দেশের ২,৭১৫ জন ক্রীড়াবিদ অংশগ্রহণ করেছে। ১৯৯৯ সালের পর এবারই প্রথম আফগানিস্তান অংশগ্রহণ করেনি, তারা ২০১৬ সালে দক্ষিণ এশীয় অলিম্পিক কাউন্সিল ত্যাগ করে।
গেমসে ২৭টি ক্রীড়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা জন্য নির্ধারিত হয়েছে। এবারের আসরে ৮ বছর পর আবারও ক্রিকেটের অভিষেক হবে।[৬] গলফ ও কারাতে এ দুটি ক্রীড়া স্বাগতিকের পছন্দ অনুযায়ী খেলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সকল ইভেন্টে ন্যূনতম চারটি অংশগ্রহণকারী দল অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে অন্যথায় ইভেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে না। প্যারাগ্লাইডিং প্রতিযোগিতায় অভিষেকের কথা ছিল, কিন্তু পরে তা বাতিল করা হয়েছিল, কারণ মাত্র দুটি দেশের (নেপাল এবং পাকিস্তান) প্রতিযোগী নিবন্ধভুক্ত করেছিল।
টেমপ্লেট:২০১৯ দক্ষিণ এশীয় গেমসের সময়সূচি
অব | জাতি | স্বর্ণ | রৌপ্য | ব্রোঞ্জ | মোট |
---|---|---|---|---|---|
১ | ভারত (IND) | ১৭৪ | ৯৩ | ৪৫ | ৩১২ |
২ | নেপাল (NEP)* | ৫১ | ৬০ | ৯৫ | ২০৬ |
৩ | শ্রীলঙ্কা (SRI) | ৪০ | ৮৩ | ১২৮ | ২৫১ |
৪ | পাকিস্তান (PAK) | ৩১ | ৪১ | ৫৯ | ১৩১ |
৫ | বাংলাদেশ (BAN) | ১৯ | ৩২ | ৮৭ | ১৩৮ |
৬ | মালদ্বীপ (MDV) | ১ | ০ | ৪ | ৫ |
৭ | ভুটান (BHU) | ০ | ৭ | ১৩ | ২০ |
মোট (৭টি জাতি) | ৩১৬ | ৩১৬ | ৪৩১ | ১০৬৩ |