৩:১০ টু ইয়ামা | |
---|---|
পরিচালক | জেমস ম্যানগোল্ড |
প্রযোজক | ক্যাথি কোনরাড |
রচয়িতা | হালস্টেড ওয়েলস মাইকেল ব্রেনডিট ডেরেক হাস |
উৎস | এলমন্ড লিওনার্ড কর্তৃক থ্রি-টেন ইয়ামা |
শ্রেষ্ঠাংশে | রাসেল ক্রো ক্রিশ্চিয়ান বেল |
সুরকার | মার্কো বেল্টরামি |
চিত্রগ্রাহক | ফিদন পাপামাইকেল |
সম্পাদক | মাইকের ম্যাকাসার |
প্রযোজনা কোম্পানি | রিলেটিভিটি মিডিয়া |
পরিবেশক | লায়ন্সগেট ফিল্মস |
মুক্তি | ৭ সেপ্টেম্বর, ২০০৭ |
স্থিতিকাল | ১২২ মিনিট |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $৫৫ মিলিয়ন |
আয় | $৭০,০১৬,২২০ [১] |
৩:১০ টু ইয়ামা ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি মার্কিন ওয়েস্টার্ন চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছেন ক্যাথি কোনরাড ও পরিচালনা করেছেন জেমস ম্যানগোল্ড। প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন একাডিমি পুরস্কার বিজয়ী রাসেল ক্রু এবং ক্রিশ্চিয়ান বেল। এটি ১৯৫৭ সালে নির্মীত একই নামের অপর একটি চলচ্চিত্রের প্রতিরুপ। চলচ্চিত্রটির কাহিনী নেওয়া হয়েছে এলমোর লিওনার্দের ছোট গল্প থ্রি-টেন ইয়ামা থেকে। নিউ ম্যাক্সিকোর বিভিন্ন জায়গায় চলচ্চিত্রটির শ্যূটিং করা হয়।[২] ৩:১০ টু ইয়ামা ৭ সেপ্টেম্বর, ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পেয়েছিল।
আগস্ট, ১৮৮৪ সাল গৃহযুদ্ধে আহত ও বর্তমান র্যাঞ্চার ড্যান ইভানের খামারবাড়িটি গ্লেন হল্যান্ডারের দুজন ভাড়াটে জ্বালিয়ে দেয় কারণ ড্যানের কাছে গ্লেনর কিছু টাকা পওনা ছিল। পরের দিন সকালে বেন উডের নেতৃত্তে একদল আউটল একটি স্টে কোচ লুট করে। বেন উড সহ অন্যরা যখন কোচ লুট করছিল তখন তারা দেখতে পায় ইভান ও তার দুই পুত্র পাহাড়ের উপর থেকে সবকিছু দেখছে। এরপর উড যখন বুঝতে পারে ইভান ও তার পুত্ররা তার জন্য কোন হুমকি নয় তখন উড ইভানের ঘোরাগুলো নিয়ে যায় এবং আশ্বাস দেয় সে বিশবির রাস্তায় ঘোরাগুলোকে বেঁধে রাখবে।
উড ও তার দল এরপর আরিজোনার বিশবি শহরের একটি স্থানীয় স্যালুনে (আবাসিক হোটেল) তাদের সফল কোচ লুট উদ্যাপন করে। এদিকে ইভান স্থানীয় ল’ম্যানকে নিয়ে হল্যান্ডার নামে একজনকে নিশ্চিত করে উড এই শহরের একটি স্যালুনেই আছে। এরপর তারা সকলে মিলে উডকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর কোচের মালিক গ্রেসন বাটারফিল্ড, পোটার, টাকার, হল্যান্ডারের একজন গার্ড ও ইভান জনপ্রতি $২০০ ডলারের বিনিময়ে উডকে ইয়ামা জেলখানায় পৌঁছে দিতে রাজি হয়। ম্যাকএলরি, ইভানের র্যাঞ্চ থেকে একটি ভূয়া ওয়াগন (ঘোড়ায় চালিত যাত্রী পরিবহনের গাড়ি) অন্য দিকে পাঠিয়ে দেয় যাতে বেন উডের গ্যাঙ এর অন্য সদস্যরা বুঝতে না পারে উডকে কোথায় নিযে যাওয়া হবে। বেন উডের বর্তমান গ্যাং এর দলনেতা হল প্রিন্স চার্লি। ইভানসহ অন্যরা উডকে নিয়ে কনটেনটিওনের দিকে রওনা হয় কারণ সেখান থেকেই ৩:১০ এ বিকেলের ট্রেনে উঠিয়ে উডকে ইয়ামা জেলখানায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
পথিমধ্যে একরাতে বেনের পাহারাদার ঘুমিয়ে পরলে উড পালানোর চেষ্টা করে কিন্তু ইভানের ছেলে উইলিয়ামের সহয়তায় তাকে আবার বন্দি করা হয়। উলিয়াম তাদের দলকে র্যাঞ্চ ত্যাগ করার পর থেকেই অনুসরণ করছিল। একবার অ্যাপাচিরা তাদের দলকে আক্রমণ করে কিন্তু বেন উড অ্যাপাচিদের খুন করে। এরপর বেন উড পালাতে সক্ষম হয় ও একটি চাইনিজ কন্সট্রাকসন সাইটে এসে উপস্তিত হয়। সেখানকার প্রধান ফোরম্যান তার ভাই হত্যার দায়ে বেনকে ফাঁসিতে ঝুলানোর আয়োজন করতে থাকে। ইভান, উইলিয়াম, পোটার ও বাটরফিল্ড পৌঁছে তাদের কয়েদিকে ছিনিয়ে নেয় ও দলটি ট্রেন ছাড়ার কয়েক ঘণ্টা পূর্বে কনটেনটিওনে পৌঁছে। তারা ট্রেন আসার পূর্ব পর্যন্ত সেখানকার একটি হোটেলে উঠে বিশ্রাম সেওয়ার জন্য। তারাসহ বাটারফিল্ডের ভাড়া করা কিছু স্থানীয় মার্শাল উডের পাহারায় নিয়োজিত হয় যাতে চার্লির দল তাদের ছিনিয়ে নিতে না পারে।
অপরদিকে উডের গ্যাঙ এর সদস্যরা ওয়াগনে আক্রমণ করে জানতে পারে ইভানসহ অন্যান্যরা উডকে নিয়ে কনটেনটিওনে আশ্রয় নিয়েছে। চার্লি তার দর নিয়ে কনটেনটাইনে পৌঁছে ও স্থানীয়দের টাকার লোভ দেখিযে ইভানসহ তার দলের অন্যান্যদের হত্যা করতে বলে। টাকার লোভে স্থানীয়রাসহ চার্লির দল ইভানের দলকে আক্রমণ করে। স্থানীয় মার্শালদেরকেও খুন করে। একে একে সকলে ইভানের কাছ থেকে চলে গেলে ইভান তার ছেলে উইলিয়ামকেও পাঠিয়ে দেয় এবং উডের দয়িত্বে সে একাই থাকে। সবশেষে চার্লি ইভানগে গুলি করে হত্যা করে কিন্তু বেন শেষ মুহুর্তে এসে সিদ্ধান্ত বদর করে ও চার্লিকে হত্যা করে। ঠিক এই সময় বেনের ছেলে উইলিয়াম ঘটনাস্থলে চলে আসে ও বেনকে গুলি করতে উদ্ভত্ব হয় কিন্তু পরে গুলি না করেই বন্দুক ফেরে দেয়। বেন ট্রেনে উঠে ইয়ামা জলখানার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
৩:১০ টু ইয়ামা যুক্তরাস্ট্র ও কানাডার ২,৬৫২ টি প্রেক্ষাগৃহে ২০০৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর মুক্তি পায়। মুক্তির প্রথম সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় আয় করে $১৪,০৩৫,০৩৩ ডলার এবং বক্স অফিসে #১ নাম্বার স্থান দখল করে। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রে $৫৩,৬০৬,৯১৬ ডলার অন্যান্য টেরিটোরিতে $১৬,৪০৯,৩০৪ ডলার সহ বিশ্বব্যাপী মোট $৭০,০১৬,২২০ ডলার আয় করে।[১]
চলচ্চিত্রটিকে সমালোচকেরা ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করে। রোটেন টমেটোস ২১৪ রিভিউর উপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্রে রেটিং প্রদান করে ৮৮%। রোটেন টমেটোস তাদের ওয়েবসাইটে রাসেল ক্রু ও ক্রিশ্চিয়ান বেলের অভিনয়ের প্রশংসা করে এবং পরিচালক জেমস ম্যানগোল্ডেরও পরিচালনা করার দক্ষতাকে প্রশংসা করে।[৩] মেটাক্রিটিকে ৩৭ রিভিউর উপর গড়ে রেটিং ছিল ৭৬%।[৪]
৮০তম একাডিমি পুরস্কার অনুষ্ঠানে ৩:১০ টু ইয়ামা দুটি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল। বেস্ট অরজিনাল স্কোরের জন্য মার্কো বেল্টরামি এবং বেস্ট সাউন্ড মিক্সিং এর জন্য পাউল ম্যাসি, ডেভিড গিয়ামার্কো, ও জিম স্টাবি মনোনয়ন পেয়েছিল।[৫] এছাড়া চলচ্চিত্রটি বেস্ট কাস্টিং এর জন্য ১৪তম স্ক্রিন এক্টরস গিণ্ড পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল।
</ref>-->
| deadurl= no|language=ইংরেজি}}</ref>-->
| deadurl= no|language=ইংরেজি}}</ref>-->
}}