ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | অঁতোনি জর্দান মার্সিয়াল[১] | ||
জন্ম | ৫ ডিসেম্বর ১৯৯৫ | ||
জন্ম স্থান | মাসি, ফ্রান্স | ||
উচ্চতা | ১.৮১ মিটার (৫ ফুট ১১+১⁄২ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | আক্রমণভাগের খেলোয়াড় | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ||
জার্সি নম্বর | ৯ | ||
যুব পর্যায় | |||
২০০১–২০০৯ | লেজ উলিস | ||
২০০৯–২০১২ | লিওঁ | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০১২–২০১৩ | লিওঁ যুব | ১১ | (৫) |
২০১৩ | লিওঁ | ৩ | (০) |
২০১৩ | মোনাকো যুব | ৪ | (৩) |
২০১৩–২০১৫ | মোনাকো | ৪৯ | (১১) |
২০১৫– | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ১৯৮ | (৬২) |
২০২২ | → সেভিয়া (ধার) | ৯ | (০) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০১০–২০১১ | ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-১৬ | ১৭ | (৯) |
২০১১–২০১২ | ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-১৭ | ১৩ | (৯) |
২০১২–২০১৩ | ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-১৮ | ৪ | (৩) |
২০১৩ | ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-১৯ | ৫ | (০) |
২০১৩–২০১৫ | ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-২১ | ১২ | (৪) |
২০১৫– | ফ্রান্স | ৩০ | (২) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ০৪:০১, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ০৪:০১, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
অঁতোনি জর্দান মার্সিয়াল (ফরাসি: Anthony Martial, ফরাসি উচ্চারণ: [ɑ̃.toni maʁsjal]; জন্ম: ৫ ডিসেম্বর ১৯৯৫; অঁতোনি মার্সিয়াল নামে সুপরিচিত) হলেন একজন ফরাসি পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি মূলত কেন্দ্রীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে ডান পার্শ্বীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় এবং বাম পার্শ্বীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন।
২০০১–০২ মৌসুমে, ফরাসি ফুটবল ক্লাব লেজ উলিসের যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে মার্সিয়াল ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছেন এবং পরবর্তীকালে লিওঁয়ের যুব দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছেন। ২০১২–১৩ মৌসুমে, প্রথমে লিওঁ যুব এবং অতঃপর লিওঁয়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছেন, যেখানে তিনি মাত্র এক মৌসুম অতিবাহিত করেছেন; লিওঁয়ের হয়ে তিনি ৩ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন। অতঃপর ২০১৩–১৪ মৌসুমে তিনি প্রায় ৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে ফরাসি ক্লাব মোনাকোয় যোগদান করেছেন। ২০১৫–১৬ মৌসুমে, তিনি প্রায় ৬০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে মোনাকো হতে ইংরেজ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগদান করেছেন।
২০১০ সালে, মার্সিয়াল ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-১৬ দলের হয়ে ফ্রান্সের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। প্রায় ৬ বছর যাবত ফ্রান্সের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলার পর, তিনি ২০১৫ সালে ফ্রান্সের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন; ফ্রান্সের জার্সি গায়ে তিনি এপর্যন্ত ৩০ ম্যাচে ২টি গোল করেছেন। তিনি ফ্রান্সের হয়ে উয়েফা ইউরো ২০১৬-এ অংশগ্রহণ করেছেন, যেখানে দিদিয়ে দেশঁয়ের অধীনে রানার-আপ হয়েছেন।
ব্যক্তিগতভাবে, মার্সিয়াল বেশ কিছু পুরস্কার জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ২০১৫ সালে গোল্ডেন বয় জয় অন্যতম।[২] দলগতভাবে, মার্সিয়াল এপর্যন্ত ৪টি শিরোপা জয়লাভ করেছেন, যার সবগুলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে জয়লাভ করেছেন।
অঁতোনি জর্দান মার্সিয়াল ১৯৯৫ সালের ৫ই ডিসেম্বর তারিখে ফ্রান্সের প্যারিস হতে ১৪.৭ কিলোমিটার দূরবর্তী মাসিতে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন। তিনি গুয়াদলুপীয় বংশোদ্ভূত।[৩] তার বড় ভাই জোয়ান মার্সিয়াল এবং দোরিয়ান মার্সিয়াল উভয়ই পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়, এর মধ্যে জোয়ান ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে ফুটবল খেলেছেন।[৪] মার্সিয়ালের পরিবার তাদের শিশুদের শিক্ষার উপর খুব জোর দিতো।[৪] তার শৈশবের ফুটবল শিক্ষক তাকে লাজুক এবং শান্ত প্রকৃতির মানুষ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।[৪] মার্সিয়াল একজন ক্যাথলিক এবং প্রত্যেক খেলার পূর্বে তিনি প্রার্থনা করেন।[৫]
মার্সিয়াল ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-১৬, ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-১৭, ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-১৮, ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-১৯ এবং ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে ফ্রান্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ২০১০ সালের ২১শে সেপ্টেম্বর তারিখে তিনি ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-১৬ দলের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন। ফ্রান্স অনূর্ধ্ব-১৭ দলের হয়ে তিনি ২০১২ উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেছেন,[৬][৭] তবে তার দল উক্ত প্রতিযোগিতার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল; উক্ত প্রতিযোগিতায় তিনি ৩ ম্যাচে ১টি গোল করেছিলেন।[৮] এক বছর পর স্পেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে তিনি ২০১৩ উয়েফা ইউরোপীয় অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেছেন,[৯] উক্ত প্রতিযোগিতার ফাইনালে তার দল সার্বিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে ১–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল;[১০] এই আসরে তিনি ৫ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছিলেন।[১১] ফ্রান্সের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে তিনি ৫১ ম্যাচে অংশগ্রহণ করে ২৫টি গোল করেছেন।
২০১৫ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর তারিখে, মাত্র ১৯ বছর ৮ মাস ৩০ দিন বয়সে, ডান পায়ে ফুটবল খেলায় পারদর্শী মার্সিয়াল পর্তুগালের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফ্রান্সের হয়ে অভিষেক করেছেন।[১২] উক্ত ম্যাচের ৭৪তম মিনিটে আক্রমণভাগের খেলোয়াড় করিম বেনজেমার বদলি খেলোয়াড় হিসেবে তিনি মাঠে প্রবেশ করেন;[১৩] ম্যাচে তিনি ২০ নম্বর জার্সি পরিধান করে কেন্দ্রীয় আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন।[১৪] ম্যাচটি ফ্রান্স ১–০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল।[১৫] ফ্রান্সের হয়ে অভিষেকের বছরে মার্সিয়াল সর্বমোট ৬ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের ১১ মাস ২৮ দিন পর, ফ্রান্সের জার্সি গায়ে প্রথম গোলটি করেন; ২০১৬ সালের ১লা নভেম্বর তারিখে, ইতালির বিরুদ্ধে ম্যাচে ফ্রান্সের হয়ে প্রথম গোলটি করার মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার প্রথম গোলটি করেন।[১৬][১৭][১৮]
দল | সাল | ম্যাচ | গোল |
---|---|---|---|
ফ্রান্স | ২০১৬ | ৬ | ০ |
২০১৭ | ৯ | ১ | |
২০১৮ | ২ | ০ | |
২০১৯ | ১ | ০ | |
২০২০ | ৭ | ০ | |
২০২১ | ৫ | ১ | |
সর্বমোট | ৩০ | ২ |