অঁদ্রে ব্র্যতোঁ | |
---|---|
১৯২৪ সালে ব্রেতঁ | |
জন্ম | অঁদ্রে রোবের ব্র্যতোঁ ১৮ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৬ ফ্রান্স |
মৃত্যু | ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৬৬ প্যারিস, ফ্রান্স | (বয়স ৭০)
পেশা | লেখক |
সময়কাল | বিংশ শতাব্দী |
ধরন | ইতিহাস, কবিতা, প্রবন্ধ |
সাহিত্য আন্দোলন | পরাবাস্তববাদ |
উল্লেখযোগ্য রচনা | পরাবাস্তববাদী ইশতেহার |
দাম্পত্যসঙ্গী | সিমোন কান (বি. ১৯২১; বিচ্ছেদ. ১৯৩১) জ্যাকুলিন লামবা (বি. ১৯৩৪; বিচ্ছেদ. ১৯৪৩) এলিসা এনেট (বি. ১৯৪৫; ব্রেতঁ-র মৃত্যু ১৯৬৬) |
পরাবাস্তববাদ |
---|
সংক্রান্ত একটি ধারাবাহিকের অংশ |
অঁদ্রে রোবের ব্র্যতোঁ (ফরাসি: André Robert Breton; আ-ধ্ব-ব:[ɑ̃dʁe ʁɔbɛʁ bʁətɔ̃]; ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৮৯৬ – ২৮ সেপ্টেম্বর ১৯৬৬) একজন ফরাসি লেখক এবং কবি। তিনি মূলত পরাবাস্তববাদের একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা, অগ্রণী, মুখ্য তাত্ত্বিক ও সমর্থক হিসেবেই সর্বাধিক পরিচিত।[১] তার রচনার মধ্যে রয়েছে, ১৯২৪ সালের প্রথম পরাবাস্তববাদী ইশতেহার (Manifeste du Surréalisme, মানিফেস্ত দ্যু স্যুরেয়ালিজম), যেখানে পরাবাস্তববাদকে তিনি "খাঁটি মানসিক স্বয়ংক্রিয়তা" হিসাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন।[২]
পরাবাস্তববাদী আন্দোলনের একজন অগ্রণী হিসাবে তাঁর ভূমিকার পাশাপাশি তিনি নাজা (Nadja) এবং লামুর ফু (L'amour Fou) এর মতো বিখ্যাত গ্রন্থের লেখক। লেখালেখি এবং দৃশ্যকলায় তার সমালোচনামূলক এবং তাত্ত্বিক কাজের পাশাপাশি এসব কর্মকাণ্ড অঁদ্রে ব্র্যতোঁকে বিংশ শতাব্দীর ফরাসি শিল্প ও সাহিত্যের অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্বে পরিণত করে।
অঁদ্রে ব্র্যতোঁ ফ্রান্সের নরম্যান্ডিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা লুই-জ্যুসতাঁ ব্র্যতোঁ ছিলেন একজন পুলিশ ও নাস্তিক এবং তার মা ছিলেন একজন প্রাক্তন দর্জি। ব্রেতঁ চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হন ও সেখানে মানসিক ব্যাধি সম্পর্কে বিশেষভাবে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যোগ দিতে বাধ্য হওয়ার কারণে তার শিক্ষা বিঘ্নিত হয়।[৩]
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি নঁত-এর একটি নিউরোলজিক্যাল ওয়ার্ডে কাজ করেন, যেখানে তিনি আলফ্রেড জেরি, জ্যাক ভাসের একজন ভক্তের সাথে পরিচিত হন, যার সমাজবিরোধী মনোভাব এবং প্রতিষ্ঠিত শৈল্পিক ঐতিহ্যের প্রতি ঘৃণা ব্র্যতোঁ-কে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে।[৪] ব্র্যতোঁ ১৯২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তার প্রথম স্ত্রী সিমোন কান কে বিয়ে করেন। তারা ১৯২২ সালের ১ জানুয়ারি প্যারিসের ৪২ নং রু ফন্টেইনে স্থানান্তরিত হন। এই অ্যাপার্টমেন্ট ব্র্যতোঁ-র পাঁচ হাজারের অধিক আইটেমের সংগ্রহশালা হয়ে ওঠে, যেমন আধুনিক চিত্রাঙ্কন, ভাস্কর্য, আলোকচিত্র, বই, আর্ট ক্যাটালগ, জার্নাল, পাণ্ডুলিপি ইত্যাদি। তার পিতার মত, তিনিও একজন নাস্তিক ছিলেন।[৫][৬][৭][৮]
ব্র্যতোঁ ১৯১৯ সালে লুই আরাগোঁ ও ফিলিপ সুপোর সাথে সমালোচনামূলক সাময়িকী লিতেরাত্যুর (Littérature) চালু করেন।[৯] তিনি ডাডাবাদী ত্রিস্তান জারার সাথেও যুক্ত ছিলেন।[১০] ১৯২৪ সালে পরাবাস্তববাদী গবেষণা ব্যুরো প্রতিষ্ঠায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি ১৯২৪ সালে পরাবাস্তববাদী ইশতেহার প্রকাশ করেন, এবং সেই বছর থেকে লা রেভোল্যুসিওঁ স্যুরেয়ালিস্ত পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। এসময় একদল লেখক তার সাথে যুক্ত হন: ফিলিপ সুপো, লুই আরাগোঁ, পোল এলুয়ার, র্যনে ক্র্যভেল, মিশেল লেরিস, বাঁজামাঁ পেরে, অঁতোনাঁ আর্তো এবং রোবের দেসনোস।
ব্র্যতোঁ ১৯২৭ সালে ফরাসি কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দেন, কিন্তু ১৯৩৩ সালে দল থেকে বহিষ্কৃত হন। ১৯২৮ সালে তার নাজা গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। এই সময়, তিনি তাঁর শিল্পকলা প্রদর্শনীঘরের চিত্রকর্মগুলি বিক্রয় করেই জীবিকা নির্বাহ করেন।[১১][১২]
অঁদ্রে ব্র্যতোঁ ১৯৬৬ সালে ৭০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন এবং তাকে প্যারিসে সমাধিস্থ করা হয়।[১৩]
Breton professed to be an atheist...
Again, the atheist Breton's predilection for ideas of blasphemy and profanation, as well as for the " demonic " word noir, contained a hint of Satanism and alliance with infernal powers.