অকাল তখত সাহিব ਅਕਾਲ ਤਖ਼ਤ ਸਾਹਿਬ | |
---|---|
![]() অকাল তখত সাহিব | |
![]() | |
সাধারণ তথ্যাবলী | |
স্থাপত্যশৈলী | শিখ স্থাপত্যকলা |
শহর | অমৃতসর |
দেশ | ভারত |
সম্পূর্ণ | ১৭ শতক |
অকাল তখত (গুরুমুখী: ਅਕਾਲ ਤਖ਼ਤ, অর্থঃ শাশ্বত সিংহাসন, বা, কালাতীত এক সিংহাসন)[১] হচ্ছে শিখ ধর্মের পাঁচটি তখত (ক্ষমতার আসন) সমূহের একটি। এটি ভারতের পাঞ্জাবের অমৃতসর জেলার হরমন্দির সাহিব (স্বর্ণমন্দির) কমপ্লেক্সে অবস্থিত, যা নতুন দিল্লি থেকে ২৯০ মাইল (৪৭০ কিলোমিটার) উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। গুরু হরগোবিন্দ সাহিব ন্যায়বিচার ও সমসাময়িক বিষয়গুলো বিবেচনার জায়গা হিসেবে এই তখতের প্রতিষ্ঠা করেন; এটি জাঠেদার, যিনি শিখদের মুখপাত্র এবং খলসা (শিখদের সমষ্টিগত দল) পার্থিব কর্তৃপক্ষের সর্বোচ্চ আসন। শিখদের বর্তমান জাঠেদারের নাম সিং সাহিব গৈনি গুরবচন সিং খালসা।
অকাল তখতের নির্মাণ রাজনৈতিক সার্বভৌমত্বের প্রতীক এবং যেখানে আধ্যাত্মিক এবং শিখ মানুষের সময়গত উদ্বেগের সুরাহা করা যেতে পারে এমন একটি জায়গা হিসেবে শিখদের ষষ্ঠ গুরু, গুরু হরগোবিন্দ এর প্রতিষ্ঠা করেন।[১]
১৮ শতাব্দীতে আহমদ শাহ দুররানি এবং মাসা রাঞ্জার অকাল তখত ও হরমন্দির সাহিব এর উপর ক্রমান্বয় আক্রমণে নেতৃত্বদান করেন।[১] মহারাজা রঞ্জিৎ সিংহের সেনাপতি হরি সিং নালওয়া অকাল তখতকে স্বর্ণ দ্বারা অলঙ্কৃত করেন।[২] ১৯৮৪ সালের ৪ঠা জুন ভারতীয় সেনাবাহিনী কর্তৃক অপারেশন ব্লু স্টার চলাকালীন অকাল তখতের প্রচুর ক্ষতিশাধন হয়।
এই অকাল তখত নির্মিত হয়েছিল প্রশস্ত খোলা স্থানের মধ্যে, একটি ঢিপিতে। এই স্থানটিতে হরগোবিন্দ, শিশু বয়সে খেলা করতেন। মূল তখত ছিল ৩.৫মিটার(১১ ফিট) উচ্চ, একটি সমতল জায়গা, যেটিতে, হরগোবিন্দ আবেদন পত্র গ্রহণ ও বিচার পরিচালনার করার জন্য আদালতে বসতেন। তিনি ছাতা এবং চামর ইত্যাদি রাজকীয় পরিচয়চিহ্ন দ্বারা বেষ্টিত থাকতেন। পরে সেখানে মার্বেল স্তম্ভ এবং সোনালী আভ্যন্তরীন অংশের উপর নির্মিত একটি উন্মুক্ত অর্ধবৃত্তাকার কাঠামো ছিল। এছাড়া ইউরোপীয়দের চিত্রিত করা সভাগৃহ ছিল।[৩]
আধুনিক ভবনটি একটি সোনার পাতে মোড়া গম্বুজ সমেত, মার্বেলে বাঁধান একটি পাঁচ তলা মহল। এর তিনটি তলা ১৭০০ সালে রঞ্জিত সিং নির্মাণ করান। বর্তমান কালের পুনঃর্নির্মাণের সময়,হরমন্দির নির্মাণের পরবর্তী সময়ের, চুন পলস্তারায় আঁকা একটি আলংকারিক স্তর পাওয়া গেছিল, যেটি মূল কাঠামোর অঙ্গ হতে পারে।
অপারেশন ব্লু স্টার ১৯৮৪ সালের ১ হতে ১০ জুন পর্যন্ত হরমন্দির সাহিব কমপ্লেক্স দখল করে থাকা শিখ বিদ্রোহী জার্নেল সিং ভিন্দ্রানওয়ালে ও তার অনুসারিদের আটক করার জন্য পরিচালিত রক্তক্ষয়ী অভিযান ছিলো।