অক্টাভিয়া স্পেন্সার | |
---|---|
Octavia Spencer | |
জন্ম | অক্টাভিয়া লেনোরা স্পেন্সার ২৫ মে ১৯৭২ |
জাতীয়তা | মার্কিন |
অন্যান্য নাম | অক্টাভিয়া এল. স্পেন্সার |
মাতৃশিক্ষায়তন | অবার্ন বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | অভিনেত্রী, লেখিকা |
কর্মজীবন | ১৯৯৬-বর্তমান |
পুরস্কার | পূর্ণ তালিকা |
অক্টাভিয়া লেনোরা স্পেন্সার (ইংরেজি: Octavia Lenora Spencer; জন্ম: ২৫শে মে, ১৯৭২)[১] হলেন একজন মার্কিন অভিনেত্রী ও লেখিকা। তিনি একটি একাডেমি পুরস্কার, একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার, একটি বাফটা পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কার অর্জন করেছেন। তিনি তিনজন কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেত্রীর একজন, যিনি তিনটি একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেছেন এবং একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেত্রী হিসেবে টানা দুইবার এই পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেছেন।[২]
স্পেন্সার ১৯৯৬ সালে নাট্যধর্মী আ টাইম টু কিল চলচ্চিত্র দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু করেন। পরের দশকে তিনি একাধিক চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনে ছোটো চরিত্রে কাজ করেন। তার অভিনীত প্রথম সফল চলচ্চিত্র হল ২০১১ সালে দ্য হেল্প, এতে তিনি ১৯৬০-এর দশকের একজন গৃহপরিচারিকা চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার, গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার ও বাফটা পুরস্কারসহ একাধিক পুরস্কার লাভ করেছেন। রায়ান কুগলারের নাট্যধর্মী ফ্রুটভেল স্টেশন (২০১৩)-এ অভিনয় করে তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ন্যাশনাল বোর্ড অব রিভিউ পুরস্কার অর্জন করেছেন।
অক্টাভিয়া লেনোরা স্পেন্সার ১৯৭২ সালের ২৫শে মে অ্যালাবামার মন্টগামারিতে জন্মগ্রহণ করেন। তার মাতা ডেলসেনা স্পেন্সার (১৯৪৫-১৯৮৮)[৩] ছিলেন একজন গৃহকর্মী[৪] এবং তার পিতা তার যখন তেরো বছর বয়স তখন মারা যান।[৫] তারা ছয় ভাইবোন।[৬] স্পেন্সার ১৯৮৮ সালে জেফারসন ডেভিস হাই স্কুল থেকে পাস করেন।[৭] পরে তিনি মন্টগামারির অবার্ন বিশ্ববিদ্যালয়[৮] থেকে সাংবাদিকতা ও নাট্যকলাসহ ইংরেজিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।[৯]
স্পেন্সার হুপি গোল্ডবার্গ অভিনীত দ্য লং ওয়াক হোম চলচ্চিত্রে শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করেন।[১০] ১৯৯৭ সালে তিনি তার বন্ধু টেট টেলরের উপদেশে লস অ্যাঞ্জেলেসে আসেন।[১১]
স্পেন্সার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ছিল জোয়েল শুমেকারের আ টাইম টু কিল (১৯৯৬)। জন গ্রিশামের বই অবলম্বনে নির্মিত এই চলচ্চিত্রে তাকে সেবিকা চরিত্রে দেখা যায়। তাকে মূলত অভিনয়শিল্পী নির্বাচন কাজের জন্য ডাকা হয়েছিল, কিন্তু শুমেকার তাকে এই চরিত্রের জন্য অডিশন দিতে বলেন এবং তিনি এই চরিত্রের জন্য নির্বাচিত হন।[১২] পরবর্তী সময়ে তিনি নেভার বিন কিসড (১৯৯৯), বিগ মামাস হাউজ (২০০০), স্পাইডার-ম্যান (২০০২), ব্যাড সান্তা (২০০৩), উইন আ ডেট উইথ টেড হ্যামিলটন! (২০০৪), কোচ কার্টার (২০০৫), ও প্রিটি আগলি পিপল চলচ্চিত্রে ছোটো ও পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন। এছাড়া তিনি রাইজিং দ্য বার, সিএসআই: ক্রাইম সিন ইনভেস্টিগেশন, দ্য বিগ ব্যাং থিয়রি, উইজার্ড অব ওয়েবার্লি প্লেস, গ্রাউন্ডেড ফর লাইফ, ইআর, টাইটাস, বেকার, থার্টি রক ও ধর্ম অ্যান্ড গ্রেগ টেলিভশন ধারাবাহিকগুলোতে পার্শ্ব ও অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
২০১০ সালের আগস্ট মাসে স্পেনাসার ভায়োলা ডেভিস, এমা স্টোন ও ব্রাইস ডালাস হাওয়ার্ডের সাথে দ্য হেল্প চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য যোগ দেন। একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত চলচ্চিত্রটিতে তিনি মিনি জ্যাকসন চরিত্রে অভিনয় করেন। ছবিটি রচনা, প্রযোজনা ও পরিচালনা করেন তার বন্ধু টেট টেলর। এই ছবিতে তার অভিনয়ের জন্য তিনি ২০১২ সালে শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কার, গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার,[১৩] বাফটা পুরস্কার এবং স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার লাভ করেন। এটি ছিল তার প্রথম একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন এবং প্রথম বিজয়। একাডেমি পুরস্কারের আয়োজনে সকলে তাকে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানায় এবং একই বছর জুন মাসে একাডেমি অব মোশন পিকচার আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেস তাকে সেখানে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানায়।[১৪]
২০১৩ সালে তিনি মাইকেল বি. জর্ডানের বিপরীতে ফ্রুটভেল স্টেশন চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এটি ২০০৯ সালে বে এরিয়া র্যাপিড ট্রানজিট স্টেশনে অস্কার গ্রান্টের হত্যাকাণ্ড নিয়ে নির্মিত।[১৫] এতে অভিনয়ের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে ন্যাশনাল বোর্ড অব রিভিউ পুরস্কার অর্জন করেন।
স্পেন্সার তিনবার শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী বিভাগে একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেছেন এবং একবার এই পুরস্কার জিতেছেন। তিনি প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেত্রী হিসেবে প্রথম টানা দুই বছর এই পুরস্কারের মনোনীত হয়েছেন। তিনি প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেত্রী, যিনি একবার একাডেমি পুরস্কার জয়ের পর আরও দুটি একাডেমি পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেছেন। ২০১৮ পর্যন্ত তিনি ভায়োলা ডেভিসের সাথে যৌথভাবে সর্বাধিক একাডেমি পুরস্কারে মনোনীত কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেত্রী।[২]
এছাড়া তিনি তিনটি স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার, তিনটি ন্যাশনাল বোর্ড অব রিভিউ পুরস্কার, দুটি স্যাটেলাইট পুরস্কার, দুটি ক্রিটিকস চয়েস চলচ্চিত্র পুরস্কার, একটি গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার এবং একটি বাফটা পুরস্কার অর্জন করেছেন।