অগ্নি-৪ | |
---|---|
![]() ওড়িশার হুইলারের দ্বীপ থেকে অগ্নি-৪ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে। | |
প্রকার | অন্তর্বর্তী পাল্লার নিক্ষেপী ক্ষেপণাস্ত্র |
উদ্ভাবনকারী | ভারত |
ব্যবহার ইতিহাস | |
ব্যবহারকাল | সক্রিয়[১] |
ব্যবহারকারী | স্ট্রাটেজিক ফোর্সেস কম্যান্ড |
উৎপাদন ইতিহাস | |
নকশাকারী | প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা |
উৎপাদনকারী | ভারত ডায়নামিক্স লিমিটেড |
তথ্যাবলি | |
ওজন | ১৭,০০০ কিলোগ্রাম (৩৭,০০০ পাউন্ড)[২] |
দৈর্ঘ্য | ২০ মিটার (৬৬ ফুট)[২] |
ওয়ারহেড | প্রচলিত, থার্মোবেরিক, কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র |
ইঞ্জিন | বহু-পর্যায়ের সংমিশ্রণ রকেট মোটর[৩] |
প্রপেল্যান্ট | কঠিন জ্বালানী |
অপারেশনাল রেঞ্জ |
৩,৫০০ – ৪,০০০ কিমি[৪][৫] |
ফ্লাইট উচ্চতা | ৯০০ কিলোমিটার (৫৬০ মাইল) |
নির্দেশনা পদ্ধতি |
রিজডান্ট মাইক্রো ইন্টারিয়াল নেভিগেশন এবং ডিজিটাল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সহ রিং লেজার জাইরো ইন্টারিয়াল নেভিগেশন ব্যবস্থা।[৬] |
নির্ভুলতা | <১০০ মিটার সিইপি[৭] |
লঞ্চ প্লাটফর্ম |
৮ × ৮ ট্রান্সপোর্টার ইরেক্টর লঞ্চার/রেল মোবাইল লঞ্চার |
অগ্নি-৪ অগ্নি সিরিজের চতুর্থ ক্ষেপণাস্ত্র, যা পূর্বে অগ্নি-২ প্রাইম হিসাবে পরিচিত ছিল। এটি ভারতের ডিআরডিও দ্বারা বিকশিত করা হয় এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে বেশ কয়েকটি নতুন প্রযুক্তি ও উল্লেখযোগ্য উন্নতি প্রদর্শিত করে। ক্ষেপণাস্ত্রটি হালকা ওজনের এবং কঠিন জ্বালানীর দুটি পর্যায় ও উচ্চ তাপমাত্রা প্রতিহতকারী পুনঃপ্রবেশ তাপ ঢাল সহ একটি পে-লোড রয়েছে। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে উৎক্ষেপণ করা হলে ৩,৫০০ কিলোমিটার থেকে ৪,০০০ কিলোমিটার পাল্লার[৮] ক্ষেপণাস্ত্রটি চিনের মূল ভূখণ্ডের প্রায় লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।[৯]
এই ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রথমবারের মতো অনেকগুলি নতুন প্রযুক্তি প্রমাণ করে এবং ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে একটি উল্লেখযোগ্য উত্তরণের প্রতিনিধিত্ব করে। ক্ষেপণাস্ত্রটি ওজনে হালকা ও কঠিন জ্বালানী দ্বারা চালিত একটি দুটি-পর্যায়ের রকেট ইঞ্জিন ব্যবহার করে। প্রথমবার ব্যবহার করা সংমিশ্রিত রকেট মোটর দুর্দান্ত কর্মদক্ষতা প্রদর্শন করে। ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাটি একটি উচ্চ স্তরের নির্ভরযোগ্যতা সরবরাহ করতে রিডানডেন্সির সাথে আধুনিক ও নিবিড় এভিওনিক্স দিয়ে সজ্জিত। দেশীভাবে-নির্মিত রিং লেজার জাইরস্কোপ উচ্চ নির্ভুলতার আইএনএস (আরআইএনএস) ও মাইক্রো ইনার্শিয়াল নেভিগেশন ব্যবস্থার (এমআইএনএস) মাধ্যমে ব্যবহৃত হয়, যা একে অপরকে রিডানডেন্সি হিসাবে পরিপূরক করে। বিতরণ এভিওনিক্স আর্কিটেকচার সহ উচ্চ কার্যকারিতা অনবোর্ড কম্পিউটার, উচ্চ গতির নির্ভরযোগ্য যোগাযোগ বাস ও একটি সম্পূর্ণ ডিজিটাল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সহ ক্ষেপণাস্ত্রটি নিয়ন্ত্রিত ভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পরিচালনা করা সম্ভব।
অগ্নি-৪ ছয় বছরে সাতটি সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে।[১০]