![]() | এই জীবিত ব্যক্তির জীবনীমূলক নিবন্ধটির তথ্য যাচাইয়ের জন্য অতিরিক্ত সূত্র থেকে উদ্ধৃতিদান করা প্রয়োজন। (December 2019) |
অচলা মল্লিক (জন্ম ১ জুলাই ১৯৪১) একজন ভারতীয় লেখিকা এবং ভারত সরকারের শিক্ষা সচিব, ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগের মহাপরিচালক ও ২০০১ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত কর্ণাটক সরকারের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
রাশিয়ান সাহিত্যের প্রচারের জন্য ২০১৩ সালে তিনি সের্গেই ইয়েসেনিন পুরস্কার জিতেছিলেন। [১]
১৯৪১ সালের ১ জুলাই একটি সচ্ছল বাঙালি পরিবারে জন্মগ্রহণকারী মল্লিক লন্ডন ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক পাস করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইতালিতে পড়াশোনা করেছেন। পড়াশোনা শেষ করে মল্লিক ভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নেন এবং ১৯৬৪ সালে ভারতীয় প্রশাসনিক পরিষেবাতে যোগ দেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
মল্লিক ২০০১ সালে অবসরের পূর্ব পর্যন্ত আইএএস হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি শিক্ষা ও যুব পরিষেবা বিভাগে যুগ্ম সচিব এবং কর্ণাটক রাজ্য আর্কাইভের পরিচালক হিসাবে কাজ করেছেন। এএসআই-এর তৎকালীন মহাপরিচালক প্রত্নতত্ত্ববিদ এম. সি. জোশি সুরক্ষিত স্মৃতিস্তম্ভ বাবরি মসজিদকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে ASI-এর ব্যর্থতার দায়ভার নিয়ে পদত্যাগ করলে ভারত সরকার মৌলিককে তার পরবর্তী পদাধিকারী হিসেবে নিযুক্ত করে। অচলা মল্লিক ছিলেন প্রথম ভারতীয় প্রশাসনিক পরিষেবা অফিসার যিনি এই পদে অধিষ্ঠিত হন। মহাপরিচালক হিসাবে মৌলিকের নিয়োগ জরিপে পেশাদার প্রত্নতাত্ত্বিকর প্রতিবাদ করেছিলেন। কারা তারা মানতেন যে শুধুমাত্র একজন পেশাদার প্রত্নতাত্ত্বিক এই পদের জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত।[২] তাদের শান্ত করার জন্য সরকার প্রাক্তন মহাপরিচালক জে. পি. যোশীকে মৌলিকের বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করে।[২] কিন্তু দুজনের মধ্যে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের কারণে সে আয়োজন কাজ করেনি। জোশী এএসআই-তে প্রত্নতাত্ত্বিকদের সমর্থন জোগাড় করেন এবং মৌলিককে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করেন, কিন্তু এর জবাবে সরকার যোশিকে বরখাস্ত করে। মৌলিককে স্বল্প মেয়াদে কর্ণাটকে বদলি করা হয় এবং এস. কে মহাপাত্র তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন।.[২] এএসআই ২০১৩ সাল পর্যন্ত সিভিল সার্ভেন্টদের নেতৃত্বে চলতে থাকে।
মৌলিক জানুয়ারি থেকে জুন ২০০১ পর্যন্ত কর্ণাটক সরকারের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তৎকালীন মুখ্য সচিব এস কে ভট্টাচার্যের অবসরে মৌলিককে এই পদের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন এবং অবশেষে অবসর নেন।
২০০১ সালে তার অবসর গ্রহণের পর থেকে তিনি মৌলিক কল্পকাহিনী এবং নন-ফিকশন উভয় ধরনের বই লিখছেন এবং বিদেশী লেখকদের কাজ অনুবাদ করছেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
পূর্বসূরী M. C. Joshi |
Director General of the Archaeological Survey of India 1993 - 1994 |
উত্তরসূরী S. K. Mahapatra |