অচ্যুত সামন্ত | |
---|---|
জন্ম | ২০ জানুয়ারি, ১৯৬৫ কলেরাব্যাঙ্ক, ওড়িশা |
নাগরিকত্ব | ভারত |
পরিচিতির কারণ | শিক্ষাবিদ, ভারতের সবচেয়ে কমবয়সী আচার্য |
ওয়েবসাইট | www.achyutasamanta.com |
ড. অচ্যুত সামন্ত (জন্ম: ২০ জানুয়ারি, ১৯৬৫) একজন ভারতীয় শিক্ষাবিদ। ১৯৯২ সালে ১২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি (কেআইআইএস)। [১] এটি এখন বিশ্বমানের একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯৩ সালে তিনি চালু করেন কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল সায়েন্স (কিস)। [২] সবচেয়ে কম সময়ে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পাওয়ার লিমকা বুক অব রেকর্ডসে নাম উঠেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। ভারতের সবচেয়ে কম বয়সী আচার্য তিনি। [৩] অচ্যুত সামন্ত বাংলাদেশের ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডি.লট ডিগ্রি পান। [৪][৫]
অচ্যুত সামন্তর জন্ম ১৯৬৫ সালের ২০ জানুয়ারি ওড়িশার কলেরাব্যাঙ্কে। চরম অর্থাভাবের মধ্যেও তিনি টিউশনি করে পড়ালেখার খরচ নিজেই চালিয়ে যান। ওড়িশার উৎকল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন বিষয়ে এমএসসি ডিগ্রি নেন অচ্যুত। [৬] পরবর্তীকালে সমাজবিজ্ঞানে পিএইচডি সম্পন্ন করেন।
১৯৯৩ সালে মাত্র ১২ জন ছাত্র নিয়ে অচ্যুত সামন্ত প্রতিষ্ঠা করেন কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজি (কেআইআইএস)। এটি এখন বিশ্বমানের একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। সবচেয়ে কম সময়ে পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি পাওয়ার লিমকা বুক অব রেকর্ডসে নাম উঠেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। কলিঙ্গ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডাস্ট্রিয়াল টেকনোলজির আছে নিজস্ব হাসপাতাল, পূর্ণাঙ্গ স্টেডিয়াম ও ট্রেনের নিজস্ব অগ্রিম টিকিটের ব্যবস্থা। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিগ্রি প্রদান করা হয় ১০০টির বেশি বিষয়ে। ওডিশার আদিবাসী এবং দরিদ্র শিশুরা ‘কেজি টু পিজি’ বিনা মূল্যে থাকা-খাওয়া আর পড়ালেখার সুযোগ পায় এই প্রতিষ্ঠানে। কেআইআইএসেও ২০১৪ সাল পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি।
২০১১ সালে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টারে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব ১৩ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে শিরোপা জেতে কেআইএসএস রাগবি দল। একই বছরে টাইমস অব ইন্ডিয়ার বিচারে ‘আইকন অব ওডিশা’ নির্বাচিত হন অচ্যুত সামন্ত। সর্বভারতে সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হওয়ার রেকর্ড অচ্যুত সামন্তর দখলে। ২০১২ সালে পেয়েছেন জওহরলাল নেহরু অ্যাওয়ার্ড। ব্যক্তিগত জীবনে অবিবাহিত এই সমাজসেবক বাস করেন দুই কক্ষের একটি ভাড়া বাড়িতে।
সমাজসেবায় অবদানের জন্য অচ্যুন্ত সামন্ত ভারত ছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকা, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর, চেক রিপাবলিকসহ বহু দেশ থেকে স্বীকৃতি পেয়েছেন। তাকে নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে টাইম (সাময়িকী), রিডার্স ডাইজেস্টসহ বিশ্বের প্রথম সারির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। স্বীকৃতির পাশাপাশি পেয়েছেন অনেক পুরস্কার। যুক্তরাষ্ট্রের ইডিজিই ফাউন্ডেশনের করা বিশ্বের অন্যতম ১৫ সামাজিক উদ্যোক্তা তালিকায় রয়েছে অচ্যুত সামন্তের। [৭]