ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | অজয় রাত্রা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ফরিদাবাদ, হরিয়ানা, ভারত | ১৩ ডিসেম্বর ১৯৮১|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | বান্টি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | উইকেট-রক্ষক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৪৩) | ১৯ এপ্রিল ২০০২ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৯ সেপ্টেম্বর ২০০২ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১৪০) | ১৯ জানুয়ারি ২০০২ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৯ জুলাই ২০০২ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯৯ - ২০০৫ | হরিয়ানা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৭ - ২০১১ | গোয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১ - ২০১৩ | ত্রিপুরা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৩ নভেম্বর ২০২০ |
অজয় রাত্রা (মারাঠি: अजय रात्रा; জন্ম: ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৮১) ফরিদাবাদ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ভারত ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের শুরুরদিকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।
;ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে হরিয়ানা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন ‘বান্টি’ ডাকনামে পরিচিত অজয় রাত্রা।
২০০০ সালে যুবদের বিশ্বকাপে ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সদস্য হিসেবে খেলেন। ঐ প্রতিযোগিতায় তার দল শিরোপা লাভ করেছিল। পরের মৌসুমে নিজ দেশে সফররত ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে সিরিজ জয়ে ভূমিকা রাখেন।
২০০০ সালে ব্যাঙ্গালোরভিত্তিক ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমির প্রথম পর্যায়ের প্রশিক্ষণের জন্যে মনোনীত হন।[১] রড মার্শ ও সৈয়দ কিরমাণী’র তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ নেন। প্রশিক্ষণের পর ছয়জন উইকেট-রক্ষকের অন্যতম হিসেবে ১২ মাসের জন্যে দলের সদস্য হিসেবে নজরদারীতে ছিলেন। সৈয়দ মুশতাক আলী ট্রফি প্রতিযোগিতায় গোয়া দলের পক্ষে খেলেছেন তিনি।
১৯৯৮-৯৯ মৌসুম থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত অজয় রাত্রা’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। কিঞ্চিৎ মজবুত গড়নের অধিকারী ছিলেন তিনি। ক্ষীপগ্রতিতে পায়ের কাজ সাড়তেন। সচরাচর, রক্ষণাত্মক ধাঁচে ও সতর্কতার সাথে খেলতেন। হরিয়ানার পক্ষে কনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে অধিনায়কের মর্যাদাপ্রাপ্ত হন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ছয়টিমাত্র টেস্ট ও বারোটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন অজয় রাত্রা। ১৯ এপ্রিল, ২০০২ তারিখে পোর্ট অব স্পেনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৫ সেপ্টেম্বর, ২০০২ তারিখে ওভালে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১১৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। এরফলে, সর্বকনিষ্ঠ ও ভারতের দ্বিতীয় ভারতীয় উইকেট-রক্ষক হিসেবে বিদেশে শতরান করার কৃতিত্ব দেখান। এ পর্যায়ে তার বয়স ছিল মাত্র ২০ বছর ও তার নিজস্ব তৃতীয় টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। তবে, গ্রীষ্মের শেষদিকে তার খেলার মানের অবনতি ঘটতে থাকে। ফলশ্রুতিতে, টেস্ট দলে পার্থিব প্যাটেলকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। অন্যদিকে, রাহুল দ্রাবিড়কে একদিনের দলে রাখা হয়।
২০০২ সালে আঘাতগ্রস্ত হলে সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট উইকেট-রক্ষক পার্থিব প্যাটলকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়। এরপর মহেন্দ্র সিং ধোনি, দিনেশ কার্তিক ও প্যাটলের পর তার অবস্থান নির্ধারিত হয়।
জুলাই, ২০১৫ সালে সকল স্তরের ক্রিকেট থেকে অজয় রাত্রা তার অবসর গ্রহণের কথা ঘোষণা করেন। সব মিলিয়ে ৯৯টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ৩০.২৯ গড়ে ৪০২৯ রান সংগ্রহ করতে পেরেছেন। তন্মধ্যে, আটটি শতক ও একটি দ্বি-শতরানের ইনিংস ছিল। এছাড়াও, ৮৯টি লিস্ট এ খেলায় অংশ নিয়ে ২২.৬৩ গড়ে ১৩৮১ রান সংগ্রহ করেছেন।[২]