ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জন্ম | আম্বালাঙ্গোদা, শ্রীলঙ্কা | ১২ ডিসেম্বর ১৯৫২|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | স্লো লেফট আর্ম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ২০ জানুয়ারি ২০১৬ |
জিনিগালগোদাগে রাম্বা অজিত ডি সিলভা (তামিল: அஜித் டி சில்வா; জন্ম: ১২ ডিসেম্বর, ১৯৫২) আম্বালাঙ্গোদায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক শ্রীলঙ্কান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের পক্ষে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিয়েছেন অজিত ডি সিলভা। এছাড়াও, শ্রীলঙ্কা একাদশ, শ্রীলঙ্কা বোর্ড সভাপতি একাদশ, শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-২৫ দলের পক্ষেও প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি।[১] দলে তিনি মূলতঃ স্লো লেফট আর্ম স্পিনার ছিলেন। পাশাপাশি বামহাতে ব্যাটিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন তিনি।
নভেম্বর, ১৯৭৩ সালে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার অভিষেক ঘটে। ঐ মৌসুমে তিনি ২৭.৪৪ গড়ে ১৬১ উইকেট দখল করেন। জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে বেশ কয়েকবছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন। ১৪ জুন, ১৯৭৫ তারিখে ক্রিকেট বিশ্বকাপের উদ্বোধনী আসরে গ্রুপ পর্বের শেষ খেলায় তার ওডিআই অভিষেক হয়। ঐ খেলায় তিনি কোন রান করতে ব্যর্থ হন ও ৪৬ রানের বিনিময়ে একটিমাত্র উইকেটের সন্ধান পান। নটিংহামের ট্রেন্ট ব্রিজে অনুষ্ঠিত খেলায় পাকিস্তানের বিপক্ষে তার দল ১৯২ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল।
১৯৮২ সালে নিজভূমিতে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার প্রথম ওডিআই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। ২১৬ রানের লক্ষ্যমাত্রায় নেমে গ্রাহাম গুচ ও জিওফ কুক ১০৯ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়লেও উইকেট-রক্ষক মহেশ গুণতিলকের সহায়তায় উভয়কে স্ট্যাম্পড করেন। এছাড়াও চারজন খেলোয়াড় রান আউটের শিকার হন। ফলশ্রুতিতে ইংল্যান্ড নাটকীয়ভাবে ৩ রানে হেরে যায়।
১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৮২ তারিখে একই দলের বিপক্ষে কলম্বোয় অনুষ্ঠিতে টেস্টে তার অভিষেক হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৮২ তারিখে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে চেন্নাই টেস্টে সর্বশেষ অংশ নেন।
কিন্তু, ১৯৮২-৮৩ মৌসুমে বিদ্রোহী আরোসা শ্রীলঙ্কা দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাবার অপরাধে বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গন থেকে বাদ দেয়া হয়। এরফলে কার্যত তার খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে।