অঞ্জলি দেবী | |
---|---|
জন্ম | অঞ্জনাম্মা ২৪ আগস্ট ১৯২৭ |
মৃত্যু | ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ চেন্নাই, তামিল নাড়ু, ভারত | (বয়স ৮৬)
পেশা | অভিনেত্রী, মডেল, চলচ্চিত্র প্রযোজক |
দাম্পত্য সঙ্গী | পি.আদিনারায়ণ রাও (বি. ১৯৪৮–১৯৯১) |
অঞ্জলি দেবী (ভারতীয় অভিনেত্রী, মডেল এবং তেলুগু ও তামিল চলচ্চিত্রের প্রযোজক ছিলেন। তিনি লব কুশ ছবিতে দেবী সীতার চরিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি সুবর্ণা সুন্দরী ও আনারকলির মতো চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করার জন্য অধিক পরিচিতি লাভ করেছেন।
; ২৪শে আগস্ট ১৯২৭ - ১৩ই জানুয়ারি ২০১৪) একজনঅঞ্জলি দেবী ১৯২৭ সালের ২৪শে আগস্ট তারিখে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের পূর্ব গোদাবরী জেলার পেড্ডাপুরমে অঞ্জনাম্মা নামে জন্মগ্রহণ করেছেন।[১] নাটকে অভিনয় করার সময় তিনি নিজের নাম পরিবর্তন করে অঞ্জনী কুমারী করেছিলেন। পরে পরিচালক সি পুল্লাইয়া তাঁর নাম পরিবর্তন করে অঞ্জলি দেবী রাখেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
অঞ্জলি দেবী চলচ্চিত্রে প্রবেশের আগে একজন মঞ্চ অভিনয়শিল্পী ছিলেন। ১৯৩৬ সালে রাজা হরিশচন্দ্র ছবিতে লোহিতাস্য চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পদার্পণ করেছেন। নায়িকা হিসাবে তাঁর প্রথম চলচ্চিত্রটি ১৯৪০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এল ভি প্রসাদের কাশতজীবী, তবে এই চলচ্চিত্রের তিনটি রীল শ্যুটিং করার পরে এই চলচ্চিত্রটি পরিত্যক্ত হয়েছিল। পরে সি. পুল্লাইয়া তাকে খুঁজে বের করেন এবং গোল্লভামায় তাকে মোহিনী চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ দিয়েছিলেন। তার অভিনয়ের দক্ষতার ভিত্তিতে তিনি ১৯৪৭ সালে রাতারাতি তারকা হয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ১০০টিরও বেশি তামিল চলচ্চিত্র,[১] ১০০টি তেলুগু চলচ্চিত্রে[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এবং নায়িকা হিসাবে বেশ কয়েকটি কন্নড় চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
তিনি ১৯৬৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তেলুগু চলচ্চিত্র লব কুশ -এ(যেটি একটি মাইলফলক চলচ্চিত্র ছিল) অভিনয়ের মাধ্যমে তেলুগু চলচ্চিত্র জগতের প্রথম রঙিন চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তিনি লব কুশ -এ দেবী সীতার চরিত্রে অভিনয় করার জন্য অধিক পরিচিতি লাভ করেন। অতঃপর তিনি সুবর্ণা সুন্দরী ও আনারকলির মতো চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। তিনি প্রায় ৫০০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। যার মধ্যে ব্রুনাভনম (১৯৯২), আন্না ভাদিনা (১৯৯৩) এবং পুলিশ অল্লুদু (১৯৯৪) তাঁর কর্মজীবনের শেষ কয়েকটি চলচ্চিত্র ছিল। বালাইয়ার পুলিশ অল্লুদু এবং আন্না ভাদিনা নামক চলচ্চিত্রে তিনি ব্রহ্মানন্দমের সাথে অভিনয় করেছেন। তিনি ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন, যার মধ্যে কুমারী, দেবদূত, নৃত্যশিল্পী, রাক্ষস, দেবী, ঐতিহ্যবাহী মহিলা এবং মায়ের চরিত্র উল্লেখযোগ্য।
হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে ২০১৪ সালের ১৩ই জানুয়ারি তারিখে ভারতের তামিলনাড়ুর চেন্নাইয়ের বিজয়া হাসপাতালে তিনি ৮৬ বছর বয়সে মারা যান।[২] তাঁর দেহের অঙ্গ রামচন্দ্র মেডিকেল কলেজে দান করা হয়েছিল।[৩]