অঞ্জলি পাটিল | |
---|---|
![]() অঞ্জলি পাটিল | |
জন্ম | |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | অভিনেত্রী, মডেল |
কর্মজীবন | ২০১১–বর্তমান |
অঞ্জলি পাটিল (জন্ম: ২৬শে সেপ্টেম্বর ১৯৮৭) হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী এবং মঞ্চ নাটক পরিচালক। তিনি দিল্লি ইন এ ডে, চক্রব্যূহ, নিউটন এবং শ্রীলঙ্কার চলচ্চিত্র উইথ ইউ উইথআউট ইউ-এর জন্য ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছেন। তিনি শ্রীলঙ্কার চলচ্চিত্র উইথ ইউ উইদাউট ইউ-এ তাঁর অভিনয়ের জন্য ভারতের ৪৩তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আইএফএফআই "সেরা অভিনয়শিল্পী (নারী)" বিভাগে রৌপ্য ময়ূর পুরস্কার পেয়েছেন।[১] ২০১৩ সালে, তিনি তেলুগু চলচ্চিত্র না বাঙ্গারু টালি-তে অভিনয় করেছিলেন; যার জন্য তিনি 'জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার - বিশেষ উল্লেখ'[২] এবং সেরা অভিনেত্রীর জন্য রাজ্য নন্দী পুরস্কার পেয়েছিলেন।[৩]
অঞ্জলি পাটিল ১৯৮৭ সালের ২৬শে সেপ্টেম্বর তারিখে ভারতের মহারাষ্ট্রের নাশিকের একটি মারাঠি পরিবার জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং সেখানেই তাঁর শৈশব অতিবাহিত করেছিলেন। পাটিল নাশিকের আরএসসিবি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (পুরুষোত্তম)-এ পড়াশোনা করেছেন এবং ১৪ বছর বয়সে তিনি অভিনয় শিল্পকে তাঁর কর্মজীবন হিসাবে বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন। তাঁকে পুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে পাঠানোর জন্য তিনি তাঁর পিতামাতাকে রাজি করিয়েছিলেন। ২০০৭ সালের জুন মাসে, তিনি তাঁর শ্রেষ্ঠত্বের জন্য স্বর্ণপদক নিয়ে আর্টসে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন। সেই বছরের পরে, পাটিলকে নতুন দিল্লির ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামায় থিয়েটার ডিজাইনে মাস্টার্স করার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল। এটি তাঁকে ভারতীয় এবং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র, নাট্য অভিনেতা এবং পরিচালকদের সাথে ব্যাপকভাবে কাজ করার অনেক সুযোগ এনে দিয়েছিল।[৪][৫]
প্রশান্ত নায়েরের হিন্দি এবং ইংরেজি ভাষার আন্তর্জাতিক স্বাধীন চলচ্চিত্র দিল্লি ইন এ ডে-তে অভিনয় করার মাধ্যমে অঞ্জলি পাটিল চলচ্চিত্র জগতে পদার্পণ করেছিলেন; উক্ত চলচ্চিত্রে তিনি রোহিনীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যেটি সমালোচক দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছিল। এই চলচ্চিত্রটি ২০১১ সালের ১৩ই অক্টোবর তারিখে মুম্বই চলচ্চিত্র উৎসব এশিয়ায় প্রদর্শন করা হয়েছিল এবং ২০১২ সালের আগস্ট মাসে ভারতের নাট্যমঞ্চে মুক্তি পেয়েছিল।[৬]
২০১০-১১ সালে পাটিল মুখ্য অভিনেত্রী এবং একটি আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র গ্রিন ব্যাঙ্গলস এর প্রযোজক হিসাবে কাজ করেছিলেন। এটি ডব্লিউআইএফটিআই-এ (উইমেন ইন ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইন্টারন্যাশনাল, লস অ্যাঞ্জেলস) ভারতের আনুষ্ঠানিক প্রবেশ হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিল এবং ডব্লিউআইএফটিআই আন্তর্জাতিক শোকেস ২০১২-এ ১৫টি দেশের ৪৪টি শহরে প্রদর্শিত হয়েছিল।[৭]
অতঃপর তিনি প্রকাশ ঝার সর্বশেষ চলচ্চিত্র চক্রব্যূহ-তে অভিনয় করেছিলেন, যেটি তাঁকে সকলের নজরে আসতে ব্যাপকভাবে সহায়তা করেছিল।[৮][৯] তিনি এই চলচ্চিত্রে ওম পুরি, মনোজ বাজপেয়ী, অভয় দেওল এবং অর্জুন রামপালের মতো দক্ষ অভিনয়শিল্পীদের সাথে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন। নকশাল নেতা জুহির চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ানোর পর পাটিল চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রকাশ ঝায়ের সাথে তিনটি চলচ্চিত্রে কাজ করার একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন।[৪][১০]
তাঁকে নিম্মো চলচ্চিত্রের শীর্ষচরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে, এটি আনন্দ এল রাইয়ের প্রযোজনায় রাহুল শঙ্কলিয়ার প্রথম পরিচালনা।