জাতীয়তাবাদ |
---|
ধারাবাহিকের একটি অংশ |
অতি-জাতীয়তাবাদ বা চরম জাতীয়তাবাদ বা অন্ধ জাতীয়তাবাদ হলো জাতীয়তাবাদের একটি চরমপন্থী রূপ, যেখানে একটি দেশ তার সুনির্দিষ্ট স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে অন্যান্য জাতির উপর আধিপত্য, নিয়ন্ত্রণ বা ক্ষতিকর প্রভাব প্রয়োগ করে থাকে, যা সাধারণত সহিংস বলপ্রয়োগের মাধ্যমে করা হয়।[১][২] এমনকি শান্তিকালেও রাজনৈতিক সহিংসতার সাথে অতি-জাতীয়তাবাদ জড়িত থাকে।[৩] এই চরম জাতীয়তাবাদী মনোভাবের ফলে কম্বোডিয়ার গণহত্যা সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংঘাতের পটভূমিতে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে।[৪]
আদর্শগত দিক থেকে, ব্রিটিশ রাজনৈতিক তাত্ত্বিক রজার গ্রিফিনের মতো পণ্ডিতরা মনে করেন, আধুনিক জাতি-রাষ্ট্রগুলিকে জীবন্ত প্রাণী হিসেবে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই অতি-জাতীয়তাবাদের উদ্ভব হয়েছে। এই দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী, জাতি-রাষ্ট্রগুলো মানবদেহের মতোই ক্ষয়, বৃদ্ধি ও মৃত্যু প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় এবং এমনকি অনুভূতি প্রকাশ করতে সক্ষম। রাজনৈতিক প্রচারকরা বিশ্বকে বিভিন্ন সমাজে বিভক্ত করে, যেগুলোকে অধঃপতিত এবং নিকৃষ্ট মনে করা হয়, অন্যদিকে কিছু সমাজকে মহান সাংস্কৃতিক গন্তব্য হিসেবে দেখা হয়। অতি-জাতীয়তাবাদ ফ্যাসিবাদের একটি দিক হয়েছে। ফ্যাসিবাদী ইতালি এবং নাৎসি জার্মানি তাদের জাতীয় পুনর্নবীকরণ পরিকল্পনার মাধ্যমে অতি-জাতীয়তাবাদী নীতিমালা বাস্তবায়ন করেছিল।[৫]
অতি-জাতীয়তাবাদী চরিত্রগুলি কাল্পনিক মিডিয়ার বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি জনপ্রিয় সংস্কৃতিতেও খলনায়ক হিসেবে দেখা গেছে। উদাহরণস্বরূপ, এয়ার ফোর্স ওয়ান এবং ইনসিটমেন্ট শিরোনামের অ্যাকশন চলচ্চিত্রগুলোতে এ ধরনের চরিত্র তুলে ধরা হয়েছে।[৬][৭]