এই নিবন্ধটি অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। |
অতিপারমাণবিক কণিকা বা অতিপারমাণবিক কণা (ইংরেজি: subatomic particle), কণা পদার্থবিজ্ঞানের ভাষায়, পরমাণুর চেয়েও ক্ষুদ্রতর কণিকাকে বলা হয়।[১] কণা পদার্থবিজ্ঞানের প্রমিত মডেল অনুসারে, কোনো অতিপারমাণবিক কণিকা মৌলিক কণিকা হতে পারে আবার কোনো কণা যৌগিক কণিকাও হতে পারে। কম্পোজিট কণা একাধিক কোয়ার্ক দিয়ে গঠিত। যেমন: ইলেকট্রন, ফোটন এবং মিউওন হলো একক মৌলিক কণিকা যাদেরকে অতিপারমাণবিক কণিকারূপে গণ্য করা হয়। পক্ষান্তরে প্রোটন, নিউট্রন এবং মেসন হলো একাধিক কোয়ার্কের সমন্বয়ে গঠিত অতিপারমাণবিক কণিকা যেখানে এই কোয়ার্ক এক প্রকার মৌলিক কণিকা।[২] অর্থাৎ অতিপারমাণবিক কণিকা হলো এমন ধরনের মৌলিক বা যৌগিক কণিকা যা পরমাণুর চেয়ে ক্ষুদ্র। কণা পদার্থবিজ্ঞান এবং নিউক্লীয় পদার্থবিজ্ঞানে এসব কণিকা নিয়ে এবং এরা কীভাবে পরস্পরের ওপর ক্রিয়া করে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।[৩]
গবেষণায় দেখা যায় যে, আলো একইসাথে তরঙ্গের ধর্ম এবং পাশাপাশি কণার ধর্ম (ফোটন কণা) প্রদর্শন করে। যা থেকে পরবর্তীতে তরঙ্গ-কণা দ্বৈততার ধারণা পাওয়া যায়। তরঙ্গ-কণা দ্বৈততায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, কোয়ান্টাম-স্কেলের কণাগুলো একইসাথে কণা এবং তরঙ্গ উভয়ের মতনই আচরণ করে। এজন্য এদের কখনো কখনো ওয়েভিকেল (wavicles) বলা হয়।[৪]
অন্যদিকে, বিজ্ঞানী হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা নীতির (ইংরেজি: uncertainty principle) অনুসারে, যেহেতু ওয়েভিকেলের কণা ও তরঙ্গ উভয় ধর্মই রয়েছে তাই এর অবস্থান এবং কৌণিক ভরবেগের মান একইসাথে নির্ভুলভাবে নির্ণয় করা সম্ভব না।[৫] তরঙ্গ-কণা দ্বৈততা শুধু ফোটন কণার জন্যই না, বরং অন্যান্য ভারী কণার ক্ষেত্রেও সত্য প্রমাণিত হয়েছে।[৬]