ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | অতুল সতীশ বাসন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ২৩ মার্চ, ১৯৬৭ দিল্লি, ভারত | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, ধারাভাষ্যকার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১৯০) | ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৩ আগস্ট ১৯৯০ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৭৬) | ১ মার্চ ১৯৯০ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৪ জানুয়ারি ১৯৯১ বনাম শ্রীলঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ |
অতুল সতীশ বাসন (হিন্দি: अतुल वासन; জন্ম: ২৩ মার্চ, ১৯৬৭) দিল্লি এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ধারাভাষ্যকার ও সাবেক ভারতীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ভারতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের শুরুরদিকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ভারতের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১][২][৩]
;ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ভারতীয় ক্রিকেটে দিল্লি দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন অতুল বাসন।
দিল্লির বসন্ত বিহারের গুরু হরকৃষাণ পাবলিক স্কুলের সাবেক ছাত্র তিনি। এ বিদ্যালয় থেকে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের উৎপত্তি ঘটেছে। ১৯৮৬-৮৭ মৌসুম থেকে ১৯৯৭-৯৮ মৌসুম পর্যন্ত অতুল বাসনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। শক্ত মজবুত গড়নের অধিকারী অতুল বাসন বেশ পরিশ্রমী মিডিয়াম পেসার হিসেবে ক্রিকেট খেলায় অংশ নিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সুবিধে করতে না পারলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে বেশ সফল ছিলেন। রঞ্জী ট্রফি প্রতিযোগিতায় ২৩.৭৮ গড়ে ২১৩ উইকেট পান। ব্যাট হাতে তেমন সফলতা না পেলেও ১৯৯১-৯২ মৌসুমে বাংলা দলের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে শতরানের ইনিংস খেলেছিলেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্ট ও নয়টিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন অতুল বাসন। ২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯০ তারিখে ক্রাইস্টচার্চে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৩ আগস্ট, ১৯৯০ তারিখে ওভালে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
১৯৯০ সালে দুইবার ভারতের সদস্যরূপে বিদেশ গমন করেন। তবে, নিউজিল্যান্ড সফরে তিন টেস্ট সিরিজে অংশ নিয়ে মোটে সাত উইকেট পেয়েছিলেন। এছাড়াও, অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ইয়ান স্মিথের আক্রমণের মুখোমুখি হন। এক ওভারে ২৪ রান দিয়েছিলেন। তবে, এ টেস্টেই ব্যক্তিগত সেরা বোলিং পরিসংখ্যান ৪/১০৮ লাভ করেন। তাসত্ত্বেও নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডে টেস্টসহ পুরো সফরে বোলিং গড়ে কপিল দেব ও মনোজ প্রভাকরের তুলনায় তার বোলিং সেরা ছিল।
ইংল্যান্ড সফরে ভারতীয় বোলারেরা গ্রাহাম গুচ ও তার সঙ্গীদের কাছে বেশ নাস্তানুবাদের শিকার হয়। গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে ৬/৮৯ পান ও ওভালের তৃতীয় টেস্টে প্রথম একাদশে তাকে রাখা হয়। জাতীয় দলের সদস্যরূপে ১৯৯০-৯১ মৌসুমের এশিয়া কাপে সর্বশেষ খেলেন। ইডেন গার্ডেন্সে অনুষ্ঠিত চূড়ান্ত খেলায় শ্রীলঙ্কা দলকে পরাজিত করে তার দল শিরোপা জয় করে। অংশগ্রহণকৃত সবগুলো টেস্টই বিদেশে খেলেন। মাত্র ২২ বছর বয়সেই তার টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনের সমাপ্তি ঘটে।
আঘাতের কারণে খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নিতে হয়। ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন তিনি। টেলিভিশনে ক্রিকেট সম্পর্কীয় অনুষ্ঠান পরিচালনাসহ টেন স্পোর্টস, ডিডি ন্যাশনালে বিশ্লেষকের দায়িত্ব পালন করেন।