অতো রেনে কাস্তিলো | |
---|---|
জন্ম | ১৯৩৪ কোয়েতজালতেনাংগো, গুয়াতেমালা |
মৃত্যু | ২৩ মার্চ ১৯৬৭ জাকাপা, গুয়াতেমালা |
পেশা | কবি, বিপ্লবী |
ভাষা | স্পেনীয় ভাষা |
জাতীয়তা | গুয়াতেমালান |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | পোয়েমা তেকুন উমান ভ্যমনস প্যাট্রিয়া আ ক্যামিনার |
উল্লেখযোগ্য পুরস্কার | Premio Centroamericano de poesía (1955) |
অতো রেনে কাস্তিলো (ইংরেজি: Otto Rene Kastillo) (২৫ এপ্রিল ১৯৩৪ – ২৩ মার্চ ১৯৬৭) একজন গুয়াতেমালান কবি ও বিপ্লবী। তিনি গুয়াতেমালার ফ্যাসিবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে শহীদ হয়েছিলেন।
কবি অতো রেনে কাস্তিলো গুয়াতেমালার কোয়েতজালতেনাংগোতে ১৯৩৪ সালে এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। হাইস্কুলে পড়াকালীন প্রগতিশীল রাজনীতিতে আকৃষ্ট হন। জানা যায় অতো গুয়াতেমালায় থাকাকালীন বিবাহ করেননি কিন্তু পূর্ব জার্মানি তে থাকার সময় তার দুটি পুত্র সন্তান হয়।
আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির সাহায্যে ঘটা প্রাসাদ বিপ্লবে গুয়াতেমালায় জ্যাকোবো আরবেঞ্জ পরিচালিত গনতান্ত্রিক সরকার উৎখাত হলে তিনি এল সালভাদোর চলে যান ১৯৫৪ সালে। ১৯৬৬ সালে তিনি স্বদেশে ফেরেন এবং ফ্যাসিবাদ বিরোধী বিপ্লবী গেরিলা বাহিনী 'রিবেল আর্মড ফোর্স' এ যোগ দেন। এই বাহিনী শিক্ষা ও পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান ছিলেন তিনি। সিয়েরা দে লাস মিনাস অঞ্চলে ও জাকাপা পার্বত্য এলাকায় কিছু সফল গেরিলা যুদ্ধে নেতৃত্ব দেন তিনি।[১][২]
গুয়াতেমালান সেনাবাহিনীর হাতে তিনি ও তার সাথী নোরা পেইজ কারকামো ধরা পড়েন। ধরা পড়ার পর তাদের জাকাপা বন্দীশালায় রাখা হয়। কয়েকদিন অত্যাচারের পর তাকে জাকাপাতে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়।[১]
এল সালভাদোরে কবি রক ডালটনের সাথে তার আলাপ হয় এবং সাহিত্য ও কবিতা চক্র গড়ে ওঠে। সেদেশের তরুন উঠতি কবি সাহিত্যিকদের কাছের মানুষ হয়ে ওঠেন অতো রেনে কাস্তিলো। এরপর তিনি বিভিন্ন দেশে ঘুরেছেন। পূর্ব জার্মানির লাইপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন। সেখান থেকে মাস্টার ডিগ্রী অর্জন করেন।[৩] কাস্তিলোর জীবদ্দশাতে, ১৯৬০ সালে তার লেখার দুটি সংকলন প্রকাশিত হয়। সে দুটি হল 'পোয়েমা তেকুন উমান' ও 'ভ্যমনস প্যাট্রিয়া আ ক্যামিনার'। তার লেখা কবিতা পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।[৪]