ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | অনন্ত তামাং | ||
জন্ম | ১৪ জানুয়ারি ১৯৯৮ | ||
জন্ম স্থান | ঝাপা, নেপাল[১] | ||
উচ্চতা | ১.৮৩ মিটার (৬ ফুট ০ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | রক্ষণভাগের খেলোয়াড় | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | থ্রি স্টার | ||
জার্সি নম্বর | ৪ | ||
যুব পর্যায় | |||
২০১২–২০১৫ | অখিল নেপাল ফুটবল সংঘ | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০১৫ | ফার ওয়েস্টার্ন | ||
২০১৫–২০১৮ | মারবেয়া | ||
২০১৮– | থ্রি স্টার | ||
জাতীয় দল‡ | |||
২০১৩–২০১৪ | নেপাল অনূর্ধ্ব-১৭ | ৬ | (১) |
২০১৫ | নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ | ৪ | (০) |
২০১৫ | নেপাল অনূর্ধ্ব-২৩ | ৯ | (১) |
২০১৪– | নেপাল | ৪৩ | (২) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ১৬:১২, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ১১:৪৭, ২৩ অক্টোবর ২০২১ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
অনন্ত তামাং (নেপালি: अनन्त तामाङ, ইংরেজি: Ananta Tamang; জন্ম: ১৪ জানুয়ারি ১৯৯৮) হলেন একজন নেপালি পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে নেপালি ক্লাব থ্রি স্টার এবং নেপাল জাতীয় দলের হয়ে রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি মূলত কেন্দ্রীয় রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন।
২০১২–১৩ মৌসুমে, নেপালি ফুটবল ক্লাব অখিল নেপাল ফুটবল সংঘের যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে অনন্ত ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছেন এবং এই দলের হয়ে খেলার মাধ্যমেই তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছেন। ২০১৫ সালে, নেপালি ক্লাব ফার ওয়েস্টার্নের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছেন; ফার ওয়েস্টার্নের হয়ে মাত্র এক মৌসুম অতিবাহিত করার পর ২০১৫–১৬ মৌসুমে তিনি স্পেনীয় ক্লাব মারবেয়ায় যোগদান করেছেন। মারবেয়ায় তিন মৌসুম অতিবাহিত করার পর নেপালি ক্লাব থ্রি স্টারের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।
২০১৩ সালে, অনন্ত নেপাল অনূর্ধ্ব-১৭ দলের হয়ে নেপালের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। নেপালের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলার পর, তিনি ২০১৪ সালে নেপালের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন; নেপালের জার্সি গায়ে তিনি এপর্যন্ত ৪৩ ম্যাচে ২টি গোল করেছেন।
অনন্ত তামাং ১৯৯৮ সালের ১৪ই জানুয়ারি তারিখে নেপালের ঝাপায় জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন।
অনন্ত নেপাল অনূর্ধ্ব-১৭, নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ এবং নেপাল অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে নেপালের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। অনন্ত ২০১৪ এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে নেপাল অনূর্ধ্ব-১৭ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। উক্ত প্রতিযোগিতায় উজবেকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৭ দলের বিরুদ্ধে নেপালের প্রথম ম্যাচে নিয়মিত অধিনায়ক বিমল ঘরতি মাগারের অনুপস্থিতিতে অনন্ত নেপাল দলের অধিনায়কত্ব করেছিলেন। ম্যাচটি ১–১ গোলে ড্র হয়েছিল।[২][৩] এছাড়াও উত্তর কোরিয়া অনূর্ধ্ব-১৭ দলের বিরুদ্ধে নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপাল ৪–১ ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল; যেখানে তিনি নেপালের একমাত্র গোলটি করেছিলেন।[৪] ২০১৫ সালে ২০১৫ সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপে স্বাগতিক নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, যেখানে অনন্ত নেপালের হয়ে প্রতিটি মিনিট খেলেছিলেন।[৫] এছাড়াও ২০১৬ এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইপর্বেও নেপাল অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ৩টি ম্যাচের অংশগ্রহণ করেছিলেন।[৬] অনন্ত ২০১৬ সালে ইরানে অনুষ্ঠিত ২০১৬ এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইপর্বে নেপাল অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন, তবে এই প্রতিযোগিতায় নেপাল দল ৪ ম্যাচের সবগুলোতেই পরাজিত হওয়ার পাশাপাশি পুরো প্রতিযোগিতায় নেপাল একটি গোল করতেও সক্ষম হয়নি। নেপালের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে তিনি ১৯ ম্যাচে অংশগ্রহণ করে ২টি গোল করেছেন।
২০১৫ সালের ৩১শে আগস্ট তারিখে, ১৭ বছর, ৭ মাস ও ১৭ দিন বয়সে, ডান পায়ে ফুটবল খেলায় পারদর্শী অনন্ত ভারতের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে নেপালের হয়ে অভিষেক করেছেন। তিনি উক্ত ম্যাচের মূল একাদশে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন; ম্যাচটি নেপাল ০–০ গোলে ড্র করেছিল। নেপালের হয়ে অভিষেকের বছরে অনন্ত সর্বমোট ১ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের ১ বছর, ২ মাস ও ১২ দিন পর, নেপালের জার্সি গায়ে প্রথম গোলটি করেছেন; ২০১৬ সালের ১২ই নভেম্বর তারিখে, লাওসের বিরুদ্ধে ম্যাচের ১০৪তম মিনিটে হেমন গুরুংয়ের অ্যাসিস্ট হতে নেপালের প্রথম গোলটি করার মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার প্রথম গোলটি করেছেন।
দল | সাল | ম্যাচ | গোল |
---|---|---|---|
নেপাল | ২০১৫ | ১ | ০ |
২০১৬ | ৮ | ১ | |
২০১৭ | ৬ | ০ | |
২০১৮ | ৬ | ১ | |
২০১৯ | ৮ | ০ | |
২০২০ | ২ | ০ | |
২০২১ | ১২ | ০ | |
সর্বমোট | ৪৩ | ২ |