ব্যক্তিগত তথ্য | |||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | অনুরাধা দেবী থকছম | ||||||||||||||||||||||
জন্ম |
মণিপুর, ভারত | ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৯||||||||||||||||||||||
মাঠে অবস্থান | আক্রমণ ভাগের খেলোয়াড় | ||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | |||||||||||||||||||||||
ভারত | |||||||||||||||||||||||
পদক রেকর্ড
| |||||||||||||||||||||||
তথ্যছক সর্বশেষ আপডেট: ৭ই ডিসেম্বর ২০১৫ |
অনুরাধা দেবী থকছম (জন্ম ২রা ফেব্রুয়ারী ১৯৮৯ তুবুল, মনিপুর, ভারত) হলেন ভারতীয় মহিলা জাতীয় ফিল্ড হকি দলের একজন সদস্য। মণিপুরের তুবুলে জন্মগ্রহণ করে ও বড় হয়ে উঠে, তিনি অল্প বয়সে হকি খেলা শুরু করেন। ২০০৬ মহিলা হকি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাঁর আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়। থকছম ভারতীয় দলের একজন ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলেন এবং তিনি ৮০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলেছেন।
থকছম ২০১৬ রিও অলিম্পিকেও অংশগ্রহণ করেছিলেন, ভারতীয় মহিলা দল সেই প্রতিযোগিতায় ৩৬ বছর পরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। ২০১৪-১৫ মহিলা এফআইএইচ হকি ওয়ার্ল্ড লিগে, ভারতীয় দলের জয়ে তাঁর ভূমিকার জন্য তিনি ভাষ্যকারদের দ্বারা প্রশংসিত হয়েছিলেন। ভারতীয় দল এখানে পঞ্চম স্থান পেয়ে অলিম্পিকের জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছিল।
১৯৮৮ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি থকছম মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলার তুবুল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তাঁর বাবা ও মায়ের নাম যথাক্রমে থকছম চুরামণি এবং থকছম ওংবি কমলিনী। অনুরাধার বাবা একজন রিকশাচালক ছিলেন। তাঁর তিন ভাইবোন আছে; তাঁর বড় ভাই একজন ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন।[১][২] তাঁর পরিবার চাষাবাদ ও মৎস্য চাষে নিয়োজিত ছিল। যদিও তিনি নিজে ফুটবল খেলতে আগ্রহী ছিলেন, কিন্তু তিনি তাঁর বড় ভাইবোনদের নির্দেশনায় হকিতে প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন। তিনি উত্তরণ সম্পর্কে বলেছিলেন: "আমার গ্রামে ফুটবলারদের অভাবের কারণে হকি হঠাৎ করে এসেছিল।" থকছম তুবুল ইয়ুথ ক্লাবে হকি খেলা শুরু করেন এবং পরে ইম্ফল-ভিত্তিক পোস্টেরিয়র হকার একাডেমি মণিপুরে ভর্তি হন। তিনি বর্তমানে ভারতীয় রেলওয়ের কেরানি বিভাগে কর্মরত।[১][৩]
থকছম কিছুদিনের জন্য গুজরাটের স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (সাই) ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন, কিন্তু পোস্টেরিয়র হকি একাডেমিতে যোগ দেবার জন্য সাই ছেড়ে দেন। এরপর তিনি জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে মণিপুরের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং জাতীয় নির্বাচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ২০০৬ মহিলা হকি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তিনি ভারতীয় মহিলা জাতীয় ফিল্ড হকি দলের হয়ে আত্মপ্রকাশ করেন।[৪] ২৬ বছর বয়সে, থকছম জাতীয় দলের হয়ে আটটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে খেলেছিলেন।[৫] এরপর তাঁকে জাতীয় দলে নিয়মিত স্থানের জন্য সম্ভাব্য প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। থকছম নতুন কোচ ম্যাথিয়াস আহরেন্সের অধীনে খেলোয়াড়দের মানসিক অবস্থা সম্পর্কে বলেছেন যে দলটি এখন ২০১৪-১৫ মহিলা এফআইএইচ হকি ওয়ার্ল্ড লিগের ঠিক সামনে আরও আত্মবিশ্বাসী। তিনি বলেছিলেন, "নতুন কোচের অধীনে এটি শেখার সময় ছিল। আমরা আরও আত্মবিশ্বাসী বোধ করছি কারণ আমরা বুঝতে পারি যে আমরা প্রতিপক্ষের প্রতিরক্ষা শৃঙ্খল ভেঙে ফেলছি।[৬]
ভারতীয় দল লীগ সেমিফাইনালে পঞ্চম স্থান লাভ করে এবং ৩৬ বছর পর অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।[৭] থকছম লিগের একটি নির্ধারক ম্যাচে জাপানি দলের বিপক্ষে দলের ড্রতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি জাপানি রক্ষণের পাশ দিয়ে বল নিয়ে যান এবং ম্যাচের প্রথম পেনাল্টি কর্নার অর্জন করেন (যা রূপান্তরের পরে ভারতকে এগিয়ে দেয়)।[৮] ২০১৬ আলের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের জন্য যোগ্যতা অর্জনের পর, তিনি রিও অলিম্পিকে জাতির প্রতিনিধিত্ব করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। ২০১৬ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জনের বিষয়ে অনুরাধা বলেছেন:
“ | মণিপুরে হকির ঐতিহ্য নেই। আমার কাছে অনুসরণ করার মতো কোনো আদর্শ ছিল না।[৯] | ” |
থকছম, সুশীলা চানু, এবং লিলি চানু মায়েংবামকে বিশ্ব লীগ সেমির পরে ভারতীয় মহিলা হকি দলে অবদানের জন্য প্রশংসিত করা হয়েছিল।[১০] ইম্ফলে ফিরে আসার পরও এই তিন মহিলাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।[১১]
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ২০১৬-১৭ মহিলা এফআইএইচ হকি ওয়ার্ল্ড লিগ সেমিফাইনালে থকছম অংশগ্রহণ করেননি। স্ক্রল.ইন- এর জসপ্রীত সাহনির মতো ধারাভাষ্যকারদের মতে তাঁর অনুপস্থিতি দলের দুর্বল প্রদর্শনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল। সাহনি উল্লেখ করেছেন যে থকছমকে ছাড়াই খেলতে নেমে, ভারতীয় আক্রমণে দলটির "শুধু দাঁতের অভাব ছিল তাই নয়, ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সুবিধাজনক অবস্থানের দখলও তারা হারাতে থাকে"।[১২]
টেমপ্লেট:ভারত এফএইচডব্লিউ স্কোয়াড ২০১৩ এশিয়া কাপটেমপ্লেট:ভারত এফএইচডব্লিউ স্কোয়াড ২০১৬ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক