অন্ধাধুন | |
---|---|
পরিচালক | শ্রীরাম রাঘবন |
প্রযোজক |
|
রচয়িতা |
|
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | সুর: ড্যানিয়েল বি. জর্জ গান: অমিত ত্রিবেদী অতিথি সুরকার: রাফতার গিরীশ নাকোড় |
চিত্রগ্রাহক | কে. ইউ. মোহনন |
সম্পাদক | পূজা লধা সুরতি |
প্রযোজনা কোম্পানি |
|
পরিবেশক | ভায়াকম এইটিন মোশন পিকচার্স |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৩৮ মিনিট[১] |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
নির্মাণব্যয় | ₹৩২ কোটি[২] |
আয় | ₹৪৫৬.৮৯ কোটি[৩] |
অন্ধাধুন (হিন্দি: अंधाधुन, অনুবাদ 'অন্ধ সুর') হল শ্রীরাম রাঘবন পরিচালিত ২০১৮ সালের ভারতীয় হিন্দি ভাষার তিক্ত হাস্যরসাত্মক অপরাধ থ্রিলার চলচ্চিত্র। এটি প্রযোজনা করে ভায়াকম এইটিন মোশন পিকচার্স ও ম্যাচবক্স পিকচার্স ও পরিবেশনা করেছে ভায়াকম ও ইরোস ইন্টারন্যাশনাল। এতে শ্রেষ্ঠাংশে অভিনয় করেছেন তাবু, আয়ুষ্মান খুরানা ও রাধিকা আপ্টে। এতে অন্ধের অভিনয় করা এক পিয়ানোবাদকের একজন প্রাক্তন অভিনেতার হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে পড়ার গল্প বর্ণিত হয়েছে।[৪]
চলচ্চিত্রটির গল্প লিখেন যৌথভাবে শ্রীরাম রাঘবন, অরিজিৎ বিশ্বাস, পূজা লধা সুরতি, যোগেশ চান্দেকর, ও হেমন্ত এম. রাও। সুরতি চলচ্চিত্রটি সম্পাদনাও করেন। অমিত ত্রিবেদী গানের সুর করেন এবং জয়দীপ সাহনি গানের কথা লিখেন। রাফতার ও গিরীশ নাকোড় অতিথি সুরকার হিসেবে যৌথভাবে শিরোনাম গানটির গীত লিখেন ও সুর করেন। চলচ্চিত্রটির চিত্রগ্রহণ করেন কে. ইউ. মোহনন। ২০১৭ সালের জুন মাসে মূল চিত্রগ্রহণ শুরু হয় এবং ২০১৮ সালের ১৭ই জুলাই চিত্রগ্রহণ সমাপ্ত হয়। এক বছরের বেশি সময় ব্যাপী এই চিত্রগ্রহণ হয় পুনেতে।
অন্ধাধুন ২০১৮ সালের ৫ই অক্টোবর ভায়াকমএইটিন মোশন পিকচার্সের ব্যানারে ভারতের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এবং সমাদৃত হয়। সমালোচকগণ এর লেখনী, খুরানা ও তাবুর অভিনয়ের প্রশংসা করেন। চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ পরিচালনাসহ চারটি স্ক্রিন পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (সমালোচক) ও শ্রেষ্ঠ অভিনেতা (সমালোচক)-সহ পাঁচটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করে। এছাড়া ৬৬তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে চলচ্চিত্রটি তিনটি পুরস্কার লাভ করে, সেগুলো হল শ্রেষ্ঠ হিন্দি চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য। ৩২ কোটি রুপী নির্মাণব্যয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রটি বিশ্বব্যাপী ৪৫৬.৮৯ কোটি রুপী আয় করে, যা ২০১৮ সালের চতুর্থ সর্বোচ্চ আয়কারী ভারতীয় চলচ্চিত্র। এটি তেলুগু ভাষায় মায়েস্ত্রো (২০২১), মালয়ালম ভাষায় ভ্রমম (২০২১) ও তামিল ভাষায় অন্ধাগান (২০২৪) শিরোনামে পুনর্নির্মিত হয়।
পুনের পিয়ানোবাদক আকাশ সরফ তার পিয়ানো বাজানোর দক্ষতা বৃদ্ধি করতে অন্ধের অভিনয়ে করে পিয়ানো বাজিয়ে নিরীক্ষা চালান। রাস্তায় চলার পথে সোফি নামে এক তরুণীর সাথে তার ধাক্কা লাগে। সোফি তাকে সময় দেয় এবং তার সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। সোফি আকাশের দক্ষতায় অভিভূত হয় এবং তার বাবার ডিনারে আমন্ত্রণ জানায়। আকাশ তার নিরীক্ষার অংশ হিসেবে পিয়ানো বাজানোর সময় অস্বচ্ছ লেন্স পড়ত, কিন্তু সোফির সাথে সাক্ষাতের পর সে তাকে দেখতে চায়। সে অস্বচ্ছ লেন্স পড়া ছেড়ে দিয়ে শুধু অন্ধের অভিনয় করতে থাকে। ডিনার পার্টিতে অবসরে যাওয়া অভিনেতা প্রমোদ সিনহা আকাশের প্রতিভায় মুগ্ধ হয় এবং তার বিবাহবার্ষিকীতে পিয়ানো বাজানোর জন্য আমন্ত্রণ জানায়।
আকাশ প্রমোদের ফ্ল্যাটে আসলে প্রমোদের স্ত্রী সিমি দরজা খোলে। সিমি আকাশকে পিয়ানো বাজাতে ফ্ল্যাটে ডেকে নেয়। আকাশ পিয়ানো বাজাতে গিয়ে প্রমোদের মরদেহ দেখতে পায় কিন্তু কিছু দেখতে পায়নি ও অন্ধের অভিনয় করে পিয়ানো বাজাতে থাকে। সে বাথরুমে লুকায়িত সিমির প্রেমিক মনোহরকে দেখতে পায়। আকাশের পিয়ানো বাজানো অবস্থায় সিমি ও মনোহর অপরাধ ঘটার স্থান পরিষ্কার করে এবং প্রমোদের মরদেহ সুটকেসে ভরে ফেলে। আকাশ থানায় এই খুনের রিপোর্ট করতে যায়, কিন্তু যখন জানতে পারে মনোহর সেই থানার পুলিশ ইনস্পেক্টর তখন সে তার বিড়াল হারিয়ে যাওয়ার রিপোর্ট করে ফিরে আসে।
অন্যদিকে, সিমি তার বয়স্ক প্রতিবেশী মিসেস ডি'সাকে পুলিশের সাথে কথা বলতে শুনে যে তিনি প্রমোদের খুনের দিন তাদের ফ্ল্যাটে একজন অপরিচিত ব্যক্তিকে প্রবেশ করতে দেখেছিল। সিমি পরের দিন মিসেস ডি'সাকে তাদের অ্যাপার্টমেন্টের কিনারা থেকে ধাক্কা দিয়ে মেরে ফেলে। আকাশ প্রমোদের কন্যাকে পিয়ানোর তালিম দিতে এসে এই খুন দেখে ফেলে, কিন্তু অন্ধের অভিনয় চালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। পরে সিমি আকাশের বাড়িতে যায় এবং তার দিকে বন্দুক তাক করে তার অন্ধের অভিনয়ের বিষয়টি প্রকাশ করতে বাধ্য করে। আকাশ বলে সে লন্ডন চলে যাবে এবং খুনের ব্যাপারটি গোপন রাখবে, কিন্তু সিমি তাকে ড্রাগ প্রয়োগ করে।
আকাশের প্রতিবেশী এক কিশোর তার অন্ধত্বের বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে এবং একটি ভিডিও করে যেখানে দেখা যায় আকাশ সব কিছু দেখতে পারে। সে সোফিকে ভিডিওটি দেখায়। সোফি আকাশের বাড়িতে আসলে সিমি এমন পরিবেশ তৈরি করে যেন মনে হয় সে আর আকাশ একত্রে ছিল। ক্ষুব্ধ ও ভঙ্গ হৃদয় নিয়ে সোফি আকাশের বাড়ি ত্যাগ করে। আকাশ যখন ঘুম থেকে জাগে, তখন সে বুঝতে পারে সিমির দেওয়া ড্রাগে সে অন্ধ হয়ে গেছে। মনোহর আকাশের বাড়িতে তাকে খুন করতে আসে। আকাশ পালিয়ে যায়, কিন্তু একটি টেলিফোনের খাম্বায় ধাক্কা খেয়ে জ্ঞান হারায়।
আকাশ জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর নিজেকে একটি অবৈধ অঙ্গ সংগ্রহকারী ক্লিনিকে আবিষ্কার করে। ডাক্তার কৃষ্ণ স্বামী ও তার সহকারী মুরলি ও সাখুকে আকাশ জানায় তার কাছে এমন তথ্য আছে যা দিয়ে তারা মিলিয়নিয়ার হতে পারবে। তারা সিমিকে অপহরণ করে আত্মহত্যার দৃশ্য তৈরি করে এবং মনোহরকে টাকা দেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। মুরলি ও সাখু আকাশ ও সিমিকে বেঁধে রাখে এবং তারা নিজেরাই টাকা নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। মনোহর মুরলিকে গুলি করে কিন্তু লিফটে আটকা পরে এবং দুর্ঘটনাবশত গুলিতে নিজেই মারা যায়। পরবর্তীতে দেখা যায় তার সাথে আনা টাকা জাল ছিল।
সিমি আকাশকে মুক্ত হতে সাহায্য করে এবং আকাশ সিমির চোখের বাঁধন খুলে দেয়। আকাশ যখন তাদের পালাবার পথ খুঁজতে থাকে, সিমি নিজেকে মুক্ত করে ও আকাশকে আক্রমণ করে। এমন সময় ডাক্তার স্বামী সেখানে প্রবেশ করে। স্বামী ও আকাশ সিমিকে আঘাত করে অজ্ঞান করে তাকে বেঁধে গাড়িতে তোলে। স্বামী জানায় সিমির রক্তের গ্রুপ খুবই বিরল এবং তার অঙ্গ মিলিয়ন টাকায় বিক্রি করা যাবে। সে আরও জানায় তার কর্নিয়া দিয়ে আকাশের চোখ ঠিক করা যাবে।
দুই বছর পর ক্রাকুফে সোফি আকাশকে খুঁজে পায়। আকাশ তাকে সমস্ত ঘটনা জানিয়ে বলে সে ও স্বামী গাড়িতে করে সিমিকে নিয়ে যাচ্ছিল, সিমি জ্ঞান ফিরে পেয়ে শব্দ করতে থাকে। স্বামী গাড়ি থামিয়ে তাকে ঘুমের ঔষধ দিতে যায়, কিন্তু সিমি তাকে পরাজিত করে গাড়ির স্টিয়ারিং হাতে নেয়। স্বামী তখনও গাড়ি চালাচ্ছে মনে করে আকাশ তাকে বলে সিমিকে ছেড়ে দিতে। সিমি আকাশকে রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে তাকে গাড়ি চাপা দিতে চায়। নিকটে একজন শিকারী একটি খরগোশকে মারার জন্য গুলি চালালে সেই নিশানা ব্যর্থ হয় এবং খরগোশটি লাফিয়ে গাড়ির সামনে পড়ে। সিমি গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মারা যায়।
আকাশের নিকট থেকে এই ঘটনা শোনার পর সোফি তাকে বলে যে সে ডাক্তার স্বামীর প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারত। আকাশ চুপচাপ চলে যায়। কিছুক্ষণ পর দেখা যায়, সে তার হাতের ছড়ি দিয়ে একটি খালি ক্যানকে পথ থেকে সরিয়ে দিচ্ছে।
আয়োজনের তারিখ | পুরস্কার | বিভাগ | মনোনীত | ফলাফল | সূত্র. |
---|---|---|---|---|---|
১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ | স্ক্রিন পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | অন্ধাধুন | মনোনীত | [৫][৬][৭] |
শ্রেষ্ঠ পরিচালক | শ্রীরাম রাঘবন | বিজয়ী | |||
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা | আয়ুষ্মান খুরানা | মনোনীত | |||
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | তাবু | মনোনীত | |||
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী | রাধিকা আপ্টে | মনোনীত | |||
শ্রেষ্ঠ পুরুষ নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী | অমিত ত্রিবেদী - "ন্যায়না দা ক্যায়া কসুর" | মনোনীত | |||
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য | শ্রীরাম রাঘবন, অরিজিৎ বিশ্বাস, পূজা লধা সুরতি, যোগেশ চান্দেকর, হেমন্ত এম. রাও | বিজয়ী | |||
শ্রেষ্ঠ চিত্রসম্পাদনা | পূজা লধা সুরতি | বিজয়ী | |||
শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পনা | মধু অপ্সরা | বিজয়ী | |||
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | এশিয়াভিশন পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ অভিনেতা (সমালোচক) | আয়ুষ্মান খুরানা (বাধাই হো-এর জন্যও) | বিজয়ী | [৮] |
১৯ মার্চ ২০১৯ | জি সিনে পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ অভিনেতা (দর্শকের পছন্দ) | আয়ুষ্মান খুরানা | মনোনীত | [৯][১০] |
শ্রেষ্ঠ পরিচালক | শ্রীরাম রাঘবন | মনোনীত | |||
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা (সমালোচক) | আয়ুষ্মান খুরানা | মনোনীত | |||
শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী | অশ্বিনী কালসেকর | মনোনীত | |||
রাধিকা আপ্টে | মনোনীত | ||||
খলচরিত্রে অভিনয়শিল্পী | তাবু | বিজয়ী | |||
শ্রেষ্ঠ কাহিনী | শ্রীরাম রাঘবন, যোগেশ চান্দেকর, হেমন্ত এম. রাও, পূজা লধা সুরতি | বিজয়ী | |||
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য | বিজয়ী | ||||
শ্রেষ্ঠ চিত্রসম্পাদনা | পূজা লধা সুরতি | বিজয়ী | |||
শ্রেষ্ঠ আবহ সঙ্গীত | ড্যানিয়েল বি. জর্জ | বিজয়ী | |||
বর্ষসেরা অসাধারণ অভিনয় | আয়ুষ্মান খুরানা | বিজয়ী | |||
২৩ মার্চ ২০১৯ | ফিল্মফেয়ার পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | আন্ধাধুন | মনোনীত | [১১] |
শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (সমালোচক) | শ্রীরাম রাঘবন | বিজয়ী | |||
শ্রেষ্ঠ পরিচালক | মনোনীত | ||||
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা | আয়ুষ্মান খুরানা | মনোনীত | |||
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা (সমালোচক) | বিজয়ী | ||||
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | তাবু | মনোনীত | |||
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী (সমালোচক) | মনোনীত | ||||
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য | শ্রীরাম রাঘবন, অরিজিৎ বিশ্বাস, পূজা লধা সুরতি, যোগেশ চান্দেকর, হেমন্ত এম. রাও | বিজয়ী | |||
শ্রেষ্ঠ চিত্রসম্পাদনা | পূজা লধা সুরতি | বিজয়ী | |||
শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পনা | মধু অপ্সরা | মনোনীত | |||
শ্রেষ্ঠ আবহ সঙ্গীত | ড্যানিয়েল বি. জর্জ | বিজয়ী | |||
২৬ মার্চ ২০১৯ | নিউজএইটিন রিল মুভি পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | অন্ধাধুন | [১২] | |
শ্রেষ্ঠ পরিচালক | শ্রীরাম রাঘবন | ||||
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা | আয়ুষ্মান খুরানা | ||||
শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী | তাবু | ||||
শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য | শ্রীরাম রাঘবন, অরিজিৎ বিশ্বাস, পূজা লধা সুরতি, যোগেশ চান্দেকর, হেমন্ত এম. রাও | ||||
শ্রেষ্ঠ সংলাপ | অরিজিৎ বিশ্বাস | ||||
শ্রেষ্ঠ গান | "ন্যায়না দা ক্যায়া কসুর" - অমিত ত্রিবেদী | ||||
শ্রেষ্ঠ আবহ সঙ্গীত | ড্যানিয়েল বি. জর্জ | ||||
শ্রেষ্ঠ চিত্রসম্পাদনা | পূজা লধা সুরতি | ||||
শ্রেষ্ঠ শব্দ পরিকল্পনা | মধু অপ্সরা | ||||
৩১ মার্চ ২০১৯ | বিজএশিয়া অনলাইন পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র | অন্ধাধুন | [১৩] | |
শ্রেষ্ঠ অভিনেতা | আয়ুষ্মান খুরানা (বাধাই হো-এর জন্যও) |