অন্ধ্র নাট্যম হল নাটুভা মেলা ঐতিহ্যের একটি নৃত্য। নাট্য মেলা ও নাটুভা মেলা ভারতের দুটি প্রাচীন নৃত্য ঐতিহ্য। নাট্য মেলা পুরুষদের দ্বারা সম্পাদিত হয় এবং নাটুভা মেলা মহিলারা পরিবেশন করে।
অন্ধ্র নাট্যম, তেলুগু অঞ্চলের ( তেলেঙ্গানা, রায়ালসীমা এবং অন্ধ্র ) প্রাচীন শাস্ত্রীয় নৃত্যের শৈলী যা গত ২০০০ বছর ধরে প্রচলিত। এটি তেলুগু অঞ্চলের সংস্কৃতিবান এবং নিবেদিতপ্রাণ মহিলা শিল্পীদের দ্বারা বৌদ্ধ বিহার, মন্দির এবং রাজদরবারে পরিবেশিত হত। অন্ধ্র নাট্যম পূর্বে বিভিন্ন নামে পরিচিত ছিল যেমন, আরাধনা, কাচেরি, দরবার, কেলিকা, চিন্না মেলাম, মেজুভানি এবং দাসি আতা ইত্যাদি।
ভরতনাট্যম ও অন্যন্য প্রচলিত নৃত্যের বিপরীতে, অন্ধ্র নাট্যমের জৌলুস এক সময়ে স্থবির হয়ে পড়েছিল। পরে ১৯৭০ সালে এর পুনরুজ্জীবন হয় এবং গত ৫০ বছর ধরে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিশেষ করে তেলুগু-ভাষী অঞ্চলে এর প্রচার করা হয়েছে।
অন্ধ্র নাট্যমে রয়েছে সুন্দর, সূক্ষ্ম দেহের নড়াচড়া সহ সুন্দর অঙ্গভঙ্গি এবং কৈসিকি বৃত্তির প্রভাব। মহিলা শিল্পীদের দ্বারা এই নৃত্য পরিবেশিত হয়।
অন্ধ্র নাট্যম হল আগম, আস্থানা এবং প্রবন্ধ ঐতিহ্যের সংমিশ্রণ। এই নৃত্য এক পাত্র কেলিকা, অর্থাৎ একজন মহিলা শিল্পীর একক পরিবেশনা। আধুনিকতার সাথে সুনিপুণ নৃত্যকলার শৈলীর মিশ্রন ঘটিয়ে এই নৃত্যশৈলী গঠিত হয়েছে। এটি প্রাচীনতম নারী-ভিত্তিক নৃত্য ঐতিহ্যের একটি হিসাবে চিত্রিত করা হয়।
আগম নর্তনমকে মন্দির নৃত্যও বলা হয়। অন্ধ্র নাট্যমের এই রূপটি মন্দিরের দেবতাদের জন্য উৎসর্গীকৃত এবং প্রধানত মন্দিরে পরিবেশিত হয়। বিশেষ করে, ঈশ্বরের উপাসনার ঐতিহ্যবাহী কুম্ভ হরথির অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে এটি প্রদর্শন করা হয়।[১]
অন্ধ্র নাট্যমের এই বিশেষ রূপটি রাজদরবারে রাজ নর্তকীদের দ্বারা সঞ্চালিত ও প্রদর্শিত হয়।[১]
অন্ধ্র নাট্যমের এই শৈলী জনসমক্ষে প্রদর্শিত হয়। এই নৃত্যের মাধ্যমে কোন কাহিনীকে অভিনয় ও অংগ সঞ্চালনার মাধ্যমে বর্ননা করা হয়।[১]