অন্ধ্রপ্রদেশ উচ্চ আদালত | |
---|---|
প্রতিষ্ঠাকাল | ১ লা জানুয়ারি ২০১৯[১] |
অধিক্ষেত্র | ভারত |
অবস্থান | অমরাবতী, অন্ধ্রপ্রদেশ, ভারত |
প্রণয়ন পদ্ধতি | রাষ্ট্রপতি সঙ্গে ভারতের প্রধান বিচারপতি এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যের রাজ্যপাল দ্বারা নিশ্চিতকরণ |
অনুমোদনকর্তা | ভারতের সংবিধান |
রায় পুনর্বিচারের আবেদন স্থান | ভারতের সুপ্রিম কোর্ট |
বিচারকের মেয়াদ | বাধ্যতামূলক অবসর বয়স ৬২ বছর দ্বারা |
পদের সংখ্যা | ৩৭ (স্থায়ী ২৮; অতিরিক্ত ৯) |
তথ্যক্ষেত্র | hc |
প্রধান বিচারপতি | |
সম্প্রতি | চাগাড়ী প্রবীণ কুমার(ভারপ্রাপ্ত) |
হইতে | ১ লা জানুয়ারি ২০১৯ |
অন্ধ্রপ্রদেশ উচ্চ আদালত হল অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যর উচ্চ আদালত। উচ্চ আদালতের আসন অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী অমরবতীতে অবস্থিত। [২] বর্তমানে উচ্চ আদালতের জন্য ব্যবহৃত আদালত কমপ্লেক্সটি "জুডিসিয়াল কমপ্লেক্স" হিসাবে নামকরণ করা হয়েছে এবং স্থায়ী উচ্চ আদালত ভবন উদ্বোধনের পরে "সিটি সিভিল কোর্ট"-এর জন্য এটি ব্যবহার করা হবে। [৩]
এটি ১৯৫৪ সালে অন্ধ্ররাজ্য মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি থেকে গঠিত হওয়ায় সময় এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। অন্ধ্র রাজ্য সাথে হায়দ্রাবাদ রাজ্যের সঙ্গে মিলিত হয়ে অন্ধ্রাপ্রদেশ গঠনের পর ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত কোর্টটি প্রথমে গুন্টুর শহরে থেকে পরিচালিত হত। তারপরে উচ্চ আদালতটি রাজ্যের রাজধানী হায়দ্রাবাদ থেকে কাজ শুরু করে। তবে, অন্ধ্রপ্রদেশ পুনর্গঠন আইন ২০১৪ অনুসারে অন্ধ্রপ্রদেশকে তেলঙ্গানা ও অন্ধ্র প্রদেশে বিভাজন করার পর, অন্ধ্র প্রদেশের নতুন উচ্চ আদালত তৈরি করা না পর্যন্ত হায়দ্রাবাদে বিচারাধিকারের উচ্চ আদালতটিকে সাধারণ আদালত হিসাবে গঠন করা হয়েছিল। পরে রাষ্ট্রপতির আদেশ অনুসারে, অন্ধ্রপ্রদেশ পুনর্গঠন আইন ২০১৪-এর অধীনে ১ জানুয়ারি ২০১৯ সালে অন্ধ্র প্রদেশের উচ্চ আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়। উচ্চ আদালতের আসন অন্ধ্রপ্রদেশ রাজধানী অমরবতী এবং এটি ভারতের প্রথম বিচার শহর।
অন্ধ্রপ্রদেশ উচ্চ আদালত অমরাবতীর আশপাশের নীলপাদুর বিচার শহরে অবস্থিত। [৪] এটি কৃষ্ণ নদী থেকে ৬.৪ কিমি দূরত্ব অবস্থিত।[৫]
এটি একটি জি+২ গঠন, যা জি+ ৫ পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। ভবনটি ২৩ টি কক্ষ নিয়ে গঠিত, যা ২২ লাখ বর্গফুট এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। এটি ১৫৭.৩ কোটি টাকা খরচে ৪ একর জমিতে নির্মিত হয়। এই ভবনটি ভারতের বৃহত্তম বহু-জাতীক সংস্থা লারসেন অ্যান্ড টুবরো লিমিটেড দ্বারা নির্মিত হয়। [২]
এটি নির্মিত হবে ২২ একর এলাকা জুড়ে, যাতে ১২২ লাখ বর্গফুট এলাকা থাকবে। এটিতে প্রথম পর্যায়ে ৩৬ টি আদালত হল থাকবে, পরে অতিরিক্ত ২৪ টি হল যোগ করা হবে। উভয় পর্যায় যথাক্রমে ২০২২ এবং ২০৩৬ সালে সম্পন্ন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ভবনটির আনুমানিক ব্যয় ১,৪০০ কোটি টাকা। এপিসিআরডিএ কর্তৃক শাপুরজি পলনজী গোষ্ঠীকে নির্মাণের চুক্তি দেওয়া হয়েছে। [৬]
ক্রমিক নং | প্রধান বিচারপতি | মেয়াদ | |
---|---|---|---|
সিজে/এসিজে হিসাবে নিয়োগের তারিখ | মেয়াদ শেষে | ||
- | চাগাড়ী প্রবীণ কুমার(ভারপ্রাপ্ত) | ১ জানুয়ারি ২০১৯ | শায়িত্ব |
১ | বিক্রম নাথ | এসসিআই-এর কলেজিয়াম দ্বারা প্রস্তাবিত
(ভারত সরকার কর্তৃক অনুমোদিত নয়) |
কেন্দ্রীয় সরকার ১ জানুয়ারি ২০১৯ সাল থেকে বিজ্ঞপ্তি বলে অমরাবতীকে প্রধান আসন করে অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য একটি নতুন উচ্চ আদালত গঠনের সূচনা করে।[৭]
"সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২১৪ এবং ভারতের সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক জারি করা আদেশ এবং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ভূষিত ক্ষমতাবলে (ক) ধারা ৩০-এর (১) উপ ধারা, ধারা ৩১-এর (১) উপ-ধারা ও অন্ধ্রপ্রদেশ পুনর্গঠন আইন ২০১৪-এর ৩১ ধারা (২) এর উপ-ধারায় রাষ্ট্রপতি অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যে ১ লা জানুয়ারি ২০১৯ সাল থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য পৃথক উচ্চ আদালত গঠন করে, অমরাবতীতে উচ্চ আদালতের প্রধান আসন গঠিত হয় এবং হায়দ্রাবাদ উচ্চ আদালত তেলঙ্গানার রাজ্য উচ্চ আদালতে পরিণত হয়।"