অপ্স (বি) ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মিত্র অভিযানমূলক বাহিনীর সর্বোচ্চ সদরদপ্তরের ছলাকৌশল পরিকল্পনা বিভাগ। ১৯৪৩ সালের এপ্রিল মাসে যুক্তরাজ্যে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই সেকশন ওয়েস্টার্ন ফ্রণ্টের জন্য ছলাকৌশল পরিকল্পনা বানানোর কার্যে নিয়োজিত ছিল। অপারেশন ককেড এবং বডিগার্ডে তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। অপারেশন বডিগার্ড ছিল ১৯৪৪ সালে নরম্যাণ্ডিতে মিত্রবাহিনীর আক্রমণের জন্য ছলাকৌশল পরিকল্পনা।
মূলত কর্ণেল জে। ভি। বি। জার্ভিস রীডের অধীনস্থ বিভাগ কর্তৃত্ব ও সম্পদের অভাবে ভুগছিল। ১৯৪৩ সালের ডিসেম্বর মাসে জার্ভিস রীড মধ্যপ্রাচ্যের 'এ' ফোর্সের ছলাকৌশল বিভাগের একজন সদস্য কর্ণেল নোয়েল ওয়াইল্ডের দ্বারা প্রতিস্থাপিত হন এবং নাটকীয়ভাবে সম্প্রসারিত হন। ওয়াইল্ড বিভাগকে অপারেশনস এবং গোয়েন্দা শাখায় বিভক্ত করেন। লেফটেন্যাণ্ট কর্ণেল রজার ফ্লীটউড-হেসকেথ গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং ওয়াইল্ড জার্ভিস-রীডকে অপারেশনস বিভাগের নিয়ন্ত্রণ প্রদান করেন। ফ্লীটউড-হেসকেথ তার ভাই, একজন MI5 সংযোগ রক্ষাকারী কর্মকর্তা এবং একজন সচিবকে এনে অবিলম্বে তার কর্মচারীবৃন্দের সংখ্যা বৃদ্ধি করেন। মে মাসে তিনজন আমেরিকান কর্মকর্তা এবং মেজর এস.বি.ডি. (স্যাম) হুড (অপর সাবেক 'এ'-ফোর্স সদস্য) যোগদান করার পূর্বে অপারশনস বিভাগের সম্প্রসারণ ঘটে নি।
১৯৪৪ সালের জুলাই মাসে ওয়াইল্ড ফ্রান্সের ছলাকৌশল পরিকল্পনা ডিপার্টমেণ্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার লড়াইয়ে জয় লাভ করেন। ফলশ্রুতিতে, অপ্স (বি) এর আরও বেশি সংশ্লিষ্ট ভূমিকা ছিল। তিনি জার্ভিস-রীডকে আমেরিকান কর্মকর্তাবৃন্দ লেফটেন্যাণ্ট কর্ণেল ফ্রেডরিক ডব্লিউ. বার্নস এবং মেজর আলফ্রেড (আল) জে. এফ. মুডির সঙ্গে ফ্রান্সে "ফরওয়ার্ড" শাখার প্রধানের নিকট প্রেরণ করেন। ১৯৪৪ সালের অক্টোবর মাসের শেষপ্রান্তে বিভাগের সকল আমেরিকান সদস্য ব্রিটিশ কর্মচারীদেরকে রেখে বাড়িতে প্রত্যাবর্তন করে। "ফরওয়ার্ড" শাখার প্রধানের নিকট প্রেরণ করেন। ১৯৪৪ সালের অক্টোবর মাসের শেষপ্রান্তে বিভাগের সকল আমেরিকান সদস্য ব্রিটিশ কর্মচারীদেরকে রেখে বাড়িতে প্রত্যাবর্তন করে।[১]
ওবিই ব্রিগেডিয়ার জন ভন ব্রুস জার্ভিস-রীড ছিলেন অপ্স (বি) এর মূল প্রধান।[২] তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পর ১৯৩৩ সালে সেকেন্ড লেফটেন্যাণ্ট হিসেবে রয়েল ইঞ্জিনিয়ার্সে যোগদান করেন।[৩] ১৯৪২ সালের মার্চ মাসে তিনি কর্ণেল পদে আসীন থাকাকালীন ছলাকৌশল বিভাগের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত হন। তার প্রধান কাজ ছিল অপারেশন ককেড এর পরিকল্পনা করা। অপারেশনের জটিলতা এবং তার নিয়ন্ত্রণাধীন সম্পদের অভাবের কারণে এটা সাফল্যের মুখ দেখেনি। তখনও প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত হয় নি, সেই সময় মিত্র অভিযানমূলক বাহিনীর সর্বোচ্চ সদরদপ্তরের সবথেকে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা লেফটেন্যাণ্ট জেনারেল ফ্রেডরিক ই. মর্গান কর্ণেল ডুডলের এ ফোর্সকে একটি "ব্যক্তিগত সেনাবাহিনী" হিসেবে বিবেচনা করতেন যা তিনি তার অধীনে গড়ে তুলতেন না।[৪]
১৯৪৩ সালের ডিসেম্বর মাসে জার্ভিস রীড অপ্স (বি)-কে নতুন পুনর্বিন্যাসকারী কর্ণেল নোয়েল ওয়াইল্ডের দ্বারা প্রতিস্থাপিত হন। ওয়াইল্ডের প্রতিনিধি হিসেবে জার্ভিস-রীডকে অপারেশনস বিভাগের প্রধান নিযুক্ত করা হয়। মিত্রবাহিনীর ফ্রান্স আক্রমণের পর তিনি মিত্র অভিযানমূলক বাহিনীর সর্বোচ্চ সদরদপ্তরে কর্মচারীবৃন্দের ডেপুটি সহকারী প্রধান হন। ১৯৪৫ সালে তিনি অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (ওবিই)-এর একজন কর্মকর্তা নিযুক্ত হন; নথিতে তার ফ্রান্সে এবং অপ্স (বি) এর সাথে কাজের প্রমাণ পাওয়া যায়।[৫] তিনি ১৯৬৩ সালে ব্রিগেডিয়ার পদে থাকাকালীন সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন।[২]
১৯৪২ সালের এপ্রিল থেকে কর্ণেল নোয়েল ওয়াইল্ড ছিলেন ডুডলি ক্লার্কের কায়রো প্রতিনিধি।[৬] ১৯৪৩ সালের শেষের দিকে অপ্স (বি)-কে বডিগার্ডকে সহয়তা প্রদানের লক্ষ্যে সম্প্রসারণের তফসিলভুক্ত করা হলে, ক্লার্ক বিভাগীয় প্রধান হিসেবে ওয়াইল্ডকে গোপনে ডি-ডে অবতরণের ধূর্ত ছদ্মবেশী পরিকল্পনা সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করেন। ঐ বছরের ডিসেম্বর মাসে ওয়াইল্ডকে ছুটির কথা বলে লন্ডনে পাঠানো হয়, যেখানে তাকে উপযুক্ততার জন্য যাচাই করা হয় এবং পরবর্তীতে কাজে নিযুক্ত করা হয়।[৭]
ওয়াইল্ডের অধীনে অপ্স (বি)-কে সম্প্রসারিত করা হয় এবং অপারেশনস ও গোয়েন্দা এই দুই ভাগে বিভক্ত করা হয়। এটা দুমুখী এজেণ্টদের নিকট তথ্য সরবরাহের নিয়ন্ত্রণসহ বিশিষ্ট ক্ষমতা পায়। ওয়াইল্ড এই ক্ষমতা বডিগার্ড পরিকল্পনার প্রধান অংশ অপারেশন ফোর্টিটিউড এর পরিকল্পনা করার স্বার্থে ব্যবহার করতেন।[৭][৮] এই অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হয় নি। ২১ তম সেনাবাহিনী গ্রুপের ছলাকৌশল পরিচালনা ইউনিট আর ফোর্সের প্রধান হিসেবে অপর প্রাক্তন এ ফোর্স সদস্য লেফটেন্যাণ্ট কর্ণেল ডেভিড স্ট্রেঞ্জওয়েসকে নিযুক্ত করা হয়। স্ট্রেঞ্জওয়েস এবং ওয়াইল্ড ব্যক্তিগত ও পেশাগত স্তরে একে অপরের বিরোধিতায় লিপ্ত হয়েছিলেন। অবশেষে, স্ট্রেঞ্জওয়েস ফোর্টিটিউডের সাউথ পরিকল্পনার বড় অংশে পরিবর্তন আনেন এবং অপ্স (বি)-কে আরও সহযোগী ভূমিকায় পর্যবসিত করেন।[৯]
১৯৪৪ সালের জুলাই মাসে ওয়াইল্ড ছলাকৌশল পরিচালনা পরিকল্পনার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে স্ট্রেঞ্জওয়েস এবং অন্যদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হন এবং বিভাগের একটি অংশ (জার্ভিস-রীড, আমেরিকান কর্মকর্তা বার্নার্স এবং মুডি) কে ফ্রান্সে ফরওয়ার্ড সেকশন হিসেবে প্রেরণ করেন।তিনি 'রীড' সেকশন হিসেবে বাকি কর্মচারীবর্গের সাথে যুক্তরাজ্যে অবস্থা করেন।[১]
ওডিই এর টেরিটোরিয়াল ডেকোরেশনের ডেপুটি লেফটেন্যাণ্ট, লেফটেন্যাণ্ট কর্ণেল রজার ফ্লীটউড-হেসকেথ ছিলেন মেজর চার্লস হেসকেথ ফ্লীটউড-হেসকেথের পুত্র। ব্যারিস্টার হওয়ার পূর্বে তিনি তার পিতার মতো এল্টন এবং অক্সফোর্ডে শিক্ষা লাভ করেন এবং পরে সৈনিক হয়ে ওঠেন।[১০] পরবর্তীতে জার্ভিস রীডের পাশাপাশি বিভাগের একমাত্র গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসেবে হেসকেথ একজন মেজর থাকাকালীন অপ্স (বি)-তে নিযুক্ত হন। কর্ণেল জন বীভান ইউনিট গঠন করতে গিয়ে উপলব্ধি করেন যে, শুধুমাত্র পরিচালন ক্ষমতার দরকার এবং গোয়েন্দা বিভাগ তার নিজস্ব লন্ডন নিয়ন্ত্রণ শাখাতে থাকবে;[১১] কিন্তু ওয়াইল্ডের আগমনে হেসকেথের নিকট সম্প্রসারিত গোয়েন্দা বিভাগের একটি শাখার নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করা হয় যেখানে তার ভাই বেসামরিক সচিব কাথবার্ট এবং একজন মিলিটারি গোয়েন্দা সেকশন-৫ যোগাযোগকারী কর্মকর্তাকে অন্তর্ভুক্ত করে। [১২]
যুদ্ধ সমাপ্তির পর, জার্মান গোয়েন্দাদের নথি তল্লাশি করতে এবং কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে হেসকেথকে তার ভাইয়ের সাথে জার্মানীতে পাঠানো হয়।[১৩] এরপর তাকে সমাধান এবং অপারেশন ফর্টিটিউড অন্তর্ভুক্ত করে পশ্চিম ইউরোপের ছলচাতুরি ইতিহাস লিখতে বলা হয়।[১৪]
ওয়াইল্ডের আগমনের পূর্বে জার্ভিস-রীড, হেসকেথ এবং দুই আমেরিকান কর্মকর্তা নিয়ে গঠিত অপ্স (বি)-এর সদস্য সংখ্যা খুব কম ছিল। ১৯৪৪ সালের জানুয়ারি থেকে ওয়াইল্ড মিলিটারি গোয়েন্দা সেকশন-৫ এর সাথে সংযোগ রক্ষাকারী কর্মকর্তা, যুগ্ম আমেরিকান কর্মকর্তা এবং কায়রোর 'এ' ফোর্স থেকে অভিজ্ঞ ছলাকৌশল কর্মচারীকে অন্তর্ভুক্ত করে কর্মচারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করেন।
নাম | দেশ | যোগদান | অবসান | সংক্ষিপ্ত বিবরণী |
---|---|---|---|---|
লেফটেন্যাণ্ট কর্ণেল পার্সি ল্যাশ | যুক্তরাষ্ট্র | এপ্রিল, ১৯৪৩ | জানুয়ারী, ১৯৪৪ | জার্ভিস রীডের অধীনস্থ বিভাগে মার্কিন সেনাবাহিনী পরিকল্পনাবিদকে সাময়িকভাবে নিয়োজিত করা হয়। ওয়াইল্ডের আগমনের পর উভয়েই অপ্স (এ) (মিত্র অভিযানমূলক বাহিনীর সর্বোচ্চ সদরদপ্তরের সনাতন পরিকল্পনা বিভাগ) তে ফিরে যান।[৭] |
মেজর মেলভিন ব্রাউন | যুক্তরাষ্ট্র | এপ্রিল, ১৯৪৪ | জানুয়ারী, ১৯৪৪ | |
লেফটেন্যাণ্ট কর্ণেল ফ্রেডরিক ডব্লিউ বার্নস | যুক্তরাষ্ট্র | মে, ১৯৪৪ | সেপ্টেম্বর, ১৯৪৪ | মে মাসে অপারেশনস সেকশনে যোগদান করেন।[৭] জুলাই মাসে যখন ওয়াইল্ড জার্ভিস-রীডকে ফ্রান্সে প্রেরণ করলে মুডি এবং বার্নস তার সঙ্গে যান। প্যাসিফিকে বদলি হওয়ার পূর্বে বার্নস যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। প্যাসিফিকে তিনি পরবর্তী ছলাকৌশল কার্যে অংশ নেন। [১][১৫] |
মেজর আলফ্রেড (আল) যে. মুডি | যুক্তরাষ্ট্র | মে, ১৯৪৪ | সেপ্টেম্বর, ১৯৪৪ | মুডি ওয়েস্ট পয়েণ্ট থেকে শিক্ষাজীবন (তিনি ১৯৪১ সালে ক্লাসে প্রথম স্থান অধিকার করে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন) সম্পন্ন করে ১৯৪৪ সালের মে মাসে অন্যান্য আমেরিকান কর্মকর্তাবৃন্দের সাথে মিলিত হন এবং জুলাই মাসে জার্ভিস-রীডের ফ্রান্সে গমন করেন। তিনি প্যাসিফিকে বদলি হওয়ার পূর্বে ১৯৪৪ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যাবর্তন করেন।[১][৭] He returned to the US in September 1944, before being posted to the Pacific.[১৫] |
ক্যাপ্টেন জন (“জ্যাক”) বি. করবেট | যুক্তরাষ্ট্র | মে, ১৯৪৪ | অক্টোবর, ১৯৪৪ | তৃতীয় আমেরিকান কর্মকর্তা হিসেবে ১৯৪৪ সালের মে মাসে বিভাগে যোগদান করেন।[৭] তিনি অক্টোবর মাসে ছেড়ে যান এবং তিনিও প্যাসিফিক নাট্যশালায় (যদিও মুডি এবং বার্নসের অনেক পরে) বদলি হন। [১৫] ১৯৪৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি ডি ডিভিশনে যোগদান করেন এবং যুদ্ধের বাকিটা সময় সেখানেই অবস্থান করেন। [১৬] ১৯৪৭ সালে তখনও সেনাবাহিনীতে থাকাকালীন তিনি যুদ্ধকালীন সময়ে ব্রিটিশদের ছলাকৌশলী প্রচেষ্টা পর্যালোচনা করতে তথ্যানুসন্ধানমূলক মিশনে লন্ডন যান।[১৭] |
মেজর এস. বি. ডি. “স্যাম” হুড | যুক্তরাজ্য | মে, ১৯৪৪ | হুড ছিলেন প্রাক্তন ‘এ’ ফোর্স সদস্য যিনি ১৯৪৩ সালের মে মাসে কোওর্ডিনেট রেডিও ধূর্ততাকে সহায়তা প্রদানে যোগদান করেন। [১৮] ডিসেম্বর মাসে তিনি ইটালীতে ‘এ’ ফোর্স ট্যাকটিক্যান হেডকোয়ার্টার (পশ্চিম) এর প্রধান হিসেবে ডেভিড স্ট্রেঞ্জওয়েসকে প্রতিস্থাপিত করেন যখন স্ট্রেঞ্জওয়েসকে যুক্তরাজ্যে বদলি করা হয়। [১৯] ১৯৪৪ সালের মে মাসের শেষদিকে তিনি অপ্স (বি) তে যোগদান করেন এবং জুলাইয়ের পুনর্বিন্যাসের সময় ওয়াইল্ডের সাথে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করেন। [১][৭] |
নাম |
দেশ | যোগদান | অবসান | সংক্ষিপ্ত বিবরণী |
---|---|---|---|---|
মেজর ক্রিস্টোফার হারমার | যুক্তরাজ্য | জানুয়ারী, ১৯৪৪ | মার্চ, ১৯৪৪ | মিলিটারি গোয়েন্দা সেকশন-৫ এর সাথে সংযোগ রক্ষাকারী ছিলেন এজেন্সীর একজন প্রাক্তন কর্মকর্তা এবং দ্বিমুখী এজেণ্ট “ব্রুটুস” এর পক্ষ সমর্থকারী।[২০] অপারেশন "ফর্টিটিউড" এর ছলাকৌশলের অংশ হিসেবে জল্পনামূলক প্রথম মার্কিন সেনাবাহিনী গ্রুপের সেনাপতি হিসেবে লেফটেন্যাণ্ট জেনারেল জর্জ এস. প্যাটনকে বাছাইয়ের ব্যাপারে তিনি প্রস্তাব করেন। [২১] তিনি ৭ এপ্রিল ছেড়ে দিয়ে মহাদেশে নতুন দ্বিমুখী এজেণ্ট নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে স্থাপিত একটি ছোট দল ১০৪ SCI ইউনিটের নিয়ন্ত্রণ নেন। এই ভূমিকায় থাকাকালীন তিনি অপ্স (বি)-এর সাথে কাজ করেন, যদিও ওয়াইল্ড এই ধরনের এজেণ্টদেরকে ছলাকৌশল কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করতে অস্বীকৃতি জানান। [২২] যুদ্ধের পর হারমার আইনজীবী হিসেবে কর্মে ফিরে যান।[২৩] |
ফিলিস হোয়াইট | যুক্তরাজ্য | জানুয়ারী, ১৯৪৪ | মিলিটারি গোয়েন্দা সেকশন-৫ থেকে বেসামরিক সচিব হিসেবে বাছাই করা হয়। [২০] | |
ক্যাপ্টেন কাথবার্ট ফ্লীটউড-হেসকেথ | যুক্তরাজ্য | জানুয়ারী, ১৯৪৪ | হেসকিথের ভাই স্বল্পভাষী ব্যক্তিত্ব রজার ফ্লীটউডকে যুদ্ধ কর্মশালা আনা হয় কারণ তিনি জার্মান বলতেন। তিনি পরবর্তীকালে বিভাগের প্রধান সংবাদবহনকারী ব্যক্তি হিসেবে বিভিন্ন ছলাকৌশন পরিকল্পনাকারী এজেন্সী এবং ২১ তম সেনা সদরদপ্তরের মধ্যে দায়িত্ব পালন করেন। [২০] যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইউরোপে তিনি তথ্য সরবরাহকারী জার্মান গোয়েন্দা কর্মকর্তাদেরকে ছলাকৌশল কতটা ভালো কাজ করে তা মূল্যায়ন করতে সাহায্য করতেন।[২৪] |