অবনীত কৌর সিধু | |
---|---|
জন্ম | ৩০শে অক্টোবর ১৯৮১ পাঞ্জাব, ভারত |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ভারতীয় |
পেশা | শ্যুটার |
অবনীত কৌর সিধু ( ভাটিণ্ডা, ৩০ অক্টোবর ১৯৮১) একজন ভারতীয় ক্রীড়া শ্যুটার। তিনি ২০০৬ কমনওয়েলথ গেমসে তেজস্বিনী সাওন্তের সাথে (যুগ্ম) মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন।[১] তিনি ২০০৮ সালের বেইজিং গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে ১০ মিটার এয়ার রাইফেল এবং ৫০ মিটার রাইফেলে তিনটি অবস্থানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইভেন্টে তাঁর বিভিন্ন অর্জন হল:
বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় শতাধিক পদক জিতেছেন
২০০৬ সালের আগস্ট মাসে, জাগ্রেবে (ক্রোয়েশিয়া) অনুষ্ঠিত ৪৯তম বিশ্ব শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের হয়ে অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন, ২০০৮ সালে, চীনের বেইজিং অলিম্পিক গেমসে যোগ্যতা অর্জনকারী দেশের ষষ্ঠ ক্রীড়াবিদ (শ্যুটিং) হয়েছিলেন তিনি। তাঁর কৃতিত্বের দীর্ঘ তালিকার মধ্যে, ২০০৬ সালে দোহায় (কাতার) অনুষ্ঠিত ১৫তম এশিয়ান গেমসে একটি ব্রোঞ্জ পদক, কুয়েতে অনুষ্ঠিত ১১তম এশিয়ান শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপে একটি ব্রোঞ্জ এবং ২০০৮ সালের মার্চ মাসে সিডনিতে অনুষ্ঠিত এআইএসএল অস্ট্রেলিয়া কাপ ২য়ে একটি স্বর্ণপদক জেতা হল প্রধান। দ্য ট্রিবিউনের সাথে কথা বলার সময়, উচ্ছ্বসিত শ্যুটার জানান যে তিনি আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় এক ডজনেরও বেশি স্বর্ণপদক এবং অনেক রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন। এছাড়া তিনি ১২টি বিশ্বকাপে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি ২০০৬ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ৪০০ এর মধ্যে ৩৯৭ পয়েন্ট পেয়েছিলেন এবং ভারতের হয়ে অলিম্পিকে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন। তিনি পাঞ্জাবের প্রথম মহিলা শ্যুটার যিনি বেইজিং অলিম্পিক গেমস, ২০০৮ সালে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং পাঞ্জাবের প্রথম মহিলা শ্যুটার যিনি কমনওয়েলথ এবং এশিয়ান গেমসে পদক জিতেছেন। তিনি পাঞ্জাব রাজ্য পুরস্কার পেয়েছেন এবং ২০০৮ সালের ২৯শে আগস্ট রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিলের কাছ থেকে অর্জুন পুরস্কারে ভূষিত হন।[৫]
১৯৮১ সালে জন্মগ্রহণকারী অবনীত ভাটিণ্ডার সেন্ট জোসেফ কনভেন্ট স্কুল থেকে তাঁর বিদ্যালয় শিক্ষা সমাপ্ত করেন। তিনি ২০০১ সালে, বাদলের দশমেশ গার্লস কলেজে থেকে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে স্নাতক করার সময় তাঁর শ্যুটিং ক্রীড়া জীবন শুরু করেন। তিনি ২০০৫ সালে ইংরেজি সাহিত্যে তাঁর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। দক্ষতা দিয়ে সকলকে মুগ্ধ করে, ছয় বছরের অল্প সময়ের মধ্যে, তিনি শীর্ষে পৌঁছেছেন এবং মেলবোর্নে (অস্ট্রেলিয়া) অনুষ্ঠিত ১৮তম কমনওয়েলথ গেমস-২০০৬-এ একটি স্বর্ণ ও একটি রৌপ্য পদক অর্জন করেছেন। তিনি বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইভেন্টে প্রায় ৬০টি পদক জিতেছেন। তিনি এয়ার ইন্ডিয়াতে সহকারী ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। অবনীত কৌর সিধু তাঁর নিজ রাজ্যে যে গৌরব নিয়ে এসেছেন তাকে স্বীকার করে, পাঞ্জাব সরকার তাঁকে ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ (ডিএসপি) পদের প্রস্তাব দিয়ে সম্মান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।[৬]
তিনি প্রাক্তন ভারতীয় হকি অধিনায়ক রাজপাল সিংকে বিয়ে করেছেন এবং এই দম্পতির একটি সন্তান রয়েছে।[৭]