অবৈবাহিক একত্রবাস

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯৪-২০১২ সময়ে অবৈবাহিক একত্রবাসের সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে জরিপের ফলাফল

অবৈবাহিক একত্রবাস, অবৈবাহিক বসবাস কিংবা অবৈবাহিক সংসার হচ্ছে পশ্চিমা সমাজের একটি রীতি যেখানে প্রেমিক-প্রেমিকা বিয়ে না করে বিবাহিত দম্পতির মত একসাথে বসবাস করে এবং সন্তান জন্ম দেয়। পশ্চিমা দেশগুলোতে এই মতবাদের উদ্ভব বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে দেখা দেয়।

অবৈবাহিক একত্রবাস এমন একটি ব্যবস্থা যার মধ্যে বিবাহিত নয় এমন দুটি ব্যক্তি একসাথে থাকেন এবং স্বামী-স্ত্রীর মতো শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এই সম্পর্কটি স্নেহময় এবং সম্পর্ক আরও গভীর হয়। সম্পর্কগুলি কখনও কখনও দীর্ঘ সময়ের জন্য যেতে পারে বা স্থায়ী হতে পারে।

বিশেষত পশ্চিমা দেশগুলিতে এ জাতীয় সম্পর্ক খুব সাধারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত বিবাহ, লিঙ্গ অংশগ্রহণ এবং ধর্ম সম্পর্কিত বিষয়গুলিতে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের কারণে গত কয়েক দশকে এই প্রবণতা প্রচুর পরিমাণে অর্জন করেছে।

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট অবৈবাহিক একত্রবাসের সম্পর্কের সমর্থনে একটি যুগান্তকারী রায় জানিয়েছে যে, দু'জন মানুষ যদি দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের সাথে বসবাস করে এবং সম্পর্ক রাখে, তবে তারা বিবাহিত বলে বিবেচিত হবে।[][]

পুরো সময় উপস্থিত থাকার কারণে অংশীদারটি জানা সহজ। উভয় পক্ষই সাধারণত আর্থিকভাবে স্বতন্ত্র এবং কারও উপর নির্ভরশীল না। এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে সামাজিক এবং পারিবারিক বিধি প্রয়োগ হয় না। বিবাহিত জীবনের জন্য এই সম্পর্ক প্রযোজ্য নয়। প্রতিটি পক্ষই অন্যকে সম্মান করে। সম্পর্ক শেষ হওয়ার পরে বিবাহ বিচ্ছেদের মতো কয়েকটি ঘটনা খুব কমই দেখা যায়।

বাংলাদেশের সমাজে নারীপুরুষের এহেন সম্পর্ক সামাজিক অপরাধ হিসেবে পরিগণিত।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "লিভ-ইন রিলেশনশিপ কোনও অপরাধ নয় : ভারতের সুপ্রিম কোর্ট"কালের কণ্ঠ 
  2. "ভারতে বিয়ের বয়সের আগে লিভ টুগেদারের অনুমতি সুপ্রিম কোর্টের"rtvonline.com। ৬ মে ২০১৮। 
  3. মোঃ আকবর হোসেন মৃধা (১ আগস্ট ২০১০)। "লিভ টুগেদার সামাজিক অপরাধ"প্রথম আলো। ২০২০-০৬-৩০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৬-৩০ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]