অমরত্ব হল অনন্ত জীবন বা চিরকালের জন্য বাস করার ক্ষমতা ।[২] যেকোন প্রাণীর জৈবিক কাঠামোর কিছু সহজাত সীমাবদ্ধতা রয়েছে যা মেডিক্যাল এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এর মাধ্যমে জয়লাভ করা সম্ভব হতে পারে আবার নাও হতে পারে। প্রকৃতিগতভাবে অন্তত এক প্রজাতির জেলিফিস রয়েছে যার নাম টুরিটসিস ডোরনি যাকে সম্ভবত অমর হিসেবে ধরা হয় ।[৩]
কিছু কিছু বিজ্ঞানী, ভবিষ্যৎবাদী এবং দার্শনিকরা মানব শরীরের অমরত্ব সম্পর্কে তত্ত্ব দিয়ে গেছেন, এবং কেউ কেউ ভাবতেন একুশ শতাব্দীর প্রথম কয়েক দশকেই অমরত্ব লাভ করা সম্বব যেখানে অন্যরা বিশ্বাস করেন বর্ধিত জীবন অল্পসময়ে অর্জন করা সম্ভব, যা অনির্দিষ্ট ভবিষ্যতে আরো গবেষণার মাধ্যমে সাফল্য অর্জনের লক্ষ্যে অপেক্ষমাণ। গবেষক অব্রে ডে গ্রে একগুচ্ছ বায়োমেডিকেল নবজীবন কৌশলের উন্নতি সাধন করেন যাতে মানুষের বার্ধক্যগ্রস্থ হওয়া রোধ করা সম্ভব হয় (যা সেন্স নামে পরিচিত), এবং তিনি বিশ্বাস করেন যে মানুষের বার্ধক্যগ্রস্থ হওয়া বন্ধ করার প্রস্তাবিত প্রকল্প হয়ত আগামি দুই বা তিন দশকের মধ্যেই বাস্তবায়ন হবে ।[৪] দৈহিক আঘাতের মৃত্তু বাদে বার্ধক্যের অনুপস্থিতিতে মানুষ জৈবিকভাবে অমরত্ব লাভ করবে ; যদিও , মাইন্ড আপলোডিং এই সমস্যার সমাধান করতে পারে।