অম্বরীশ ঘোষ | |
---|---|
জন্ম | কলকাতা, ভারত | ১৮ ডিসেম্বর ১৯৭৩
জাতীয়তা | ভারতীয় |
নাগরিকত্ব | ![]() |
মাতৃশিক্ষায়তন | |
পুরস্কার | |
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
কর্মক্ষেত্র | |
প্রতিষ্ঠানসমূহ | |
ডক্টরাল উপদেষ্টা | হামফ্রে মেরিস |
ওয়েবসাইট | http://www.cense.iisc.ac.in/ambarish/ |
অম্বরীশ ঘোষ একজন ভারতীয় বিজ্ঞানী। তিনি বেঙ্গালুরুর ভারতীয় বিজ্ঞান সংস্থার অন্তর্গত ন্যানো সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সেন্টারের (সিএনএসই) সহযোগী অধ্যাপক। তিনি ন্যানো রোবট সমূহ, সক্রিয় বিষয় পদার্থবিজ্ঞান, প্লাজমোনিকস এবং ন্যানোফোটোনিক্স এবং তরল হিলিয়াম নিয়ে তাঁর কাজের জন্য জন্য বিখ্যাত।
২০০৯-এ তিনি পিয়ার ফিশার কে সাথে নিয়ে, চৌম্বকীয়, স্ক্রুর মত পেঁচাল (হেলিক্যাল), ন্যানো সুইমার তৈরি করতে গ্লান্সিং অ্যাঙ্গেল ডিপোজিটের ব্যবহার প্রদর্শন করেছিলেন।[১] তাঁর গবেষক দলটি এই জাতীয় ন্যানো রোবটগুলির গতিশীলতা সম্বন্ধে ব্যাখ্যা দিয়েছে[২] এবং এই জাতীয় রোবটের স্বাধীন নিয়ন্ত্রণের জন্য কৌশল উপস্থাপন করেছে।[৩] সাম্প্রতিক কালে তাঁর দল রক্তের মধ্যে চলাফেরার কৌশল সহ স্ক্রুর মত পেঁচাল (হেলিক্যাল) ন্যানো রোবটগুলির বিভিন্ন প্রয়োগ প্রদর্শন করতে সক্ষম হয়েছে।[৪] এটি সক্রিয় তঞ্চনে দক্ষতা সহকারে কাজের উদ্দেশ্যে [৫] এবং জীবিত কোষের অভ্যন্তরের পরিবেশকে সংবেদন করার জন্য শলা হিসাবে ন্যানো রোবটগুলিকে ব্যবহার করছে।[৬][৭]
অম্বরীশ ঘোষ এবং তাঁর দলটি ছিদ্রযুক্ত ত্রিমাত্রিক প্লাজমনিক ধাতব জাল বানাতে একটি পাতলা চাকতির মত স্কেল প্রযুক্তি তৈরি করেছেন যা দৃশ্যমান তরঙ্গদৈর্ঘ্যে তো বটেই, এছাড়াও অন্যান্য তরঙ্গদৈর্ঘ্যের বিস্তৃত পরিসরে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই প্রযুক্তিটি বিভিন্ন ধরনের উপকরণ এবং জ্যামিতির কাজে লাগানো যায়, এবং তাই এটি অত্যন্ত বহুমুখী। বিভিন্ন ছিদ্রযুক্ত ত্রিমাত্রিক ডাই ইলেকট্রিক কাঠামো তৈরির জন্য তাঁরা গ্লান্সিং অ্যাঙ্গেল ডিপোজিশন ব্যবহার করেছেন এবং ত্রিমাত্রিকে ধাতব ডাই ইলেকট্রিক স্তরগুলির বিন্যাস বিকাশের জন্য প্লাজমোনিক্সকে সমন্বিত করেছেন। খুব সম্প্রতি, তাঁরা গ্রাফিনের সাথে প্লাজমনিক ন্যানো কণাগুলিকে সংহত করার জন্য একটি ধারণামূলক অভিনব পদ্ধতি প্রদর্শন করেছেন, এর ফলে তাঁদের কাজে অভূতপূর্ব তড়িৎচুম্বকীয় ক্ষেত্র বর্ধন এবং আলো দ্বারা সনাক্তকরণে সংবেদনশীলতা এসেছে।
বহু ইলেকট্রন বুদবুদ বা এমইবি শব্দটি সাধারণত (১০)^৫ বা তার বেশি সংখ্যক ইলেকট্রন সম্পন্ন বুদবুদকে বোঝায়। তরল হিলিয়াম পৃষ্ঠের উপর ইলেকট্রনের একটি ঘন স্তর তৈরি করতে এই বুদবুদগুলি শক্তিশালী বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র প্রয়োগ করে উৎপাদিত হতে পারে।[৮][৯]
২০১৮ সালে, বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য, ভারত সরকারের গবেষণার জন্য শীর্ষস্থানীয় সংস্থা কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইনডাসট্রিয়াল রিসার্চ, পদার্থ বিজ্ঞানে তাঁর অবদানের জন্য, তাঁকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জন্য শান্তি স্বরূপ ভাটনগর পুরস্কারে ভূষিত করেছে।[১০]