অযোধ্যা বিমানবন্দর अयोध्या विमानक्षेत्र | |||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
![]() রাতের বেলায় অযোধ্যা বিমানবন্দরের টার্মিনাল | |||||||||||
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |||||||||||
দাপ্তরিক নাম | মহর্ষি বাল্মীকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অযোধ্যা ধাম | ||||||||||
বিমানবন্দরের ধরন | অসামরিক | ||||||||||
পরিচালক | ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ | ||||||||||
পরিষেবাপ্রাপ্ত এলাকা | অযোধ্যা | ||||||||||
অবস্থান | অযোধ্যা, উত্তরপ্রদেশ, ভারত | ||||||||||
চালু | ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩[১] | ||||||||||
এএমএসএল উচ্চতা | ১০২ মিটার / ৩৩৫ ফুট | ||||||||||
স্থানাঙ্ক | ২৬°৪৫′১২″ উত্তর ০৮২°০৯′০১″ পূর্ব / ২৬.৭৫৩৩৩° উত্তর ৮২.১৫০২৮° পূর্ব | ||||||||||
মানচিত্র | |||||||||||
রানওয়ে | |||||||||||
| |||||||||||
ভারত সরকার | |||||||||||
অযোধ্যা বিমানবন্দর[৩] (আইএটিএ: AYJ, আইসিএও: VEAY), যার সরকারি নাম মহর্ষি বাল্মীকি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অযোধ্যা ধাম,[৪][৫] ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের অযোধ্যা শহরের একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।[৬][৭] এই বিমানবন্দরটি অযোধ্যা জেলায় এনএইচ ২৭ ও এনএইচ ৩৩০-এর নিকটে অবস্থিত। এর সম্প্রসারণের জন্য ফেব্রুয়ারি ২০১৪-এ উত্তরপ্রদেশ সরকার ও ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে মেমোরান্ডাম অব আন্ডারস্ট্যান্ডিং (মউ) স্বাক্ষর হয়েছিল।[৮] ফেব্রুয়ারি ২০২২-এ বিমানবন্দরটির নির্মাণ শুরু হয়েছিল[৯] এবং ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩-এ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এর উদ্বোধন করেছিলেন। ১০ জানুয়ারি ২০২৪-এ এই বিমানবন্দরের উড়ান পরিষেবা শুরু হবে।[১][১০][১১]
২০২১ সালে উত্তরপ্রদেশ সরকার রামায়ণের প্রধান চরিত্র রামের নামে অযোধ্যা বিমানবন্দরের নাম "মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর" রেখেছিল।[১২] ডিসেম্বর ২০২৩-এ এর রামায়ণ-ভিত্তিক পরিবেশকে ভালভাবে উপস্থাপন করার জন্য রামায়ণকার বাল্মীকির নামে বিমানবন্দরটির নাম পরিবর্তন করা হয়েছিল।[১৩]
২০০৮ সালে উত্তরপ্রদেশ সরকার একটি সরকারি আদেশ জারি করেছিল যার ফলে মুদ্রার বিনিময়ে প্রাক্তন ভারতীয় বিমানবাহিনী বিমানবন্দরে বেসরকারি বিমানবন্দরের অবতরণ ও পার্কিঙের অনুমতি দিয়েছিল। সরকারি আদেশ অনুযায়ী যেকোনো বেসরকারি বিমানবন্দর ৫০০ টাকার বিনিময়ে অবতরণ করতে পারবে। প্রথম দুই ঘণ্টার জন্য কোনো পার্কিং চার্জ দিতে হবে না, কিন্তু এর পরে দিনে ২০০ টাকা দিতে হবে।[১৪] বিমানচালক প্রশিক্ষণ ও বিমান রক্ষণাবেক্ষণ প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানের জন্য সরকার বিমানবন্দরটিকে বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের দিয়েছিল। এই প্রক্রিয়াটি আগে অনুসরণ করা হয়েছিল যাতে করে অনেকক্ষণ ধরে এই বিমানবন্দরকে ব্যবহার করা যায়। বিমান অবতরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বেসরকারি বিমানের মালিকেরা সংশ্লিষ্ট জেলাশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেয়েছিলেন, যিনি আবার ডিরেক্টরেটের সাথে যোগাযোগ করবেন।[১৪]
২০১২ সালে অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী অজিত সিং অযোধ্যা (তখন ফৈজাবাদ), মোরাদাবাদ ও মিরাট বিমানবন্দর সম্প্রসারণের কথা ঘোষণা করেছিলেন যাতে আকাশপথে আঞ্চলিক সংযোগ বাড়বে এবং রাজ্যের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও পর্যটনের উন্নতি হবে।[১৫] অজিত সিং বলেছিলেন যে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে ৯টি বিমানবন্দর স্থাপন করার জন্য অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবের কাছে জমি চেয়েছিলেন। তিনি এর সাথে যোগ করেছিলেন যে বিমানবন্দরের সংখ্যা বেশি হলে রাজ্যের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার বাড়বে।[১৬]
২০১৩ সালে রাজ্য মন্ত্রিসভার নির্দেশিকা অনুযায়ী মিরাট, মোরাদাবাদ, সৈফই ও ফৈজাবাদ বিমানবন্দরদের পূর্ণাঙ্গ বিমানবন্দর হিসাবে গড়ে তোলার জন্য রাজ্য সরকার এদের ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তরের অনুমোদন দিয়েছিল। পরবর্তী সম্প্রসারণ ও টার্মিনাল নির্মাণের জন্য রাজ্য সরকার অতিরিক্ত জমি বিনামূল্যে প্রদান করেছিল।[১৭][১৮][১৯]
২০১৮ সালে যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বে রাজ্য সরকার অযোধ্যা বিমানবন্দর (তখন ফৈজাবাদ বিমানবন্দর) সম্প্রসারণের কথা ঘোষণা করেছিল।[২০] রাজ্য সরকার একে এক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসাবে গড়ে তোলার প্রকল্প এবং জমি অধিগ্রহণের জন্য ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত করেছিল।[২০][২১] নভেম্বর ২০২১ থেকে জমি অধিগ্রহণ শুরু হয়েছিল এবং ফেব্রুয়ারি ২০২২-এ বিমানবন্দরে নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল।[৯] এপ্রিল ২০২২-এ রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছিল যে ২০২৪-এ রাম মন্দির সম্পূর্ণ হওয়ার আগে এই বিমানবন্দরটি সক্রিয় হবে।[২২] ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩-এ অযোধ্যা বিমানবন্দরের নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়েছিল এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এর উদ্বোধন করেছিলেন। ১০ জানুয়ারি ২০২৪-এ ইন্ডিগো দিল্লি ও আহমেদাবাদ থেকে অযোধ্যায় উড়ান পরিষেবা চালু করবে।[১০][১১][২৩]
সম্প্রসারণের আগে অযোধ্যা বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য ১,৫০০ মিটার ও প্রস্থ ৩০ মিটার ছিল, যা কেবল ডর্নিয়ার ২২৮-এর মতো ৯-আসনবিশিষ্ট বিমানের পক্ষে উপযুক্ত।[২৪] ২০১৮ সালে ভারতীয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলেছিল যে ২৮৪ একর (১.১৫ বর্গকিলোমিটার) আরও জমি অধিগ্রহণ করলে বিমানবন্দরটি ২০০-আসনবিশিষ্ট এয়ারবাস এ৩২১ বিমানের পক্ষে উপযুক্ত হবে।[২৪] এর প্রতিক্রিয়া হিসাবে একই সালের নভেম্বর মাসে উত্তরপ্রদেশ সরকার এয়ারস্ট্রিপের আশেপাশে ২৮০ একর (১.১ বর্গকিলোমিটার) জমি অধিগ্রহণ করার এবং আরও বড় বিমান অবতরণের জন্য রানওয়েকে প্রসারিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। প্রস্তাবিত রানওয়ের দৈর্ঘ্য ২,৫০০ মিটার ও প্রস্থ ৪৫ মিটার, এবং রানওয়ের উভয় ধারে ১০০–১৫০ মিটার চওড়া সেট-অফ এরিয়া বর্তমান।[২৪] এর নির্মাণ দুই পর্যায়ে হওয়ার কথা এবং এর সঙ্গে তৃতীয় পর্যায় প্রস্তাবিত। প্রথম পর্যায়ে রানওয়ের দৈর্ঘ্য ২,২৫০ মিটার হবে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে এর দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি হয়ে হবে ৩,১২৫ মিটার। তৃতীয় পর্যায়ে রানওয়েটির দৈর্ঘ্য আরও ৬২৫ মিটার বাড়ানো হবে, যার ফলে রানওয়েটির মোট দৈর্ঘ্য হবে ৩,৭৫০ মিটার, যা এয়ারবাস এ৩৮০-এর মতো বৃহৎ বিমানের পক্ষে উপযুক্ত। প্রথম পর্যায় থেকে রাতে বিমান অবতরণের জন্য রানওয়েতে বিভিন্ন সুবিধা থাকবে, যেমন ইনস্ট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম (আইএলএস), ডপলার ভেরি-হাই ফ্রিকোয়েন্সি ওমনিডায়রেকশনাল রেঞ্জ (ডিভিওআর) ও ডিসটেন্স মেজারিং ইকুইপমেন্ট (ডিএমই)।[২][২৫]
টার্মিনাল ১ হচ্ছে বিমানবন্দরটির প্রথম টার্মিনাল, যা বিমানবন্দর উন্নয়নের প্রথম পর্যায়ের অধীনে নির্মিত। এর ক্ষেত্রফল ৬,৫০০ বর্গমিটার (৭০,০০০ বর্গফুট) এবং পিক আওয়ারে এটি ৩০০ জন যাত্রী ও বছরে ১০ লাখ যাত্রীদের ধারণ করতে পারে। এখানে অবস্থিত বিমানবন্দর অ্যাপ্রন চারটি এয়ারবাস এ৩২০ ও বোয়িং ৭৩৭-এর মতো বিমান পার্কিঙের পক্ষে উপযুক্ত। টার্মিনাল চত্বরে যানবাহনের জন্য পার্কিং ব্যবস্থা, নিকটবর্তী মহাসড়ক থেকে অ্যাপ্রোচ রোড, জ্বালানি ফার্ম, জ্বালানি পাম্প, বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ টাওয়ার (এটিসি) ও অন্যান্য গৌণ সুবিধা। এই টার্মিনালটি, তথা প্রথম পর্যায়ের বিমানবন্দরটি, ১০ জানুয়ারি ২০২৪-এ উড়ান পরিষেবা শুরু করেছিল।[১][২৬][২৭]
বিমান সংস্থা | গন্তব্যস্থল |
---|---|
ইন্ডিগো[২৩] | আহমেদাবাদ, দিল্লি, মুম্বই[২৮] |
এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস | কলকাতা (১৭ জানুয়ারি ২০২৪-এ শুরু),[২৯] গোয়ালিয়র (১৬ জানুয়ারি ২০২৪-এ শুরু),[৩০] দিল্লি (১৬ জানুয়ারি ২০২৪-এ শুরু),[৩০] বেঙ্গালুরু (১৭ জানুয়ারি ২০২৪-এ শুরু)[২৯] |
স্পাইসজেট | চেন্নাই (১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪-এ শুরু),[৩১] মুম্বই (২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪-এ শুরু),[৩১] বেঙ্গালুরু (২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪-এ শুরু)[৩১] |
১.২ কিলোমিটার (০.৭৫ মাইল)-দীর্ঘ এক চার-লেনের অ্যাপ্রোচ রোড বিমানবন্দরকে ২৭ নং জাতীয় সড়ক হয়ে অযোধ্যা প্রাঙ্গণের সাথে যুক্ত করে।
বিমানবন্দর থেকে নিকটবর্তী বাস স্টেশন হচ্ছে ফৈজাবাদ বাস ডিপো, যা মাত্র ৫ কিলোমিটার (৩.১ মাইল) উত্তরপশ্চিমে ফৈজাবাদ এলাকায় অবস্থিত। অযোধ্যা ধাম সেন্ট্রাল বাস স্টেশন বিমানবন্দর থেকে ১৬ কিলোমিটার (৯.৯ মাইল) উত্তরপূর্বে অযোধ্যা শহরে অবস্থিত।
বিমানবন্দর থেকে নিকটবর্তী রেলওয়ে স্টেশন হচ্ছে অযোধ্যা ক্যান্ট রেলওয়ে স্টেশন, যা মাত্র ৩.৫ কিলোমিটার (২.২ মাইল) উত্তরপশ্চিমে ফৈজাবাদ এলাকায় অবস্থিত। অযোধ্যা ধাম জংশন রেলওয়ে স্টেশন বিমানবন্দর থেকে ১১ কিলোমিটার (৬.৮ মাইল) উত্তরপূর্বে অযোধ্যা শহরে অবস্থিত।
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; 6E
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি