নামসমূহ | |
---|---|
ইউপ্যাক নাম
এল-অরনিথিন
| |
অন্যান্য নাম
(+)-(S)-২,৫-Diaminovaleric acid
(+)-(S)-2,5-Diaminopentanoic acid | |
শনাক্তকারী | |
ত্রিমাত্রিক মডেল (জেমল)
|
|
সিএইচইবিআই | |
সিএইচইএমবিএল | |
কেমস্পাইডার | |
ড্রাগব্যাংক | |
ইসিএইচএ ইনফোকার্ড | ১০০.০০০.৬৬৫ |
ইসি-নম্বর |
|
কেইজিজি | |
এমইএসএইচ | Ornithine |
পাবকেম CID
|
|
ইউএনআইআই | |
কম্পটক্স ড্যাশবোর্ড (EPA)
|
|
| |
| |
বৈশিষ্ট্য[১] | |
C5H12N2O2 | |
আণবিক ভর | 132.16 g/mol |
গলনাঙ্ক | ১৪০ °সে (২৮৪ °ফা; ৪১৩ K) |
soluble | |
দ্রাব্যতা | soluble in ethanol |
অম্লতা (pKa) | 1.94 |
আপেক্ষিক ঘূর্ণন ([α]D)
|
+11.5 (H2O, c = 6.5) |
সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা ছাড়া, পদার্থসমূহের সকল তথ্য-উপাত্তসমূহ তাদের প্রমাণ অবস্থা (২৫ °সে (৭৭ °ফা), ১০০ kPa) অনুসারে দেওয়া হয়েছে। | |
যাচাই করুন (এটি কি ?) | |
তথ্যছক তথ্যসূত্র | |
অরনিথিন হলো একটি নন-প্রোটিনোজেনিক অ্যামিনো অ্যাসিড যা ইউরিয়া চক্রে ভূমিকা পালন করে। অরনিথিন ট্রান্সকার্বামাইলেজের ঘাটতিতে শরীরে অরনিথিন অস্বাভাবিকভাবে জমা হতে পারে। রেডিকাল হল অরনিথাইল।
এল -অরনিথিন হলো এল - আরজিনিনে এনজাইম আর্গিনেসের ক্রিয়াকলাপে উৎপন্ন পদার্থগুলোর মধ্যে একটি যা ইউরিয়া তৈরিতে ভূমিকা রাখে। ফলে, অরনিথিন ইউরিয়া চক্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা অতিরিক্ত নাইট্রোজেন নির্গত করতে সহায়তা করে। অর্নিথিন পুনর্ব্যবহৃত হতে পারে এবং এই পদ্ধতিতে এটি একটি অনুঘটক বা এনজাইম হিসাবে কাজ করে। প্রথমে, অ্যামোনিয়া, কার্বাময়েল ফসফেটে (H
2NC(O)OPO2−
3) রূপান্তরিত হয়। অর্নিথিন কার্বাময়েল ফসফেট সংশ্লেষনের মাধ্যমে δ (টার্মিনাল) নাইট্রোজেনের ইউরিয়া ডেরিভেটিভে রূপান্তরিত হয়। অ্যাসপার্টেট থেকে আরেকটি নাইট্রোজেন যোগ হয়, যা ডেনিট্রোজেনেটেড ফিউমারেট তৈরি করে এবং এর ফলে আর্জিনাইন (গুয়ানিডিনিয়াম যৌগ) অরনিথিনে হাইড্রোলাইজড হয়ে ইউরিয়া তৈরি করে। ইউরিয়ার নাইট্রোজেন অ্যামোনিয়া এবং অ্যাসপার্টেট থেকে আসে এবং অর্নিথিনের নাইট্রোজেন অক্ষত থাকে।
অরনিথিন ডিএনএ দ্বারা গঠিত কোনো অ্যামিনো অ্যাসিড নয়, অর্থাৎ প্রোটিনোজেনিক নয়। যাইহোক, স্তন্যপায়ী প্রাণীর নন-হেপাটিক টিস্যুতে, ইউরিয়া চক্রের প্রধান ব্যবহার হয় আর্জিনাইন জৈব সংশ্লেষণে। তাই বিপাকীয় প্রক্রিয়াগুলির সংযোগকারী হিসাবে অরনিথিন বেশ গুরুত্বপূর্ণ।[২]
অরনিথিন, অরনিথিন ডিকারবক্সিলেসের (EC 4.1.1.17) ক্রিয়া দ্বারা, পুট্রেসসিনের মতো পলিমাইনগুলির সংশ্লেষণের প্রথমেই অংশগ্রহন করে।
ব্যাকটেরিয়ায়, যেমন ই. কোলাই, অর্নিথিন এল -গ্লুটামেট থেকে সংশ্লেষিত হতে পারে।[৩]
এল -অর্নিথিন এর পরিপূরক একটি চক্র এরগোমিটার ব্যবহার করে প্লেসবো-নিয়ন্ত্রিত গবেষণার বিষয়গুলোতে ক্লান্তি কমিয়ে দেয়। প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে বলা যায় যে, কাজের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে এবং অ্যামোনিয়ার নিঃসরণের হার বৃদ্ধি করার জন্য এল -অর্নিথিনের বিক্রিয়ার ক্লান্তিরোধী প্রভাব রয়েছে। [৪] [৫]
এল -অর্নিথিন সহ সকল অ্যামিনো অ্যাসিড সম্পূরকগুলি বডি বিল্ডার এবং ভারোত্তোলকদের কাছে বিক্রি করা হয় মানব বৃদ্ধির হরমোন (HGH) হিসাবে। এগুলো পেশীর ভর এবং শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তবে ১৯৯৩ সালে পরিচালিত একটি ৪ দিনের সংক্ষিপ্ত ক্লিনিকাল গবেষণায় বলা হয়েছে যে L -আরজিনাইন এবং L -লাইসিন-এর প্রত্যেকের সাথে আলাদা আলাদাভাবে 2 g/d L- অর্নিথিনের মিশ্রণ HGH বৃদ্ধিতে কোনো ভূমিকা রাখে না। [৬] এই বিষয়ে ২০০২ থেকে চলা একটি পর্যালোচনায় উঠে এসেছে যে "অ্যাথলেটদের দ্বারা GH রিলিজকে উদ্দীপিত করার জন্য ব্যবহৃত নির্দিষ্ট অ্যামিনো অ্যাসিডের ব্যবহার অনুৎসাহিত করা হয়।" [৭]
L -Ornithine L -aspartate (LOLA), অর্নিথিন এবং অ্যাসপার্টিক অ্যাসিডের একটি স্থিতিশীল লবণ, যা সিরোসিস রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। [৮]