অরবরই | |
---|---|
অরবরই লেবোইর বা নোয়াড় | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Plantae |
শ্রেণীবিহীন: | সপুষ্পক উদ্ভিদ |
শ্রেণীবিহীন: | Eudicots |
শ্রেণীবিহীন: | Rosids |
বর্গ: | Malpighiales |
পরিবার: | Phyllanthaceae |
গোত্র: | Phyllantheae |
উপগোত্র: | Flueggeinae |
গণ: | Phyllanthus |
প্রজাতি: | P. acidus |
দ্বিপদী নাম | |
Phyllanthus acidus (L.) Skeels[১] | |
প্রতিশব্দ | |
Phyllanthus distichus Müll.Arg. |
অরবরই, 'অড়বড়ই' বা 'অরবড়ই'(সংস্কৃত: लबली) একটি ছোট অপ্রচলিত টক ফল। এর ইংরেজি নাম 'Otaheite gooseberry', 'Malay gooseberry', 'Tahitian gooseberry', 'country gooseberry', 'star gooseberry', 'West India gooseberry' ইত্যাদি। অরবরই গাছের বৈজ্ঞানিক নাম Phyllanthus acidus, যা 'Phyllanthaceae' পরিবারভুক্ত। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে এই ফলটিকে নোয়াড়, নলতা, লেবোইর, ফরফরি, নইল, নোয়েল, রোয়াইল, রয়েল, আলবরই, অরবরি ইত্যাদি নামেও ডাকা হয়। পশ্চিমবঙ্গের কোন কোন স্থানে একে নোড় বা শিল্যে-ও বলা হয়। ফলটির ব্যাস ০.৫ থেকে ১ সেমি পর্যন্ত হতে পারে। দেখতে হাল্কা হলুদ রং এর এই ফল এর ত্বক খাঁজ কাটা থাকে। পৃথিবীর অনেক স্থানে অরবড়ই গাছ লাগানো হয় সৌন্দর্য-বৃক্ষ হিসেবে। বাংলাদেশে এই ফলকে নইল এবং রয়েল নামেও ডাকা হয়। স্বাদে অম্ল এই গাছের ফলটি আচার বা চাটনী তৈরিতে ব্যবহৃত হলেও এই গাছের পাতার নির্যাস ওষধির গুণসম্পন্ন। [২]
নোয়াড় গাছ সাধারণত মাঝারি আকারের ৩০ ফুট উচ্চতার হয়ে থাকে এবং এর ছাল রুক্ষ হয়। গাছের পাতা সরল এবং একান্তর। গাছে স্ত্রী ও পুরুষ ফুল জন্মে। পাতাবিহীন শীর্ষে গোলাপী রঙের ফুল হয় এবং এর থেকেই থোকা থোকা ক্ষুদ্রাকৃতির নোয়াড় বা অরবরই জন্মে। জানুয়ারি মাসে ফুল আসলে দু-তিন মাসেই অর্থাৎ এপ্রিলে পরিপক্ক হয়, তেমনই মে মাসে ফুল দেখা দিলে আগস্ট মাসে পরিপক্ক হয়।
এ ফল প্রচুর ভিটামিন সি সমৃদ্ধ।এতে প্রচুর পানি ও থাকে ফলে বেশি তৃষ্ণার্ত থাকলে এটা খেলে কিছুটা তৃষ্ণা নিবারিত হবে।
হাম, বসন্ত রোগে এই গাছের ব্যবহার আমাদের দেশে তথা বাংলার পল্লীঅঞ্চলে আবহমান কাল থেকে প্রচলিত। পৃর্ববঙ্গ (অধুনা বাংলাদেশ) ও উত্তরবঙ্গে যারা চিকিৎসা করতেন তারা হাম হলে লবলী তথা নোয়াড় গাছের পাতার রস খেতে দিতেন এবং ঐ গাছের ডাল (শাখা) গায়ে বুলিয়ে আরোগ্য করিয়ে দিতেন।[২]
বিট সল্ট দিয়ে খেতে পারেন।ডাল এ দিয়ে খেতে পারেন।তাছাড়া এর আচার খুব ই সুস্বাদু। অরবরই গাছ গুল্ম এবং বৃক্ষের মাঝামাঝি আকারের হয়, যা দুই থেকে নয় মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে। [৩]
|প্রকাশক=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)