জেনারেল অরুন শ্রীধর বৈদ্য পদ্ম বিভূষণ, পিভিএসএম, এমভিসি এবং বার, এভিএসএম | |
---|---|
জন্ম | ২৭ জানুয়ারী ১৯২৬ আলীবাগ |
মৃত্যু | ১০ আগস্ট ১৯৮৬ পুনে |
আনুগত্য | ব্রিটিশ ভারত ভারত |
সেবা/ | টেমপ্লেট:দেশের উপাত্ত ব্রিটিশ রাজ ভারতীয় সেনাবাহিনী |
কার্যকাল | ১৯৪৫-১৯৮৬ |
পদমর্যাদা | জেনারেল |
ইউনিট | নবম ডেকান হর্স |
নেতৃত্বসমূহ | ইস্টার্ন কমান্ড (ভারত) ১৬ স্বতন্ত্র সাঁজোয়া ব্রিগেড ডেকান হর্স |
পুরস্কার | পদ্মবিভূষণ পরম বিশিষ্ট সেবা পদক মহাবীর চক্র এবং বার এভিএসএম |
জেনারেল অরুন কুমার শ্রীধর বৈদ্য (জন্মঃ ১৯২৬, মৃত্যুঃ ১৯৮৬) ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৩তম সেনাবাহিনী প্রধান ছিলেন ১ আগস্ট ১৯৮৩ থেকে ৩১ জানুয়ারী ১৯৮৫ পর্যন্ত।[১][২] ১৯৪৫ সালে তিনি সাঁজোয়া শাখায় কমিশন পেয়েছিলেন।
১৯৬৫ সালে অরুন ডেকান হর্সের ব্যাটেলিয়নে কর্মরত ছিলেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ষষ্ঠ সাঁজোয়া ডিভিশনের সঙ্গে মোকাবেলা করেন তৎকালীন লেফটেন্যান্ট কর্নেল অরুন। এই যুদ্ধে অরুন পাকিস্তানের ১ম সাঁজোয়া ডিভিশনকে বড় ধরনের শাস্তি দেন। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর অরুন 'মহা বীর চক্র' পদক লাভ করেন।
১৯৭১ সালে পাক-ভারত যুদ্ধকালীন অরুন একটি সাঁজোয়া ব্রিগেডের কমান্ড করছিলেন, ব্রিগেডটি পশ্চিম ফ্রন্টের জাফরওয়াল সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলো। তার ব্রিগেডের সদ্যসরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মাইন সরিয়েছে এবং দুর্ধর্ষ পাকিস্তানি সেনাদের পরাজিত করতে সক্ষম হয়েছিলো।
১৯৭৩ সালে অরুন মেজর-জেনারেল পদবী লাভ করেন এবং সেনাসদরে সামরিক অভিযান পরিদপ্তরের পরিচালক, সাউদার্ন কমান্ড এর প্রধান স্টাফ এবং সাঁজোয়া শাখার কেন্দ্র এবং বিদ্যালয়ের প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেন। ১৯৮০ সালের জানুয়ারী মাসে তাকে লেফটেন্যান্ট-জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে সেনাবাহিনী সদর দপ্তরে 'মাস্টার জেনারেল অব অর্ডন্যান্স' এর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ১৯৮১ সালের জুন মাসে ইস্টার্ন কমান্ড এর কমান্ডার হন অরুন, এর আগে তিনি একটি কোরের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ছিলেন।
১ আগস্ট ১৯৮৩ তারিখে অরুন সেনাবাহিনী প্রধানের দায়িত্ব পান এবং পাঞ্জাব প্রদেশে সংঘটিত শিখদের বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র বাহিনীর ওপর একটি সামরিক অভিযান পরিচালনা করেন যার নাম ছিলো 'অপারেশন ব্লুস্টার'।[৩]