অরুন্ধতী নাগ | |
---|---|
![]() ২০১০ সালে নাগ | |
জন্ম | অরুন্ধতী রাও ৬ জুলাই ১৯৫৬ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | অভিনেত্রী |
কর্মজীবন | ১৯৭৩–বর্তমান |
দাম্পত্য সঙ্গী | শঙ্কর নাগ (বি. ১৯৮০; মৃ. ১৯৯০) |
সন্তান | ১ |
আত্মীয় | পদ্মাবতী রাও (বোন)[১] |
অরুন্ধতী নাগ (জন্মসুবাদে রাও; ৬ জুলাই ১৯৫৬)[২] একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র ও নাট্য অভিনেত্রী। তিনি ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতের বহুভাষিক থিয়েটারের সাথে জড়িত ছিলেন, প্রথমে তিনি মুম্বাইয়ে ভারতীয় গণনাট্য সংঘ (আইপিটিএ) এর সাথে জড়িত হয়ে গুজরাটি, মারাঠি এবং হিন্দি থিয়েটারে এবং তারপরে বেঙ্গালুরুতে কন্নড়, তামিলে, মালায়ালাম ও ইংরেজিতে বিভিন্ন প্রযোজনা করেন।
তারা কয়েক বছর কর্ণাটকের চিন্তামণীতে অবস্থান করেছিলেন।
কন্নড় অভিনেতা-পরিচালক শঙ্কর নাগের (১৯৫৪-১৯৯০) সাথে তার বিয়ের পরে বেঙ্গালুরুতে থিয়েটারের সাথে তার যোগসূত্র অব্যাহত ছিল, সেখানে তিনি কন্নড়ে বেশ কয়েকটি নাটক পরিবেশনা করেন: গিরিশ কর্ণাদের অঞ্জু মল্লিগ, বিখ্যাত নাটক ওয়েট আনটিল ডার্ক অবলম্বনে ২৭ মাবেল্লি সার্কেল , সন্ধ্যা ছায়া (জয়ন্ত দলভী), গিরিশ কর্ণাদের নাগমণ্ডল এবং বার্টল্ট ব্রেচ্টের মাদার কারেজ এ হুলাগুরু হুলিয়াব্বার চরিত্রে । তিনি বেশ কয়েকটি কন্নড় ভাষার সিনেমায়ও কাজ করেছেন: এক্সিডেন্ট (১৯৮৪), পরমেশী প্রেম প্রসঙ্গ (১৯৮৪) এবং নদিস্বামী, নাভিরদু হেইজ (১৯৮৭)।[৩]
নাগ বেঙ্গালুরুতে রাঙা শঙ্করা নামে মান সম্পন্ন থিয়েটারের জন্য একটি থিয়েটার স্পেস নির্মাণের দীর্ঘকালীন স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে পেরেছিলেন।[৪][৫][৬][৭] তিনি সংগীত নাটক একাদেমি পুরস্কার (২০০৮), পদ্মশ্রী (২০১০) এবং ২০১০ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (৫৭ তম) লাভ করেছেন।[৮][৯]
নাগ থিয়েটার, চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন জুড়ে ৪৮ বছরেরও বেশি সময় কাজ করেছেন। তিনি ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত সংকেত ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবস্থাপনা ট্রাস্টি, এটি বেঙ্গালুরুর একটি থিয়েটার স্পেস, রাঙ্গা শঙ্করা পরিচলানা করে।[১০][১১] রাঙ্গা শঙ্করা শহরের নাট্য প্রেমীদের জন্য একটি মানসম্পন্ন থিয়েটারের আয়োজন করে।[১২][১৩] বার্ষিক রাঙা শঙ্করা থিয়েটার উৎসব, এখন তার দ্বাদশ বছরে, বেঙ্গালুরুর সাংস্কৃতিক ক্যালেন্ডারে নিয়মিত বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়েছে।[১৪]
নাগ থিয়েটারে সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছেন: তার সাম্প্রতিক রচনায় গিরিশ কর্ণাদের "বিখ্রে বিম্ব" (হিন্দি) এবং "ওডাকালু বিম্বা" (কন্নড়) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তার সর্বশেষ ছবি দ্য ম্যান হু নিও ইনফিনিটি (২০১৬), ছবিটিতে তিনি গাণিতিক জাদুকর রামানুজনের মা এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি হিন্দি ছবি পা (২০০৯), "স্বপ্নে" (১৯৯৭) এবং "দিল সে" (১৯৯৮), কন্নড় ছবি গলিবার (১৯৯১), জোগি (২০০৫) এবং "অন্দর বাহার", এবং মালয়ালম ছবি দা থাডিয়া (২০১২) তে অভিনয় করেছেন।
নাগ ১৯৫৬ সালে দিল্লিতে জন্মগ্রহণ করেন, নেতাজি নগরে বাস করেন। তার ১০ বছর বয়সে তার পরিবার মুম্বাইতে পাড়ি জমায়। ১৭ বছর বয়সে তার থিয়েটার শিল্পী শঙ্কর নাগের সাথে সাক্ষাত হয়।[১৫] ছয় বছর পরে দুজনে বিয়ে করে বেঙ্গালুরুতে চলে আসেন। শঙ্কর একজন বিখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেতা হন এবং পরবর্তীকালে একজন পরিচালক হন, তিনি সবচেয়ে বেশি বিক্ষাত হয়েছিলেন টিভিতে আর. কে. নারায়ণের টেলিভিশন ধারাবাহিক মালগুডি ডেজ (১৯৮৭) অভিযোজনের জন্য। কাব্য নামে তাদের এক মেয়ে ছিল।
১৯৯০ সালে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় শঙ্কর মারা যান। অরুন্ধতী থিয়েটারে অভিনয় অব্যাহত রাখেন এবং থিয়েটারে নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেন, যা ২০০৪ সালে অবশেষে রাঙ্গা শঙ্করাতে রূপান্তরিত হয়, যা আজ ভারতের নাটকের অন্যতম প্রধান স্থান।