অর্জুন: দ্য ওয়ারিয়র প্রিন্স | |
---|---|
পরিচালক | অর্ণব চৌধুরী |
প্রযোজক | রণি স্ক্রুওয়ালা সিদ্ধার্থ রায় কাপুর |
চিত্রনাট্যকার | রাজেশ দেবরাজ |
সুরকার | সঙ্গীত: বিশাল শেখর নেপথ্য সঙ্গীত: ধ্রুব ঘানেকর[১] |
চিত্রগ্রাহক | হেমন্ত চতুর্বেদী |
সম্পাদক | এ. শ্রীকর প্রসাদ |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক | ইউটিভি মোশন পিকচারস |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ৯৬ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
অর্জুন: দ্য ওয়ারিয়র প্রিন্স অর্ণব চৌধুরী পরিচালিত ইউটিভি মোশন পিকচারস এবং ওয়াল্ট ডিজনি পিকচারস ইন্ডিয়ার যৌথ-প্রযোজনায় নির্মিত এই ২০১২ সালের ভারতীয় অ্যানিমেটেড অ্যাকশন ফিল্মটি ভারত এ মুক্তি পায় ২৫ শে মে ২০১২ তারিখে। ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওজ মোশন পিকচারস ১ সেপ্টেম্বর ২০১২ তারিখ থেকে এল ক্যাপিটান থিয়েটার এ এক সপ্তাহব্যাপী সময় ধরে[২] একাডেমি পুরস্কার বিবেচনার জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে প্রদর্শিত হয়েছিল। তবে ছবিটি মনোনয়ন পায় নি।
প্রাচীন ভারতীয় মহাকাব্য মহাভারত থেকে যুবরাজ অর্জুন এর প্রথম জীবনের উপর ভিত্তি করে কাহিনীটি নির্মিত হয়েছে। কাহিনিসূত্রের শুরু নয় বছর বয়সী বালক অর্জুন থেকে সবার পরিচিত যোদ্ধা হয়ে ওঠা পর্যন্ত তাঁকে অনুসরণ করা হয়েছে। চিত্রে হস্তিনাপুর এ তাঁর ভাইদের সাথে তাঁর প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষা এবং নিজের মধ্যে এক যোদ্ধার চূড়ান্ত আবিষ্কারের সাথে তাঁর জীবন অনুসন্ধান করেন অর্জুন।
ছবিটি উত্তর বিরাটনগর (বিরাট রাজার রাজ্য)) এর এক যুবক রাজপুত্র তাঁর দাসীকে (বৃহন্নলা) একটি গল্প বলতে বলেন। তখন তাঁকে অর্জুন এর গল্পটি বর্ণনা করা হয়।
অর্জুন দ্রোণ এর ছাত্র ছিলেন এবং তাঁর কাছ থেকে তিনি যুদ্ধের কৌশল শিখেছিলেন। তিনি দ্রোণের সকল শিক্ষার্থীর চেয়ে দক্ষ ছিলেন। তাঁর নিজের ভাই বা তাঁর তুতোভাই - বা একশ কৌরব এর কেউ তাঁর সমকক্ষ হয়ে উঠতে পারেননি। দুর্যোধন এবং অন্যান্য কৌরবরা পাণ্ডবদের তীব্র নিন্দা করেন। কারণ তাঁদের ভয় ছিল যে তাঁরা দুর্যোধনের সিংহাসন দখল করতে পারেন। রাজা ধৃতরাষ্ট্রর বয়স বাড়ার পরে তাঁর পুত্র কৌরবদের সঙ্গে পাণ্ডবদের শত্রুতা আরও তীব্র হয়। দুর্যোধন দু'বার সমস্ত পাণ্ডবকে হত্যা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। আরও সংঘাত এড়াতে ধৃতরাষ্ট্র দুর্যোধনকে হস্তিনাপুর এর যুবরাজপুত্র হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন এবং যুধিষ্ঠিরকে সাম্রাজ্যের এক দূরবর্তী অঞ্চলের রাজা হওয়ার জন্য বলেছিলেন।
এরই মধ্যে অর্জুন একটি স্বয়ম্বর জয়লাভ করেন এবং পাঞ্চালার রাজার কন্যা দ্রৌপদী কে বিয়ে করেছিলেন। পাণ্ডবদের ঘৃণা করে দুর্যোধন তাঁর মামা শাকুনি এর সাথে ষড়যন্ত্র করেন এবং চৌপর নামক একটি জুয়া খেলায় পাণ্ডবদের সমস্ত কিছুই জয় করে নেন। সমস্ত কিছু হারানোর পরে যুধিষ্ঠির নিজের ভাই এবং দ্রৌপদী এবং এমনকি নিজেকে বাজি ধরেন। দ্রৌপদীকে সকলের সামনে অপমান করা হয়। কিন্তু যুধিষ্ঠির রাজা হওয়ায় অর্জুন কিছুই বলতে পারেন নি। কারণ রাজার কথাই শেষ কথা। খেলার নিয়ম অনুসারে পাণ্ডবদের বারো বছর নির্বাসনে এবং এক বছরের জন্য অজ্ঞাতবাসে যেতে হয়েছিল। সমস্ত পাণ্ডব একদিকে যাওয়ার পরে অর্জুন উত্তরে তাপস্যা করার জন্য যাত্রা করেন। যাওয়ার আগে দ্রৌপদী তাঁকে দিয়ে প্রতিশ্রুত করেন যে তিনি তাঁর অপমানের প্রতিশোধ নেবেন। তারপরে তিনি চলে যান এবং তাপস্যা করে তিনি প্রভু শিব এর কাছ থেকে একটি ধনুক অর্জন করেন।
গল্পটি আবার বর্তমানের বিরাটনগরে ফিরে যায়। পাণ্ডবরা তাঁদের গোপন নির্বাসন বা 'অজ্ঞাতবাস' সেখানে ব্যয় করছেন এবং তাঁরা দুর্যোধনের কিছু গুপ্তচরের নজরে পড়েছিলেন বলে প্রকাশ পায়। খেলার ফলাফল অনুসারে ঐ এক বছর শেষ হওয়ার আগেই পান্ডবদের মধ্যে যদি কারও সন্ধান পাওয়া যায় তবে পান্ডবদের আবারও বারো বছরের নির্বাসনে যেতে হবে। গুপ্তচর দুর্যোধনকে জানিয়েছিলেন যে পাণ্ডবরা বিরাটনগরে আছেন। তাই তিনি তাঁর দস্যু বন্ধুদের সহায়তায় বিরাটনগরে আক্রমণ শুরু করেন। বিরাটনগরের রাজা লুন্ঠনকারী দস্যুদের মারতে চলে গেলেন। যাইহোক এটি ছিল টোপ। অন্য দিক থেকে দুর্যোধনের সেনাবাহিনী আসে এবং তাঁদের দেখে মনে হয় যে বিরাটনগরের যুবক রাজপুত্রই যুদ্ধ করার জন্য একমাত্র বাকি রয়েছেন।
উত্তর যুব যুবরাজের রথটিকে দাসী মাঠে নিয়ে যান। কিন্তু শত্রু সংখ্যায় বিভ্রান্ত হয়ে যুবরাজ পালিয়ে যান। দাসী তাঁকে থামিয়ে দেন এবং তার আসল পরিচয় প্রকাশ করেন: দাসী (বৃহন্নলা) অর্জুন হিসাবে তাঁর সামনে উপস্থিত হন। অর্জুন তাঁর ধনুক পুনরুদ্ধার করেন এবং রাজপুত্রকে নিয়ে উত্তর দিকে তাঁর রথ চালানা করেন। শত্রু সেনাবাহিনীকে হত্যা করে যোদ্ধা বিজয়ী হলেন এবং শেষ অবধি অর্জুন একাই ভীষ্ম ও দ্রোণ সহ সমস্ত কৌরব যোদ্ধাকে পরাজিত করেন।