অর্জুনা রানাতুঙ্গা | |
---|---|
![]() | |
কালুতারা জেলা আসনের শ্রীলঙ্কা সংসদ সদস্য | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২২ এপ্রিল ২০১০ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | গামপাহা, সিলন | ১ ডিসেম্বর ১৯৬৩
জাতীয়তা | শ্রীলঙ্কান |
রাজনৈতিক দল | ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স |
দাম্পত্য সঙ্গী | সামাদারা রানাতুঙ্গা |
সন্তান | ধ্যান রানাতুঙ্গা |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | আনন্দ কলেজ |
পেশা | রাজনীতিবিদ, ক্রিকেটার |
ধর্ম | বৌদ্ধ |
![]() | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | অর্জুনা রানাতুঙ্গা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | গামপাহা, সিলন | ১ ডিসেম্বর ১৯৬৩|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ক্যাপ্টেন কুল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৫ ফুট ৮ ইঞ্চি (১.৭৩ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | ব্যাটসম্যান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮২-২০০১ | সিংহলীজ স্পোর্টস ক্লাব | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকইনফো, ৩০ মে ২০১৭ |
অর্জুনা রানাতুঙ্গা (সিংহলি: අර්ජුන රණතුංග, তামিল: அர்ஜுன றணதுங்க; জন্ম: ১ ডিসেম্বর, ১৯৬৩) গামপাহায় জন্মগ্রহণকারী শ্রীলঙ্কার বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ক্রিকেট প্রশাসক। ১৯৯০-এর দশকে অধিকাংশ সময়ই শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার অধিনায়কত্বে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল ১৯৯৬ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ শিরোপা জয় করে। তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবেই মাঠে নামতেন। তবে, মাঝে-মধ্যে মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন। বর্তমানে তিনি কালুতারা জেলা থেকে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন।
কলম্বোর উত্তরাঞ্চল থেকে বিশ মাইল দূরবর্তী গামপাহা শহরে রানাতুঙ্গা জন্মগ্রহণ করেন। ভাইয়েরা সবাই কলম্বোর আনন্দ কলেজে পড়াশোনা করেছেন। মা ছিলেন একজন শিক্ষিকা। বিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময়েই তিনি ক্রিকেট বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেন। আনন্দ কলেজের হয়ে জুনিয়র ও সিনিয়র - উভয় পর্যায়ের দলেই ক্রিকেট খেলেন।
১৯৮১ সালে আঠারো বছর বয়সে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। পরের বছরই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল টেস্ট ক্রিকেট খেলার মর্যাদা পায়। দলের প্রথম খেলায় তিনি অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঐ খেলায় তিনি প্রথম শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটার হিসেবে অর্ধ-শতক করেছিলেন।
১৯৮৩ সালে জাতীয় দলে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে প্রবেশ ঘটে রানাতুঙ্গার। তখন শ্রীলঙ্কা দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নবাগত ছিল ও প্রতিষ্ঠিত দলগুলোর বিপক্ষে তেমন সুবিধা করতে পারতো না। মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯০-এর দশকের মধ্যভাগে একদিনের আন্তর্জাতিক ও টেস্ট ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কা দল আক্রমণধর্মী দলে রূপান্তরিত হয়। তন্মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল ১৯৯৬ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে শিরোপা অর্জন। দূর্বল দলকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মর্যাদাপ্রাপ্তিতে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ইতিহাসে রানাতুঙ্গার ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে তার ভূমিকা বিতর্কের সৃষ্টি করে।
জুন, ২০০০ সালে তিনি শ্রীলঙ্কা দলের হয়ে শততম টেস্ট খেলায় অংশগ্রহণ করেন। এরফলে তিনি শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ইতিহাসে একমাত্র খেলোয়াড়রূপে শততম টেস্ট খেলার অধিকারী হন।[১] কিন্তু পূর্বেকার বছরে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে দলের বাজে ফলাফলে ২০০০ সালে জাতীয় দল থেকে অধিনায়কত্ব হারান। একই বছর উইজডেন কর্তৃপক্ষ তাকে বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারে ভূষিত করে।[২]
২০০১ সালে ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর রানাতুঙ্গা শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট প্রশাসনে সর্বাপেক্ষা প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। পাশাপাশি রাজনৈতিক অঙ্গনেও প্রবেশ করেন তিনি। পিপল’স অ্যালায়েন্স দলে যোগ দেন ও শ্রীলঙ্কার সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন। শুরুতে তিনি পর্যটন বিষয়ক উপ-মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সভাপতি হিসেবে আসীন ছিলেন।[৩] এরপর ২০১০ সালে ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স দলে যোগ দেন।
পূর্বসূরী রঞ্জন মাদুগালে |
শ্রীলঙ্কান টেস্ট এবং ওডিআই অধিনায়ক ১৯৮৮/৮৯-১৯৯৯ |
উত্তরসূরী সনাথ জয়াসুরিয়া |